![আহমদীয়া অমুসলিম জামা’ত এর ধর্মবিশ্বাস আহমদীয়া অমুসলিম জামা’ত এর ধর্মবিশ্বাস](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2022/02/iMarkup_20220204_103612.jpg)
এক নজরে কাদিয়ানীদের চেপে রাখা ইসলাম বিরোধী জঘন্য বিভ্রান্তিকর ধর্মবিশ্বাস তাদেরই বই থেকে :
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2022/02/iMarkup_20220204_103612.jpg)
১৯০৩ এবং ১৯০৪ সালে পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার সুপ্রিমকোর্টের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মৌলভি করম উদ্দীন জিহলমী সাহেবের সাথে দ্বিপাক্ষিক কথোপকথন অবস্থায় ও মাননীয় ম্যাজিস্ট্রেট জনাব লালা আথমারাম (لالہ آتمارام) এর সম্মুখে মির্যা কাদিয়ানী নিজের ধর্মমত নিম্নরূপ ব্যক্ত করেন যা তারই কথিত ‘কামরুল আম্বিয়া’ উপাধীপ্রাপ্ত পুত্রধন মির্যা বশির আহমদ এম.এ রচিত সীরাতে মাহদী বইয়ের তৃতীয় খন্ডের ৬৯৫ নং বর্ণনা অনুসারে নিচে উল্লেখ করছি :
মির্যা কাদিয়ানী বলেছেন :-
১- ঈসা (আ:) মারা গেছেন।
২- ঈসা (আ:) ক্রুসবিদ্ধ হয়েছেন এবং তাঁকে বেহুঁশ অবস্থায় শূলি থেকে নামানো হয়েছিল।
৩- ঈসা (আ:) সশরীরে আকাশে যাননি।
৪- ঈসা (আ:) আকাশ থেকে নাযিল হবেন না এবং কারো সাথে লড়াইও করবেন না।
৫- এমন কোনো মাহদী হবেনা যিনি দুনিয়ায় এসে খ্রিষ্টান আর অন্যান্য বিধর্মীর সাথে যুদ্ধ করবেন এবং অমুসলিমদেরকে ক্বতল (হত্যা) করবে ও ইসলামের বিজয় আনয়ন করবে।
৬- এই যুগে (শেষ যামানায়) জিহাদ করা অর্থাৎ ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে লড়াই করা সম্পূর্ণ হারাম।
৭- এটা একদমই ভুল কথা যে, মসীহ মওঊদ (ঈসা) এসে ক্রুস ভাঙ্গবেন এবং শুয়োর মারবেন।
৮- আমি মির্যা গোলাম আহমদ মসীহ মওঊদ, মাহদী, ইমামুযযামান, মুজাদ্দিদ, প্রতিবিম্ব স্বরূপ রাসূল এবং আল্লাহর নবী এবং আমার উপর খোদার ওহী নাযিল হয়ে থাকে।
৯- মসীহ মওঊদ (মির্যা কাদিয়ানী) এই উম্মতের বিগত সমস্ত আউলিয়া হতে আফদ্বল (শ্রেষ্ঠ)।
১০- খোদাতালা মসীহ মওউদ (মির্যা কাদিয়ানী)’র সত্তায় সমস্ত নবীর সিফাত (গুণাবলী) এবং ফজিলত (শ্রেষ্ঠত্ব) একত্র করে দিয়েছেন।
১১- কাফের জাহান্নামে সর্বদা থাকবেনা।
১২- ইমাম মাহদী কুরাইশ বংশীয় হবেনা।
১৩- উম্মতে মুহাম্মদিয়ার মসীহ আর ইসরাইলী মসীহ দুইজনই ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি এবং মসীহে মুহাম্মদী (মির্যা কাদিয়ানী) তিনি ইসরাইলী মসীহ’র (হযরত ঈসা আঃ) চেয়ে আফদ্বল (শ্রেষ্ঠ)।
১৪- হযরত ঈসা (আ:) তিনি প্রকৃতপক্ষে কোনো মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করেননি।
১৫- হযরত মুহাম্মদ (সা:)-এর মেরাজ সশরীরে (জাগ্রত অবস্থায়) হয়নি।
১৬- খোদাতালার ওহী হযরত মুহাম্মদ (সা:)-এর মাধ্যমে বন্ধ হয়ে যায়নি। (অনুবাদ সমাপ্ত হল)।
আশাকরি এইটুকুতেই পরিষ্কার হয়ে গেল যে, শেষনবী মুহাম্মদে আরাবী (সা:)-এর আনীত পবিত্র ইসলামের সুপ্রতিষ্ঠিত আক্বীদার মুকাবিলায় কাদিয়ানী আক্বীদার বীভৎস রূপটা কেমন! (সীরাতে মাহদী বইয়ের প্রদত্ত স্ক্রিনশট হতে উপরের কথাগুলো মিলিয়ে নিন)।
পোস্টের সম্পূর্ণ স্ক্রিনশট এখানে :
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2022/02/FB_IMG_1643948061772.jpg)
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2022/02/FB_IMG_1643948055214.jpg)
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2022/02/FB_IMG_1643948039352.jpg)
শেষকথা, কাদিয়ানী জামাতের মুরুব্বী পর্যায়ের উর্ধতন দায়িত্বশীলদের অনেকেই প্রতিনিয়ত একটি মিথ্যা বারবার উচ্চারণ করে থাকে, তা হল তাদের আর আমাদের (মুসলমানদের) মাঝে নাকি মৌলিক কোনো পার্থক্যই নেই; বেশি থেকে বেশি পার্থক্য শুধুই এটি যে, আগমনকারী ইমাম মাহদীকে তারা মেনে নিয়েছে আর বিপরীতে আমরা তাকে মেনে নিইনি! এবার চিন্তা করে দেখুন, কত নিকৃষ্ট মিথ্যাবাদী আর প্রতারক এরা। উল্লেখ্য, হযরত মুহাম্মদ (সা.) যেই ইমাম মাহদী সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী দিয়ে গেছেন এবং সহীহ সূত্রে বর্ণিত হাদীস সমূহ হতে ইমাম মাহদীর নাম, পিতার নাম, বংশপরিচয়, জন্মস্থান এবং হিজরত ও বাইয়েত সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রয়েছে তার কোনো একটির সাথেও কাদিয়ানের সিজোফ্রেনিয়া রোগী মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর মিল পাওয়া যায়না। প্রতীক্ষিত ইমাম মাহদী সম্পর্কে জানুন Click
অনুবাদক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী।