মির্যা কাদিয়ানী একবার লিখলেন মাহদী সংক্রান্ত সবগুলো হাদীসই দুর্বল, এমনকি ইবনে মাজাহ শরীফেরটাও, আবার লিখেন, ইবনে মাজাহ শরীফে লেখিত ঐ হাদীস বেশি সহীহ। হায়! স্ববিরোধীতা কারে কয়!
এখন এমন ব্যক্তিও কী করে আপনা দাবীতে সত্য হন?
মির্যা কাদিয়ানীর বই থেকে (তিনি লিখেছেন), ‘মাহদীর আগমন সংক্রান্ত হাদীসগুলো সম্পর্কে তুমি জানো, এর সবগুলোই দুর্বল এবং নানা আপত্তিতে ক্ষত বিক্ষত। আবার এগুলোর একাংশ অপরাংশের বক্তব্য বিরোধী। এমনকি ইবনে মাজাহ শরীফ এবং অন্যান্য হাদীসগ্রন্থে এটিও বর্ণিত হয়েছে, ঈসা ছাড়া অন্য কোনো মাহদী নেই। অতএব এত কঠিক বিরোধ, অভ্যন্তরীণ ক্রুটি ও দুর্বলতা সত্ত্বেও এসব হাদীসের উপর কিভাবে নির্ভর করা যেতে পারে?’ (হামামাতুল বুশরা, বাংলা অনূদিত পৃষ্ঠা নং ১৬১; মির্যা কাদিয়ানী)। স্ববিরোধ কথা : ‘এবং ঐ হাদীস সমূহের মুকাবিলায় ইবনে মাজাহ শরীফে লেখিত ঐ হাদীস বেশি সহীহ। আর সেটি হচ্ছে, لا المهدى الا عيسى অর্থাৎ আগমনকারী ঈসা ব্যতীত আর কোনো মাহদী নেই, শুধুমাত্র ঈসাই মাহদী।’ (রূহানী খাযায়েন ২১/৩৫৬)। প্রামাণ্য স্ক্যানকপি দ্রষ্টব্য।
শেষকথা : আহমদী অর্থাৎ কাদিয়ানীদের জন্য চরম লজ্জার কথা হল, তাদের স্ববিরোধ বক্তা কথিত মসীহ সাহেব ‘তুহফায়ে গোলডবিয়া’ (প্রথম প্রকাশ, আগস্ট ১৯০২ইং) নামক বইতে এও লিখেন যে, اور ہم ثابت کر چکے ہیں کہ وہی رجل فارسی مہدی ہے اس لئے ماننا پڑا کہ مسیح موعود اور مہدی اور دجال تینوں مشرق میں ہی ظاہر ہوں گے اور وہ ملک ہند ہے۔ অর্থাৎ এবং আমি প্রমাণ করেছি যে, সেই পারস্যের পুরুষটি-ই মাহদী। যেজন্য মানতে হবে যে, মসীহ মওঊদ, মাহদী এবং দাজ্জাল তিনোজন পূর্বদিকেই প্রকাশিত হবে আর সেই রাষ্ট্রটি হচ্ছে হিন্দুস্থান।” (রূহানী খাযায়েন ১৭/১৬৭ দ্রষ্টব্য)।
মির্যা কাদিয়ানী সাহেবের এই কথা হতে পরিষ্কার বুঝা গেল যে, ইমাম মাহদী আর মসীহ ঈসা তারা একই সত্তা নন, বরং আলাদা দুজনই। এখন কথা হল, তার বর্তমান অনুসারীরা তার স্ববিরোধপূর্ণ বক্তব্যগুলো থেকে এখন কোনটা নেবে আর কোনটা ছাড়বে? কিভাবে সম্ভব এত জঘন্য স্ববিরোধী এই মেড ইন ব্রিটেন মির্যাকে ইমাম মাহদীও মান্য করা?
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী