মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর রচিত “আরবা’ঈন” বইটি থেকে আজ আরেকটি উদ্ধৃতি এখানে কোড করছি,
মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর জন্ম ভারতে। ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের গুরুদাস পুর জেলার ‘কাদিয়ান’ নামক গ্রামে ১৮৩৯ বা ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে। তখন পুরনো ভারত সহ গোটা উপমহাদেশ ছিল সাম্রাজ্যবাদ ব্রিটিশ সরকারের শাসনের অধীনে। মির্যা গোলাম কাদিয়ানী শুরুতেই নবুওয়তের দাবী করেনি। তবে তার প্রথমদিকের দাবীগুলোর ফাঁকে ফাঁকে ভবিষ্যতে তার নবুওয়ত দাবী করতে পারে এমন ইংগিত বেশ জোরেশোরে দেয়া হয়েছিল। তার অন্ধভক্ত কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের লোকেরা যখন শুনেন যে, মির্যা সাহেব মসীহ এবং ইমাম মাহদী, জিল্লি (ছায়া) নবী ইত্যাদি দাবী করেই বসে থাকেনি, বরং নিজেকে বুরুজি মুহাম্মদ, হুবহু মুহাম্মাদূর রাসূলুল্লাহ হবার-ও দাবী করেছিল। তখন বিশাল আকাশটা যেন তাদের মাথার উপর পড়লো, এমন অবস্থা তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়ে যায়। তারা বিশ্বাসই করতে চায় না যে, সে এধরণের কোনো কিছু দাবী করে লিখে যেতে পারে!
শুধু তাই না, মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী নিজেকে প্রকৃতপক্ষে একজন নতুন শরীয়তবাহক রাসূল বলেও দাবী করে লিখে গেছেন। কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের লোকেরা একথাও বিশ্বাস করতে চায় না। তারা চোখ কপালে তুলে বলে, আরে না না; এসব মোল্লা মুন্সীদের মিথ্যাচার! মির্যা সাহেব কখনোই এমন দাবী করতে পারেন না। আজ তাই তাদেরই প্রকাশিত ও মির্যা সাহেবের রচিত ‘আরবা’ঈন’ গ্রন্থের বাংলায় অনূদিত কপি থেকে এখানে ছোট্ট একটা রেফারেন্স সহ উল্লেখ করতে চাচ্ছি। নিচে প্রামাণ্য স্ক্যানকপিও তুলে দিচ্ছি। যাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের কোনো অবকাশ না থাকে। আসুন, সর্বপ্রথম মির্যা কাদিয়ানী সাহেবের রচনা উর্দূ বইটি থেকেই উর্দূ অংশটি তুলে ধরা যাক,
মির্যা কাদিয়ানী সাহেব নিজকে শরীয়তবাহক রাসূল দাবী করে একদম সুস্পষ্টভাবে লিখেছেন,
ما سوا اس کے یہ بھی تو سمجھو کہ شریعت کیا چیز ہے جس نے اپنی وحی کے ذریعہ سے چند امر اور نہی بیان کیئے اور اپنی امت کے لیے ایک قانون مقرر کیا وہی صاحب الشریعت ہو گیا۔ پس اس تعریف کے رو سے بھی ہمارے مخالف ملزم ہیں کیونکہ میرے وحی میں امر بھی ہیں اور نہی بھی۔
- উচ্চারণ – মা সেওয়া উস কে ইয়ে ভি তু সমঝো কে শরিয়ত কেয়া চিজ হে জিস নে আফনি ওহি কে জরি’য়া চে চন্দ আমর ওর নাহি বয়ান কিয়ে ওর আফনি উম্মত কে-লিয়ে এক কানুন মুকাররর কিয়া, অ-হি ছাহিবুশ শরিয়ত হো গিয়া। ফস ইস তারিফ কি রো চে ভি হামারে মুখালিফ মুলজিম হেঁ। কিঁউকে হামারে ওহি মে আমর ভি হেঁ ওর নাহি ভি।
অর্থাৎ এ ছাড়া এটিও তো চিন্তা কর শরীয়ত কী বিষয়? যিনি নিজের ওহীর মাধ্যমে কতক আদেশ ও নিষেধ গণনা করেন আর স্বীয় উম্মতের জন্য নিয়ম-কানুন নির্ধারণ করেন তিনি শরীয়ত বাহকও হয়ে যান। সুতরাং এ সংজ্ঞার দৃষ্টিকোণ থেকেও আমাদের বিরোধীরা অভিযুক্ত, কেননা আমার ওহীতে আদেশ-নিষেধ উভয়ই আছে।
তথ্যসূত্রঃ রূহানী খাযায়েন খন্ড ১৭ পৃষ্ঠা ৪৩৫; আরবা’ঈন পৃষ্ঠা নং ১০১ (বাংলা অনূদিত)।
প্রামাণ্য স্ক্যানকপি


লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক
মুহাম্মদ নূরুন্নবী এম এ
[…] পক্ষ হতে হযরত মূসা (আ.) এর ন্যায় একজন ছাহিবুশ শরিয়ত বা শরীয়তবাহক নবী বলেও বিশ্বাস করে […]