Home ইউজে আসেফ মির্যার স্ববিরোধীতা-৩৮

মির্যার স্ববিরোধীতা-৩৮

0
মির্যার স্ববিরোধীতা-৩৮

কোথাও ইমাম মাহদী এবং ঈসা দুইজনই একই ব্যক্তি বলে লিখলেন আবার কোথাও তাদেরকে ভিন্ন ভিন্ন সত্তা বলেও উল্লেখ করলেন! স্ববিরোধীতা কাকে বলে!

এখন এমন ব্যক্তিও কী করে আপনা দাবীতে সত্য হন?

মির্যা কাদিয়ানীর বই থেকে। তিনি লিখেছেন, اور ان حدیثوں کے مقابل پر یہ حدیث بہت صحیح ہے جو ابن ماجہ نے لکھی ہے اور وہ یہ ہے کہ لا مہدی الا عیسی یعنی اور کوئی مہدی نہیں صرف عیسی ہی مہدی ہے جو آنے والا ہے অর্থাৎ এই (উপরে উল্লিখিত) হাদীসগুলোর তুলনায় ইবনে মাজাহ’র লেখিত এই হাদীসটি বহুত সহীহ। আর সেটি হচ্ছে, لا مہدی الا عیسی (তথা ‘কোনো মাহদী নেই তবে আগমনকারী ঈসা ইবনে মরিয়ম ব্যতীত)।’ (রূহানী খাযায়েন ২১/৩৫৬)। এখানে তিনি ইমাম মাহদী আর ঈসা উভয়কে একই ব্যক্তি সাব্যস্ত করতে চেয়েছেনস্ববিরোধ কথা : মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর বই থেকে তুলে দেয়া হল। তিনিও ঈসা মসীহ এবং ইমাম মাহদী দুইজনকে আলাদা সত্তা বলে পরিষ্কার শব্দে লিখে গেছেন এভাবেই, اور ہم ثابت کر چکے ہیں کہ وہی رجل فارسی  مہدی ہے اس لئے ماننا پڑا کہ مسیح موعود اور مہدی اور دجال تینوں مشرق میں  ہی ظاہر ہوں گے اور وہ ملک ہند ہے۔ অর্থাৎ এবং আমি প্রমাণ করেছি যে, সেই পারস্যের পুরুষটি-ই মাহদী। যেজন্য মানতে হবে যে, মসীহ মওউদ, মাহদী এবং দাজ্জাল তিনোজন পূর্বদিকেই প্রকাশিত হবে আর সেই রাষ্ট্রটি হচ্ছে হিন্দুস্থান। (রূহানী খাযায়েন ১৭/১৬৭)। 

সম্পর্কিত কিছু কথা :- এখানে মির্যা সাহেব পরিষ্কার শব্দে ‘তিনো‘ তথা তিনজন বলে লিখে গেছেন। স্পষ্টত বুঝা যাচ্ছে যে, ঈসা আর ইমাম মাহদী কখনোই একই সত্তা হবেন না। আর এটি মির্যা কাদিয়ানীরও কলম থেকে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় যেভাবেই হোক, বেরিয়ে গেছে। এখন কথা হল, মির্যা সাহেব প্রথমোক্ত রচনায় লিখলেন, মাহদী এবং ঈসা দুইজনই একই ব্যক্তি, আর তিনি ইবনে মাজাহ’র একটি রেওয়ায়েত দ্বারা সে কথা প্রমাণও করতে চেয়েছেন। এমনকি রেওয়ায়েতটিকে তিনি তার অপরাপর কথার বিরুদ্ধে গিয়েও ‘সহীহ’ আখ্যা দিয়েছেন। এর চেয়ে বড় স্ববিরোধ কথা আর কী?

শেষকথা : মির্যা কাদিয়ানী লিখেছেন: মিথ্যাবাদীর কথায় অবশ্যই স্ববিরোধীতা হয়ে থাকে। (রূহানী খাযায়েন: ২১/২৭৫)। অতএব এবার মির্যা কাদিয়ানী তারই স্ববিরোধী কথার কারণে কী সাব্যস্ত হলেন একটু ভেবে দেখবেন কি? এমন একজন মিথ্যাবাদীকে দুনিয়ার সমস্ত মুসলমান কিজন্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন তা এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। আল্লাহ আমাদের ঈমানকে রক্ষা করুন। আমীন।

লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক

Previous article মির্যায়ীদের স্ববিরোধীতা-৩৭
Next article মুহাম্মদ (সা.)-কেও তাওয়াফফা করা মানে কি আকাশে উঠিয়ে নেয়া?
প্রিয় পাঠকবৃন্দ! এটি সম্পূর্ণ দ্বীনি ও অলাভজনক একটি ওয়েবসাইট। প্রতি বছর এটির ডোমেইন ও হোস্টিং ফি হিসেবে আমাকে এর ব্যয় বহন করতে হচ্ছে। যদি উক্ত ব্যয় বহন করতে অপারগ হই তাহলে এই সাইটটি নিশ্চিত বন্ধ হয়ে যাবে। সেহেতু আপনাদের সবার নিকট আবেদন থাকবে যে, আপনারা সাইটটির উক্ত ব্যয় বহনে এতে বিজ্ঞাপন দিতে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহিত করবেন এবং নিজেরাও সহযোগিতায় এগিয়ে আসবেন। বিনীত এডমিন! বিকাশ : ০১৬২৯-৯৪১৭৭৩ (পার্সোনাল)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here