![নবাব সিদ্দিক হাসান খান সাহেবের বই থেকে নবাব সিদ্দিক হাসান খান সাহেবের বই থেকে](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2022/06/IMG_20220602_235015.jpg)
নবাব সিদ্দিক হাসান খান সাহেবের বই ‘হিজাজুল কিরামাহ ফী আসারিল কিয়ামাহ‘ হতে ইমাম মাহদী, মসীহ, দাজ্জাল ইত্যাদি বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি হিদায়াত! বিজ্ঞ পাঠকদের উদ্দেশ্যে নিম্নরূপ :-
আল্লামা নবাব সিদ্দিক হাসান খান ভূপালী (রহ.) লিখেছেন, “আমি বলি, জহূরে মাহদী (মাহদীর আত্মপ্রকাশ), নুযূলে ঈসা (ঈসা আ. এর অবতরণ), খুরুজে দাজ্জাল কিবা এগুলো ছাড়া আরও যত ঘটনাবলি এবং ফিতনা-বিশৃংখলা রয়েছে যা শেষ যামানায় সংঘটিত হওয়া সম্পর্কে হাদীস এবং আছার সমূহ বর্ণিত আছে, সেগুলোর সময় তারিখ নিজ থেকে নির্ধারণ করা নবী করীম (সা.)-এর হাদীসকেই বিকৃতি করার শামিল, তা যে কোনোভাবেই হোক; কাশফের নামে হোক, জ্যোতির্বিজ্ঞানের নামে হোক, নিজেস্ব রায়ের ভিত্তিতে হোক কিবা কোনো অভিধান আর কুরআন সুন্নাহর ইংগিতের নামে হোক; প্রত্যেক দিক থেকেই এটি নবী (সা.)-এর বাণীর তাহরিফ বলে গণ্য হবে। তবে হ্যাঁ, এর সবগুলো ঘটনাই নিসন্দেহে ঘটবে, কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউই এ সম্পর্কে জানে না, এমনকি অচিরেও কারো জানা থাকবেনা। কাজেই যে ব্যক্তি এগুলোর নির্দিষ্ট সময়ের জ্ঞান রাখার দাবী করবে সে মিথ্যাবাদী এবং যারা এ প্রকৃতির লোকদের সমর্থন এবং সত্যায়ন করবে তারা বিভ্রান্ত।” (হিজাজুল কিরামাহ পৃষ্ঠা নং ৪৩০)। (কিতাবটি অনলাইন থেকে সরাসরি পড়ুন বা ডাউনলোড করুন)।
সংযুক্ত স্ক্যানকপি –
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2022/06/iMarkup_20220603_100537-619x1024.jpg)
হযরত ইমাম মাহদী, মসীহ এবং দাজ্জাল সম্পর্কে নবাব সিদ্দিক হাসানখান (১৮৩২-১৮৯০ইং) এর উক্ত কিতাব থেকে সামান্য তুলে ধরছি,
- (হযরত ইমাম মাহদীর সমসাময়িক আলেমরা তাঁকে “তাকফির” করা সম্পর্কে নবাব সিদ্দিক হাসানখান সাহেবের একটি উক্তিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে কিভাবে জানতে ক্লিক করুন)।
আল্লামা নবাব সিদ্দিক হাসানখান (রহ.) ইমাম মাহদী সম্পর্কে নিজেরই রায় ও বিশ্বাস হিসেবে লিখেছেন, ইমাম মাহদীর প্রকৃত নাম হবে মুহাম্মদ, পিতার নাম হবে আব্দুল্লাহ। আর ‘মাহদী’ হচ্ছে তাঁর উপাধী। (দেখুন, পৃষ্ঠা নং ৩৫২, মূল ফার্সি সংস্করণ)। ইমাম মাহদী যখন বাইয়েত নেবেন তখন তাঁর বয়স ৪০ বছর পূর্ণ হবে। তাঁর জন্মস্থান হবে মদীনা, তিনি ইমাম হাসানের বংশে হবেন। (পৃষ্ঠা নং ৩৫৩)। ইমাম মাহদী হযরত ফাতেমার সন্তানদের থেকে হযরত ঈসার নুযূলের আগে আগে শেষ যামানায় জন্মগ্রহণ করবেন। তিনি বেলায়তে মুহাম্মদীয়ার সমাপ্তি ঘটাবেন। (পৃষ্ঠা নং ৩৫৫)। ইমাম মাহদী মদীনা মুনাওয়ারায় জন্মগ্রহণ করবেন, আহলে বাইয়েতের সদস্য থাকবেন, বায়তুল মোকাদ্দাসে হিজরত করবেন (ও সেখানে সেনা ছাউনি প্রতিস্থাপন করবেন) এবং সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করবেন। (পৃষ্ঠা নং ৩৫৮)। সুনানু আবু দাউদের কিতাবুল মাহদীর উম্মে সালমা হতে বর্ণিত সহীহ হাদীসটি দ্বারা বুঝানো উদ্দেশ্য যে, ইমাম মাহদী মদীনা হতেই আসবেন, যেহেতু তিনি সেখানেই জন্মলাভ করবেন। এই হাদীসের পরিপ্রেক্ষিতে (মাহদীর জন্মস্থান সংক্রান্ত বিচ্ছিন্ন) অপরাপর সমস্ত বর্ণনা পরিত্যাজ্য, আর তাঁর আত্মপ্রকাশ হবে মক্কায়, এটি সকলের ঐক্যমত। আর তিনি সেখান থেকেই পৃথিবীব্যাপী ইনসাফ প্রতিষ্ঠার মিশন বাস্তবায়ন করবেন। (পৃষ্ঠা নং ৩৫৮)।
এখন হিজাজুল কিরামাহ (حجج الكرامة فى آثار القيامة) গ্রন্থটিতেও উল্লিখিত ইমাম মাহদীর ঐ সমস্ত আলামতের সাথে মির্যা কাদিয়ানীকে মিলিয়ে দেখা যাক। সে সত্যিই ইমাম মাহদী ছিল কিনা? তবে রূপক টুপক চলবেনা!
সংযুক্তি স্ক্যানকপি:-
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2022/06/iMarkup_20220604_052607-605x1024.jpg)
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2022/06/iMarkup_20220604_053146-644x1024.jpg)
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2022/06/iMarkup_20220604_053540-615x1024.jpg)
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2022/06/iMarkup_20220604_053756-613x1024.jpg)
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী