মির্যা কাদিয়ানী কর্তৃক ‘মুতাওয়াফফীকা’ শব্দের অর্থ চার জায়গায় চার রকম!
এখন এমন ব্যক্তিও কী করে আপনা দাবীতে সত্য হন?
মির্যা কাদিয়ানীর রচনাবলী হতে আরবী শব্দ انى متوفيك -এর ভিন্ন ভিন্ন অনুবাদ পেশ করছি, যেমন তিনি এক জায়গায় انى متوفيك অর্থ লিখেছেন (উর্দূতে), میں تجھکو پوری نعمت دوں گا (উচ্চারণ – মে তুজকো পুরি নে’মত দোংগা) অর্থাৎ আমি তোমাকে পূর্ণ নেয়ামত দেব। (রূহানী খাযায়েন ১/৬২০)। মির্যা সাহেব আরেক জায়গায় লিখেন, میں تجھے کامل اجر بخشوں گا (উচ্চারণ – মে তুজে কামেল আজর বখশোঁগা) অর্থাৎ আমি তোমাকে পরিপূর্ণ পুরষ্কার দেব। (রূহানী খাযায়েন ১/৬৬৪-৬৫)। মির্যা সাহেব আরেক জায়গায় লিখেন میں تجھے اسی ذلیل اور لعنتی موتوں سے بچاؤں گا (মে তুজে এসি যলীল অওর লা’নতি মউতুঁ চে বাছাঁওগা) অর্থাৎ আমি তোমাকে এমন অপমানকর ও অভিশপ্ত মৃত্যু হতে রক্ষা করব। (রূহানী খাযায়েন ১২/২৩)। স্ববিরোধ কথা : এবার আপনারা দেখতে পাবেন যে, মির্যা সাহেব ঐ ‘মুতাওয়াফফীকা’ শব্দের অর্থ ঈসা (আ.)-এর ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী অর্থ ‘মৃত্যু‘ নিয়েছেন। তিনি লিখেন, اے عیسیٰ میں تجھے وفات دینے والا ہوں (উচ্চারণ – আয় ঈসা মে তুজে ওফাত দেনে ওয়ালা হোঁ) অর্থাৎ হে ঈসা আমি তোমাকে মৃত্যু দেব…। (তুহফায়ে গোলডবিয়া, রূহানী খাযায়েন ১৭/১৬২)। এখন প্রশ্ন হল, অন্যান্য জায়গায় শব্দটির ‘মৃত্যু’ অর্থ ত্যাগ করে শুধু ঈসা (আ.)-এর ক্ষেত্রে এসে সেটিকে মৃত্যু অর্থে নেয়া হলে, তখন কি ঈসা (আ.)-এর উপর অবিচার করা হল না? অথচ এই জায়গার ন্যায় আগের জায়গাগুলোতেও কর্তা আল্লাহ এবং কর্ম যীরূহ বা প্রাণীবাচকই ছিল! এবার কবি একদম নিরব!!
প্রামাণ্য স্ক্যানকপি:-
শেষকথা : মির্যা কাদিয়ানী লিখেছেন: মিথ্যাবাদীর কথায় অবশ্যই স্ববিরোধীতা হয়ে থাকে। (রূহানী খাযায়েন: ২১/২৭৫)। অতএব এবার মির্যা কাদিয়ানী তারই স্ববিরোধী কথার কারণে কী সাব্যস্ত হলেন একটু ভেবে দেখবেন কি? এমন একজন মিথ্যাবাদীকে দুনিয়ার সমস্ত মুসলমান কিজন্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন তা এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। আল্লাহ আমাদের ঈমানকে রক্ষা করুন। আমীন।
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী