আজকে এখানে মির্যায়ী তথা কাদিয়ানীদের লিটারেচার থেকে পরষ্পর বিরোধী দুইটি বক্তব্য আপনাদের সামনে তুলে ধরব, ইনশাআল্লাহ।
(১) [ক] ‘আমাদের মতে আহমদীর পক্ষেও জাহান্নামে যাওয়া সম্ভব, এবং যাহারা আহমদী (কাদিয়ানী) নহে তাহাদের পক্ষেও জান্নাতে যাওয়া সম্ভব’। (আহমদীয়াতের পয়গাম পৃষ্ঠা নং ১১, দশম সংস্করণ মে ২০০৬ ইং)। [খ] বাংলাদেশের কাদিয়ানী জামাতের মূলকেন্দ্র ঢাকার বকশিবাজার। সেখান থেকে প্রকাশিত তাদের অফিসিয়াল ম্যাগাজিন ‘পাক্ষিক আহমদী‘ (তাং ১৫-১২-২০১২ইং পৃষ্ঠা নং ৬) থেকে লিখছি, সেখানে লিখা আছে, ‘আল্লাহ প্রেরিত সেই মসীহে মওউদ (আ.)-এর ইসলামী শিক্ষার আলোকে প্রদত্ত সুশিক্ষার কারণেই আহমদীয়া জামাত আল্লাহ ও রসূল (সা.)-এর নির্দেশ অনুসারে প্রত্যেক কলেমা পাঠকারীকে মুসলমান মনে করে।’ এবার আগেরটার স্ববিরোধ কথা পড়ুন : (২) মির্যা কাদিয়ানীর ছেলে ও (কথিত মুসলেহ মওউদ খেতাবপ্রাপ্ত এবং তার) দ্বিতীয় খলীফা মির্যা বশির উদ্দিন মাহমুদের রচিত “আয়নায়ে সাদাকাত” থেকে পড়ুন, তিনি লিখেছেন, کل مسلمان جو حضرت مسیح موعود کی بیعت میں شامل نہیں ہوئے خواہ انہوں نے حضرت مسیح موعود کا نام بہی نہیں سنا وہ کافر اور دائرہ اسلام سے خارج ہیں অর্থাৎ যে সমস্ত মুসলমান মসীহ মওউদের (মির্যা কাদিয়ানী) বাইয়েতের মধ্যে শামিল হয়নি, তারা যদিও বা হযরত মসীহ মওউদের নাম পর্যন্ত শুনেনি এমন ব্যক্তিও কাফের এবং ইসলামের গণ্ডি থেকে বহিষ্কৃত। (আরো দেখুন, মির্যা বশির উদ্দিন এর রচনাবলীর সমষ্টি ২৬ খণ্ডে প্রকাশিত ‘আনওয়ারুল উলূম’ এর ৬ নং খণ্ডের ১১০ নং পৃষ্ঠা, অনলাইন এডিশন [উর্দু])। প্রামাণ্য স্ক্যানকপি :-
শেষকথা, আমি এসবের উপর মন্তব্য করতে চাই না। তবে শুধু এটুকু জিজ্ঞেস করতে চাই, যেসব সাধারণ কাদিয়ানী নিজ নিজ এলাকার কলেমা পাঠকারী অ-কাদিয়ানী আত্মীয়স্বজন কিবা পাড়াপ্রতিবেশিকে কলেমা পাঠকারী হিসেবে একজন মুসলমান বলে বিশ্বাস করে আসছেন, তাদের উক্ত বিশ্বাসের কী অবস্থা হবে? কারণ মির্যা পুত্র বশির উদ্দিন মাহমুদ তো পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, মসীহে মওউদের নিকট বাইয়েত না নিলে এমনকি যে মসীহে মওউদের নামও শুনেনি এমন ব্যক্তিও কাফের এবং ইসলামের গণ্ডির বাহিরে! এমতাবস্থায় বাংলাদেশী কাদিয়ানীদের পাক্ষিক আহমদীর ফতুয়াকে সঠিক মানবো নাকি মির্যাপুত্রেরটা সঠিক মানবো? সাধারণ কাদিয়ানীদের কোন গতি?
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী এম.এ