মির্যার স্ববিরোধীতা-২৯

0
মির্যার স্ববিরোধীতা-২৯

ফাতেহ কাদিয়ান খ্যাত শায়খ সানাউল্লাহ অমৃতসরী (রহ.) সম্পর্কে মির্যার যাবতীয় লেখনীর বিষয়বস্তু গুলো শুধুই দোয়া-নির্ভর, আরেক জায়গার ভাষ্যমতে ইলহাম নির্ভর!

এখন এমন ব্যক্তিও কী করে আপনা দাবীতে সত্য হন?

মির্যা কাদিয়ানীর বই থেকে, ‘মৌলবী সানাউল্লাহ চে আখেরী ফয়সালা’ শীর্ষক শিরোনামে মির্যা সাহেব যা লিখে গেছেন সে সম্পর্কে তার বইয়ের এক জায়গায় লিখা আছে, “ইয়ে কেসি ইলহাম ইয়া ওহী কি বেনা ফর ফেশগোঈ নিহি, মহছ দু’আ কি তূর ফর মে নে খোদা চে ফয়সালা ছাহা”। অর্থ, এটি কোনো ইলহাম বা ওহীর ভিত্তিতে ভবিষ্যৎবাণী নহে, শুধুই দোয়ার মাধ্যমে আমি খোদার পক্ষ হতে ফয়সালা চেয়েছিলাম। (মাজমু’আয়ে ইশতিহারাত ৩/৫৭৮; নতুন এডিশন)। স্ববিরোধী কথা : (তিনি আরেক জায়গায় লিখেছেন), “সানাউল্লাহ কে মুতা’আল্লক জু কুচ লিখহা গিয়া ইয়ে দর-আছল হামারে তরফ চে নেহি, বলকে খোদা হী কে তরফ চে উসকি বুনিয়াদ রাখহি গী হে।” অর্থ, সানাউল্লাহ সম্পর্কে আমি যা কিছু লিখেছি তা প্রকৃতপক্ষে আমার পক্ষ হতে নহে, বরং খোদারই পক্ষ হতে সেটির ভিত্তি রাখা হয়েছে। (মির্যায়ী রচনা মালফুযাত ৫/২০৬ নতুন এডিশন)। প্রামাণ্য স্ক্যানকপি:-

শেষকথা : মির্যা কাদিয়ানী লিখেছেন: মিথ্যাবাদীর কথায় অবশ্যই স্ববিরোধীতা হয়ে থাকে। (রূহানী খাযায়েন: ২১/২৭৫)। অতএব এবার মির্যা কাদিয়ানী তারই স্ববিরোধী কথার কারণে কী সাব্যস্ত হলেন একটু ভেবে দেখবেন কি? এমন একজন মিথ্যাবাদীকে দুনিয়ার সমস্ত মুসলমান কিজন্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন তা এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। আল্লাহ আমাদের ঈমানকে রক্ষা করুন। আমীন।

লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here