খোমেনীবাদ : ৩
ইরানী শীয়া মতবাদের পথিকৃৎ মহানায়ক ও শীয়া মতবাদের মুজাদ্দিদ দাবীদার আয়াতুল্লাহ খোমেনী (১৯০২-১৯৮৯) লিখেছেন, یہاں تک کہ حضرت ختمی مرتبت ﷺ جو بشریت کی اصلاح، نظام عدل کے قیام اور تربیت بشر کیلئے آۓ تھے بھی اپنے زمانے میں اس مقصد میں مکمل طور پر کامیابی نہ پاسکے۔ جو شخص مکمل طور پر اس مقصد میں کامیاب ہوگا اور پوری دنیا میں عدل قائم کرے گا وہ صرف حضرت حجت ہیں ۔ অর্থ, এমন কি খাতামুল আম্বিয়া হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, যিনি মানব জাতির সংশোধন, ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত নিযাম (রাষ্ট্র) প্রতিষ্ঠা করার জন্য এবং মানব জাতীর যথাযথ তারবিয়াত (শিক্ষা-দীক্ষা প্রদান)-এর জন্য আগমন করেছিলেন, তিনি তাঁর যুগে এই সকল দায়িত্ব ও উদ্দেশ্যে পূর্ণাঙ্গভাবে কামিয়াব (সফল) হতে পারেননি। যে ব্যক্তি পূর্ণাঙ্গভাবে তাঁর মাকছাদে (উদ্দেশ্যে) সফল হবেন এবং সমগ্র বিশ্বে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করবেন, তিনি হলেন হযরতে হুজ্জাত (তথা শীয়াদের বারোতম ইমাম, মুহাম্মদ ইবনু হাসান আল আসগরী, উপাধী ইমাম মাহদী; যিনি তাদের বর্তমান বিশ্বাস অনুসারে লোকান্তরিত আছেন, শেষ যুগে ফিরে আসবেন-লিখক)। তথ্যসূত্র – امامت اور انسان کامل (অর্থাৎ ইমামাত আওর ইনছানে কামেল)। লেখক, শীয়া ইমাম রূহুল্লাহ খোমেনী, পৃষ্ঠা নং ২৭৮। প্রকাশনায়, ইদারায়ে তালীম ওয়া তারবিয়াত, লাহোর। সংযুক্ত স্ক্যানকপি নিচে দেখুন,
শেষকথা, শীয়াদের এই কথিত মুজাদ্দিদ নবীকূল শিরোমনি হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সম্পর্কে এসব কী লিখল! হায় হায়!! নবীজী (সা.) নাকি স্বীয় উদ্দেশ্যকে সফল করতে পারেননি! তিনি নাকি তাঁর দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারেননি!! তিনি তাঁর মিশনে আংশিক সফল ও আংশিক ব্যর্থ বা বিফল! আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাঁকে যে দায়িত্ব দিয়ে দুনিয়াতে পাঠিয়ে ছিলেন, তিনি তা যথাযথভাবে পালন করতে পারেন নি! আর সে দায়িত্ব নাকি শেষ যুগে এসে তাঁদের লোকান্তরিত কথিত ১২তম ইমাম সম্পূর্ণ করবেন! উল্লেখ্য, আহলে সুন্নাহ’র আকীদা মোটেও শীয়াদের মত নয়। বরং আহলে সুন্নাহর অনুসারীরা অসংখ্য সহীহ হাদীসের আলোকে বিশ্বাস করেন যে, প্রতীক্ষিত ইমাম মাহদী কোনো গর্তে লুকায়িত নন। বরং তিনি যথাসময়ে (মদীনায়) মায়ের গর্ভে জন্ম নিবেন, আত্মপ্রকাশ হবেন মক্কায় এবং সমগ্র বিশ্বের বুকে অত্যন্ত প্রতাপের সাথে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন। আর সে সময় ঈসা (আ.)-কে আল্লাহ আকাশ থেকে ফেরেশতার মাধ্যমে পৃথিবীতে নাযিল করবেন। যাইহোক, বলতে ছিলাম, শীয়াদের কত জঘন্য আকিদা হলে, নবীজীর মিশনকে ব্যর্থ ও নিষ্ফল বলেও আখ্যা দিতে পারে! না না, এমন আকিদা কোনো মুসলমানের হতে পারে?এমন কথা তো কোনো কাফেরের কিতাবেও নেই! তাহলে এ কেমন শীয়াদের মুজাদ্দিদ? এরা কেমন ইমাম? শীয়াদের সবাই কি ইমোশনাল? তাদ্দ্র সুস্থ্যজ্ঞানবোধ কি নেই? ইসলামের আদিম ও সহজ সরল পথে তথা আহলে সুন্নাহর পথ ও শিক্ষায় শীয়াদের এখনি ফিরে আসা উচিত। নইলে তাদের এ সব নবী বিদ্বেষী মতাদর্শ তাদেরকে নিঃসন্দেহে জাহান্নামে পৌঁছে দেবে।
অপ্রিয় হলেও সত্য, এই শীয়ারাই মূলত আল্লাহর শানে বেয়াদবি করে, আল্লাহর ফেরেস্তার শানে গোস্তাখি করে, আল্লাহর নবীগণের শানে তো তাদের গোস্তাখি করার অসংখ্য প্রমাণ বিদ্যমান। এরা আহলে বাইয়েতের শানেও প্রচুর গোস্তাখি করার প্রমাণ রয়েছে। জেনে অবাক হলেও সত্য এটাই যে, এই শীয়াদের পূর্বপুরুষরা আব্দুল্লাহ ইবনু সাবা নামক ইহুদীর সৃষ্টি। এরা মূলত তারই ‘সাবাঈ’ ধর্মের অনুসারী। তাঁদের সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। এরা সাধারণ মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার জন্য আহলে বাইয়েতের মহব্বতের নামে নাটক করে থাকে। ইনশাআল্লাহ, আমি মহররমের সিরিজ যখন লিখব তখনই তাঁদের কিতাব থেকেই দেখিয়ে দেব যে, হযরত হুসাইন (রা.)-কে এই রাফেজি সাবাঈ-শীয়ারাই শহীদ করেছিল। মূলত এরা নিজেরাই আহলে বাইয়েতের প্রকৃত খুনী। আসল কথা হল, এঁদের জন্মই হয়েছিল ইসলাম আর মুসলিম উম্মাহার ক্ষতি করার জন্য। এরা বর্তমানে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষাকে বিকৃত করার মিশন নিয়ে নেমেছে। এরা পবিত্র কুরআনকে বিকৃত গ্রন্থ বলে প্রমাণ করতে নানা জাল ও অগ্রহণযোগ্য বর্ণনা আর বিকৃত ইতিহাসেরও আশ্রয় নিয়ে থাকে। ফলে খ্রিস্টান আর নাস্তিকদের জন্য এদেরই সে সমস্ত বানোয়াট আর্গুমেন্ট দ্বারাই অনেক সহজ হয়ে যায় ইসলামকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে। এভাবেই শীয়ারা ইসলামের শিকড় কেটে দেয়ার ভয়াবহ মিশনে কাজ করছে। কিন্তু সাধারণ মুসলমান আর অনেক জ্ঞানীও শীয়াদের অপতৎপরতা সম্পর্কে আজও বেখবর! (প্রামাণ্য স্ক্রিনশট)।
লিখক, তায়েফ হাসান খান
শীয়া মতবাদের উপর স্পেশালিষ্ট ও গবেষক।
সম্পাদনায়, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী