মির্যার রচনায় এক জায়গায় লিখা আছে নবুওয়তের ওহী বন্ধ হয়ে গেছে, মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে আল্লাহ নবীগণের সমাপ্তি ঘটিয়েছেন। আরেক জায়গায় নিজেই নিজের ব্যাপারে লিখলেন যে, তিনি নিজেই নাকি খোদার সকল পথসমূহের মধ্যে সর্বশেষ পথ!
এমন ব্যক্তিও কী করে আপনা দাবীতে সত্য হন?
মির্যা কাদিয়ানীর বই থেকে (তিনি লিখেছেন), ‘আমাদের নবী (সা.)-এর পর আমরা যদি কোনো নবীর আগমনকে বৈধ আখ্যা দেই তাহলে আমাদেরকে নবুওয়তের ওহী বন্ধ হওয়ার পর এটিকে অব্যাহত রাখার পথ খুঁজতে হবে। মুসলমানদের অজানা নয়, এটি সত্য পরিত্যাগের নামান্তর মাত্র। আমাদের রাসূল (সা.)-এর পর কিভাবে কোনো নবী আসতে পারে? তাঁর মৃত্যুর পর ওহী বন্ধ হয়ে গেছে আর আল্লাহ তাঁর মাধ্যমে নবীদের সমাপ্তি ঘটিয়েছেন।’ (মির্যার লেখিত পুস্তক হামামাতুল বুশরা, পৃষ্ঠা নং ৪৮)। এখানে মির্যা কাদিয়ানী পরিষ্কার করে বুঝিয়ে গেছেন যে, মুহাম্মদ (সা.)-ই সর্বশেষ নবী। তিনিই সর্বশেষ নূর ও হিদায়াতের শেষ ও চূড়ান্ত জ্যোতি। এবার মির্যার স্ববিরোধী কথা :
‘মুবারক (আশিসপ্রাপ্ত) তাহারা, যাহারা আমাকে চিনিতে পারিয়াছে। আমি খোদার সকল পথসমূহের মধ্যে সর্বশেষ পথ, এবং আমি তাহার যাবতীয় জ্যোতির মধ্যে সর্বশেষ জ্যোতি।’ (মির্যার লেখিত কিশতিয়ে নূহ, পৃষ্ঠা নং ৭৩ )।
প্রামাণ্য স্ক্যানকপি:-
শেষকথা হল, এমতাবস্থায় মির্যা সাহেব কি সীমাহীন মিথ্যা আর অসঙ্গতির জন্ম দিয়ে গেলেন না? এখন তাহলে মির্যা সাহেবকে তারই কথা অনুসারে আমি যদি একজন নাম্বার ওয়ান ‘কাজ্জাব-মিথ্যাবাদী‘ আখ্যা দিই তবে কি অন্যায় হবে? যেহেতু তিনি খোদ লিখেছেন, “মিথ্যাবাদীর কথায় অবশ্যই স্ববিরোধীতা হয়ে থাকে।” (রূহানী খাযায়েন ২১/২৭৫)। আপনার নিরপেক্ষ বিবেকের কাছে প্রশ্নগুলো রেখে দিলাম।
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী