কথিত ‘ঈদে গাদীরে খুম’ উদযাপনের অন্তর্নিহিত রহস্য
১৮ই জিলহজ্জ শীয়াদের কথিত ‘ঈদে গাদীরে খুম‘ হযরত উসমান (রা.)-এর শাহাদাতের উপর খুশি প্রকাশের উদ্দেশ্যেও পালিত হয় কিনা?
শীয়া ইসনা আশারীয়া সম্প্রদায়ের বিখ্যাত ধর্মীয়গ্রন্থ ও বাকের মজলিসির ‘বিহারুল আনওয়ার’-এর ৯৮ নং খণ্ডের ১৯৫ নং পাতায় লিখা আছে যে, “….উসমান ইবনু আফফান ৩৫ হিজরীর ১৮ই জিলহজ্জ রোজ শুক্রবার হত্যা হন যিনি উমাইয়া বংশের প্রথম খলীফা ছিলেন!” লিখকের দীর্ঘ লিখনীর শব্দচয়ন দ্বারা পরিষ্কার বুঝা যায় যে, তাদের কথিত ‘ঈদে গাদীরে খুম’ (عيد غدير خم) এর দিবসটি নাকি বহু কারণে বরকতপূর্ণ ও খুশি উদযাপনযোগ্য। আর তন্মধ্যে এই দিবসে উসমান (রা.) এর নির্মম শাহাদাত বরণ অন্যতম। এতেই পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায় যে, তাঁর শাহাদাত বরণের উপর আনন্দ প্রকাশ করার জন্যও ‘ঈদে গাদীরে খুম’ যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়ে থাকে।” নাউযুবিল্লাহ। ইসলাম এবং মুসলিম বিশ্বের জন্য এর চেয়ে বড় কষ্টের আর বড় বেদনার আর কী হতে পারে?? (স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য)।
আহ! এই শীয়ারা (রাফেজিরা) কতটা অমানবিক, কত জঘন্য অভিশপ্ত!! কল্পনা করুন তো একবার! মাজলুম খলীফা, বৃদ্ধ উসমান! প্রিয় নবী রাসূলে আরাবী (সা.)-এর দুই কলিজার টুকরো (যাদের একজন মৃত্যুবরণ করলে পরবর্তীতে আরেকজনকে বিবাহ করেন উসমান) যায়নাব আর রুকাইয়্যাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-এর প্রিয়তম স্বামী, নবীজীর পবিত্র জবাবে ‘যিন্নুরাইন’ খ্যাতিলাভকারী উসমানের শাহাদাতের উপর খুশি প্রকাশ! আহ! ইসলামের তৃতীয় খলীফার মর্মন্তুদ শাহাদাতের উপর খুশি উদযাপন!! শতাব্দীর কি নিকৃষ্ট ধৃষ্টতা! আহ উসমান! আহ!! রোজা অবস্থায়, পিপাসার্ত অবস্থায়, ইরাকি বিচ্ছিন্নতাবাদী সাবাঈ-সন্ত্রাসীচক্র কুপিয়ে হত্যা করেছিল যাঁকে। সেই হত্যার দিন ১৮ই জিলহজ্জ দিবসে ঈদে গাদীরে খুম পালন! ঈদ তথা আনন্দ উদযাপন!! কতোটা অভিশপ্ত আর পাষাণ এরা। এঁদের সাথে যাঁরা মহব্বত পোষণ করে, এরাও কি অভিশপ্ত নয়? এঁদের সাথে প্রকৃত ইসলাম প্রিয় কোনো মুসলমানের সুসম্পর্ক থাকতে পারে কি?
লিখক, তায়েফ হাসান খান (শীয়া মতবাদের মুখোশ উন্মোচনকারী প্রখ্যাত স্কলার ও গবেষক)।
সম্পাদনায়, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী এম.এ