এক জায়গায় লিখেন, মুহাম্মদ (সা.) ছাড়া আর কেউই ‘ছাহেবে খাতাম’ নন। আরেক জায়গায় লিখেন, ঈসা (আ.) বনী ইসরাইলের জন্য ‘খাতামুল আম্বিয়া’ ছিলেন!
এমন ব্যক্তিও কী করে আপনা দাবীতে সত্য হন?
মির্যা কাদিয়ানীর বই থেকে (তিনি লিখেছেন), “তিনি (মুহাম্মদ) ব্যতীত আর কেউ ছাহেবে ‘খা-তাম’ নন। ছাহেবে খা-তাম হওয়ার অন্যতম একটি কারণ এই যে, তাঁর মোহর (সীল) দ্বারা এমন নবুওয়তও অর্জিত হয় যার জন্য উম্মতি হওয়া আবশ্যক।” (রূহানী খাযায়েন ২২/২৯-৩০)। স্ববিরোধী কথা : “বনী ইসরাইলের ‘খাতামুল আম্বিয়া’ হলেন ঈসা (আ:)”। (নুসরাতুল হক, রূহানী খাযায়েন ২১/৪১২)। এবার মির্যা কাদিয়ানী সাহেব নিজেরই স্ববিরোধী কথাবার্তার দরুন কী সাব্যস্ত হলেন? আফসোস! আত্মস্বীকৃত একজন মিথ্যাবাদীকে আপনারা ইমাম মাহদী বানিয়ে বসে আসেন। প্রামাণ্য স্ক্যানকপি:-
শেষকথা : মির্যা কাদিয়ানী লিখেছেন: মিথ্যাবাদীর কথায় অবশ্যই স্ববিরোধীতা হয়ে থাকে। (রূহানী খাযায়েন: ২১/২৭৫)। অতএব এবার মির্যা কাদিয়ানী তারই স্ববিরোধী কথার কারণে কী সাব্যস্ত হলেন একটু ভেবে দেখবেন কি? এমন একজন মিথ্যাবাদীকে দুনিয়ার সমস্ত মুসলমান কিজন্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন তা এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। আল্লাহ আমাদের ঈমানকে রক্ষা করুন। আমীন।
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী