মির্যা কাদিয়ানী কি নিজেকে ইসলামের খাদেম বা সেবক বলেই মনে করতেন?
প্রশ্নকর্তা : কাদিয়ানের মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর অনুসারীরা তাকে ইসলামের খাদেম বা সেবক বলে আখ্যা দিয়ে থাকে। এখন জানার বিষয় হল, মির্যা গোলাম আহমদ সাহেব নিজেকে সত্যিই কি এই রকমটাই মনে করতেন?
উত্তরদাতা : অপ্রিয় হলেও সত্য এই যে, মির্যা কাদিয়ানী সাহেব নিজেকে “খাদেমে ইসলাম” বা ইসলামের সেবক” মনে করতেন না, একথা তারই পুত্রধন মির্যা বশির আহমদ এম.এ সাহেব তার সীরাতে মাহদীতে লিখে রেখেছেন। ডাক্তার আব্দুল হাকিমখান মির্যা কাদিয়ানীর ২০ বছরের ঘনিষ্ট সহচর ছিলেন কিন্তু পরবর্তীতে মির্যাকে মিথ্যুক আখ্যা দিয়ে ইসলামে ফিরে আসেন। ডাক্তার আব্দুল হাকিম সাহেব কাদিয়ানী থাকাকালীন মির্যাকে উদ্দেশ্য করে পত্র লিখেছিলেন। মির্যা সাহেব সেই পত্রে উল্লিখিত آپكا وجود خادم اسلام هے نه كه عين اسلام (আপনার আবির্ভাব ইসলামের একজন সেবক হিসেবেই, ইসলামের মূল হিসেবে নয়) ডাক্তার সাহেবের কথাটিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বরং নিজেকে একজন روح اسلام বা ইসলামের প্রাণ তথা মূল বলেই আখ্যা দিয়ে প্রতিউত্তর লিখেছেন। এইকথা তারই পুত্রের বইতে লিখা আছে। (দেখুন, সীরাতে মাহদী বর্ণনা নং ৬৬৫)।
এখন তার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে আমার জিজ্ঞাসা, এমতাবস্থায় আপনারা কিজন্য কথায় কথায় তাকে ইসলামের একজন “সেবক” বলে আখ্যা দেন এবং মুহাম্মদ (সা.)-এর একজন দাস বলেন? কোনো নবীর দাস কি ঐ নবীর আনীত দ্বীন ও শরীয়তের প্রাণ হতে পারে? জ্ঞানীদের নিশ্চয়ই ভাবিয়ে তুলবে।
লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক