![মির্যার স্ববিরোধীতা-৩ মির্যার স্ববিরোধীতা-৩](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2022/06/rt8091_how-to-improve-the-qa-session-at-your-next-event@2x.jpg)
ঈসা (আ.) উম্মতি হতে পারা, না পারা!
এখন এমন ব্যক্তিও কী করে আপনা দাবীতে সত্য হন?
১। (মির্যা কাদিয়ানী লিখেছেন), “যে ব্যক্তি উম্মতি-এর বাস্তবতার প্রতি তীক্ষ্ণদৃষ্টি দেয় সে পরিষ্কার বুঝতে পারে যে, হযরত ঈসা (আ.)-কে ‘উম্মতি’ সাব্যস্ত করা একটি কুফুরি।” (বারাহীনে আহমদীয়া খ-৫, রূহানী খাযায়েন ২১/৩৬৪)। এবার স্ববিরোধ কথা :
২। আরেক জায়গায় লিখেছেন, “কুরআন শরীফ দ্বারা তো সাব্যস্তই আছে যে, প্রত্যেক নবীই হযরত (সা.)-এর উম্মতের অন্তর্ভুক্ত। যেমন আল্লাহতালা বলেন, لتؤمن به و لتنصرنه (তোমরা অবশ্যই তার প্রতি ঈমান আনবে এবং তাঁকে সাহায্য করবে)। সুতরাং এইভাবেই সমস্ত আম্বিয়া (আলাইহিমুস সালাম) হযরত (সা.) এর উম্মত হয়ে যান।” (বারাহীনে আহমদীয়া খ-৫, রূহানী খাযায়েন ২১/৩০০)।
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2022/06/iMarkup_20220615_205120.jpg)
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2022/06/iMarkup_20220615_205319.jpg)
আমার প্রশ্ন, সমস্ত আম্বিয়া হযরত (সা.)-এর উম্মত হওয়া পবিত্র কুরআন দ্বারাই সাব্যস্ত হয়ে থাকলে তবে কিজন্য ঈসা (আ.)-কে ‘উম্মতি‘ সাব্যস্ত করা কুফুরি হবে?
শেষকথা : মির্যা কাদিয়ানী লিখেছেন: মিথ্যাবাদীর কথায় অবশ্যই স্ববিরোধীতা হয়ে থাকে। (রূহানী খাযায়েন: ২১/২৭৫)। অতএব এবার মির্যা কাদিয়ানী তারই স্ববিরোধী কথার কারণে কী সাব্যস্ত হলেন একটু ভেবে দেখবেন কি? এমন একজন মিথ্যাবাদীকে দুনিয়ার সমস্ত মুসলমান কিজন্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন তা এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। আল্লাহ আমাদের ঈমানকে রক্ষা করুন। আমীন।
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2020/08/PicsArt_08-31-09.33.57-1024x1024.jpg)
- পড়ুন: মির্যার স্ববিরোধীতা-১
- পড়ুন: মির্যার স্ববিরোধীতা-২
লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক