কাদিয়ানীদের চেপে রাখা ধর্মবিশ্বাস!
মির্যা বশির উদ্দিন মাহমুদ এর ‘খুতুবাতে মাহমুদ’ গ্রন্থে লিখা আছে যে, জলসাও হজ্জের মত। বিস্তারিত জানুন! এখানে তারই বই থেকে বাংলা অনুবাদ সহ তুলে ধরছি। মির্যা বশির উদ্দিন মাহমুদ লিখেছেন, جب تم حج کے لئے نکلو تو یہ تین باتیں یاد رکھو۔ آج جلسہ کا پہلا دن ہے۔ اور ہمارا جلسہ بھی حج کی طرح ہے۔ حج خدا تعالی نے مؤمنون کی ترقی کے لئے مقرر کیا تھا۔ آج احمدیوں کے لئے دینی لحاظ سے حج تو مفید ہے مگر اس سے اصل غرض یعنی قوم کی ترقی تھی وہ انہیں حاصل نہیں ہو سکتی۔ کیونکہ حج کا مقام ایسی لوگوں کے قبضہ میں ہے جو احمدیوں کو قتل کر دینا بھی جائز سمجھتے ہیں۔ اس لئے خدا تعالی نے قادیان کو اس کام کے لئے مقرر کیا ہے۔ ہمارے آدمیوں میں سے جن کو خدا تعالیٰ توفیق دیتا ہے حج کرتے ہیں۔ مگر وہ فائدہ جو حج سے مقصود ہے وہ سالانہ جلسہ پر ہی آکر اٹھاتے ہیں. অর্থাৎ ‘যখন তোমরা হজের জন্য বের হবে তখন এ তিনটি কথা স্মরণ রাখবে। আজ জলসার প্রথম দিন। আর আমাদের জলসাও হজ্জের মতো। খোদাতালা মুমিনদের উন্নতি সাধনের জন্যই হজ্জ বিধান করেছিলেন। আজকে আহমদীদের জন্য ধর্মীয় ভাবে হজ্জ করা তো উপকারী, তবে তার মাধ্যমে যা প্রকৃত উদ্দেশ্য অর্থাৎ জাতির উন্নতি হওয়া ছিল সেটি তার মাধ্যমে অর্জিত হয় না। কেননা হজ্জের স্থান এমন লোকদের আয়ত্তে রয়েছে যারা আহমদীদেরকে হত্যা করাও বৈধ মনে করে। এজন্য খোদাতালা কাদিয়ানকে এই কাজের (হজ্জের) জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আমাদের লোকদের মধ্য হতে যাদেরকে খোদাতালা তাওফিক দিয়েছেন (তারা) হজ্জ করুক। কিন্তু হজ্জের মাধ্যমে যে উপকারীতা উদ্দেশ্য সেটি সালানা জলসায় এসেও লাভ করতে পারে।’ (খুতুবাতে মাহমুদ ৪/২৫৪; ২৫-১২-১৯১৪ খ্রিস্ট-বর্ষ)। প্রামাণ্য স্ক্যানকপি:-
কিন্তু এইরূপ সুস্পষ্ট প্রমাণ দেয়ার পরেও কতিপয় ঘাড়ত্যাড়া কাদিয়ানীর দৃষ্টিতে এগুলো মিথ্যা আর বানোয়াটই মনে হয়ে থাকে। আমি সবিনয়ে অনুরোধ করব, উল্লিখিত বইটি তাদের alislam.org ওয়েবসাইট থেকেও ডাউনলোড করে সত্যমিথ্যা মিলিয়ে দেখতে পারে। এইজন্য সরাসরি এই লিংকে ক্লিক করুন। আর নিম্নোক্ত নির্দেশিত ৫৩ নং লাইনে ক্লিক করুন। তবেই বশির উদ্দিন মাহমুদ এর বইটি ডাউনলোড হয়ে যাবে।
প্রিয় পাঠকপাঠিকা! আমাদের উলামায়ে কেরাম মানুষকে কাদিয়ানীদের ব্যাপারে সতর্ক করেই যাচ্ছেন। এখনো সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত। হয়ত কেউ দলিল প্রমাণ ভিত্তিক, কেউ বা সাধারণ ভাবে। যেভাবেই সতর্ক করে যাচ্ছেনা কেন, তাদের সতর্ক করার পেছনে যুক্তি আর বাস্তবতা যে রয়েছে সেটার অন্যতম প্রমাণ আমার আজকের এই লিখাটি। এখন নিজেই চিন্তা করুন, আল্লাহর একটি ফরজ হজ্জের সাথে কাদিয়ানীদের ‘সালানা জলসা’ কিভাবে তুলনীয় হয়? কিন্তু তাদের কত জঘন্য স্পর্ধা হলে ‘জলসা’-কে ফরজ হজ্জের সাথে তুলনা করতে পারে, ভাবতেও অবাক হই। এখন তাদের এই বিশ্বাস এক দিকে ভ্রান্ত ও অপর দিকে হজ্জের নিষ্ঠুরতম অবমাননা নয় কি? জ্ঞানীদের নিশ্চয়ই ভাবিয়ে তুলবে, ইনশাআল্লাহ।
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী