মির্যা কাদিয়ানীর পাঁচমিশালি বংশ-পরিচয়! তার নিজেরই রচনাবলী থেকে তুলে ধরা হল! একজন নবী রাসূল দাবীদারের এই কেমন স্ববিরোধ কথাবার্তা!
এমন ব্যক্তিও কী করে আপনা দাবীতে সত্য হন?
মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর বই থেকে, তিনি (মির্যা সাহেব) নিজ বংশ-পরিচয় সম্পর্কে অনেক স্ববিরোধ তথ্য দিয়ে রেখেছেন। তার বইয়ের এক জায়গায় লিখা আছে, তার বংশ ছিল মোগল/মুঘল অর্থাৎ তুর্কী তাতারি জাতি। আর তার পূর্বপুরুষ ছিল, মোগল সেনাপতি তৈমুর লং। একথা লিখা আছে, তাদের “আহমদ চরিত” বইয়ের ১ নং পৃষ্ঠাতেও। আরো দেখুন, রূহানী খাযায়েন ১৩/১৬২। আরেক জায়গায় লিখা আছে, চায়নিজ বংশীয় (রূহানী খাযায়েন ১৭/১২৭)। আরেক জায়গায় লিখা আছে, ফাতেমি এবং ইসরাইলী বংশীয় (রূহানী খাযায়েন ১৮/২১৬)। তবে আরেকটি জায়গায় অবশ্যই পারস্য বংশীয় বলেও লিখা আছে (রূহানী খাযায়েন ১৩/১৬৩)। এখন একজন নবী রাসূল দাবীদারের কথাবার্তায় এত জঘন্য স্ববিরোধীতা কিভাবে থাকতে পারে? প্রামাণ্য স্ক্যানকপি:-
শেষকথা : মির্যা কাদিয়ানী লিখেছেন: মিথ্যাবাদীর কথায় অবশ্যই স্ববিরোধীতা হয়ে থাকে। (রূহানী খাযায়েন: ২১/২৭৫)। অতএব এবার মির্যা কাদিয়ানী তারই স্ববিরোধী কথার কারণে কী সাব্যস্ত হলেন একটু ভেবে দেখবেন কি? এমন একজন মিথ্যাবাদীকে দুনিয়ার সমস্ত মুসলমান কিজন্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন তা এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। আল্লাহ আমাদের ঈমানকে রক্ষা করুন। আমীন।
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী