বাইবেলের নামেও এ কি জঘন্য মিথ্যাচার! তাহলে এমন ব্যক্তি আপনা দাবীসমূহ ক্ষেত্রে সত্য হন কিভাবে? সে তো প্রতারণাও দিতে পারে?
মির্যা কাদিয়ানীকে “ইমাম মাহদী” সাব্যস্ত করার আগে সে শুধুই একজন “সত্যবাদী” ছিল প্রমাণ করুন!
বাইবেলের নামে মির্যা কাদিয়ানীর কত জঘন্য মিথ্যাচার দেখুন,
মির্যা কাদিয়ানী সাহেব লিখেছেন, “ইঞ্জিলে হযরত মসীহ’র আগমন সম্পর্কে দু’ধরণের ভবিষ্যৎবাণী রয়েছে। (এক) শেষ যুগে তাঁর আগমনের যে ওয়াদা তা হচ্ছে রূহানীভাবে আগমনের ওয়াদা।” (দেখুন, মসীহ হিন্দুস্তান মে, বাংলা ৩৬; পুনর্মুদ্রণ মার্চ, ২০১২ খ্রিস্টাব্দ)।
কিন্তু আমি বাইবেল পড়তে গিয়ে দেখলাম সেখানে একটি শ্লোকে লিখা আছে, “যীশু যখন জৈতুন পর্বতমালার ওপর বসেছিলেন, তখন তাঁর শিষ্যরা একান্তে তাঁর কাছে এসে তাঁকে বললেন, ‘আমাদের বলুন, কখন এসব ঘটবে, আর আপনার আসার এবং এ যুগের শেষ পরিণতির সময় জানার চিহ্নই বা কী হবে?’ এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, ‘দেখো! কেউ যেন তোমাদের না ঠকায়৷ আমি তোমাদের একথা বলছি কারণ অনেকে আমার নামে আসবে আর তারা বলবে, ‘আমি খ্রীষ্ট৷’ আর তারা অনেক লোককে ঠকাবে৷” (বাইবেল, মথি ২৪:৩-৫)।
বাইবেলের আরেকটি শ্লোকে লিখা আছে, “সেই দুই ব্যক্তি প্রেরিতদের বললেন, ‘হে গালীলের লোকেরা, তোমরা আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছ কেন? এই যে যীশু, যাকে তোমাদের সামনে থেকে স্বর্গে তুলে নেওয়া হল, তাঁকে যেভাবে তোমরা স্বর্গে যেতে দেখলে, ঠিক সেই ভাবেই তিনি ফিরে আসবেন৷” (বাইবেল, শিষ্যচরিত/প্রেরিত অধ্যায়-১/শ্লোক ১০-১১)।
এখন প্রশ্ন হল, বাইবেলের নামেও এত ডাহা মিথ্যা রটনাকারী অন্তত আল্লাহ’র নির্বাচিত একজন “প্রেরিত পুরুষ” হন কিভাবে?
শেষকথা, আসলে আহমদী-কাদিয়ানীবন্ধুরা সহজ ও সঠিক পদ্ধতিতে মির্যা কাদিয়ানী সাহেবকে আবিষ্কার করতে চায় না। ফলে তারা ‘মাহদী-মসীহ’ টার্ম নিয়ে খামখা সময় পার করে থাকেন। অথচ যে মানুষটি “সত্যবাদী” এর মানদণ্ডেও উত্তীর্ণ হতে পারেন না সেই মানুষটিকে তারা আল্লাহর প্রেরিত মহা পুরুষ বানিয়ে ফেলছে! ও কলিজার ভাইয়েরা! নিজেদের উপর একটুখানি দয়া করুন! নিরপেক্ষ বিবেক দিয়ে কথাগুলো ভাবুন!
মনে করুন, মির্যা কাদিয়ানী সাহেব স্বভাবতই একজন মিথ্যুক, এমতাবস্থায় তার আল্লাহর পক্ষ হতে প্রেরিত দাবী /ইমাম মাহদী দাবী/ইসলামের গত শতশত বছর পূর্বেকার শিক্ষার বিপরীতে যেসব নতুন শিক্ষা দিয়ে গেলেন ইত্যাদি আপনি কোন বিশ্বস্ততার ভিত্তিতে সত্য বলে গ্রহণ করবেন! আপনাকে তো ঠকানোও হতে পারে! নাকি তার মিথ্যাকেও রূপক আখ্যা দেবেন! এইজন্যই আমি/আমার মত যারা আছেন তাদের কথা একটাই, আগে মির্যা কাদিয়ানীর সত্যবাদিতা সাব্যস্ত করা হোক, তার পরেই তার বিভিন্ন ব্যাখ্যা দাবী এবং শিক্ষা-দীক্ষা সংক্রান্ত পর্যালোচনায় যাওয়া হবে।
লিখক, প্রিন্সিপাল মুহাম্মদ নূরুন্নবী এম.এ