কাদিয়ানীদের প্রশ্নের উত্তর :
ইহুদ-নাসারাগণ তাদের নবীগণের কবর-সমূহকে সেজদার স্থলে পরিণত করা…. প্রসঙ্গে (এপিসোড-২)
আহমদী-কাদিয়ানীবন্ধুদের প্রায় দেখা যায় যে, উক্ত হাদীসটির একতরফা বাহ্যিক অর্থে হযরত ঈসা (আ.)-কেও অন্তর্ভুক্ত করে মৃত বলিয়া সাব্যস্ত করার চেষ্টা করে। আমি এর যথাযোগ্য ইলমি জবাব অন্যখানে দিয়েছি (এপিসোড-১)। এখানে শুধু এটুকু বলব যে, নির্বোধ কাদিয়ানীরা একথা বুঝতে পারেনা যে, ইহুদীদের নবীগণ খ্রিস্টানদেরও নবী হিসেবে গণ্য হয়ে থাকেন। মির্যা কাদিয়ানী ‘দাফেউল বালা’ (বাংলা অনূদিত, টীকা দ্রষ্টব্য) বইতে সুস্পষ্টত লিখে গেছেন “হযরত ঈসা (আ:) হযরত মূসা (আ:)-এরই শরীয়তের অধীনে ছিলেন।” অতএব, অন্তত তার এই বক্তব্যই বলে দিচ্ছে হাদীসের ঐ কথার একমাত্র এই অর্থ ছাড়া আর কোনো অর্থ নাই যে, বনী ইসরাইলের কবর-পূজার মত অপবিত্র ও গর্হিত কাজটি যেসমস্ত নবীর শানে ঘটেছিল তাঁরা সকলেই ইহুদীদের জন্যই প্রেরিত ও ঈসা (আ:)-এর আগমনপূর্ব সময়কার ছিলেন। সহীহ মুসলিম শরীফে হযরত জুনদুব (রা.) হতে বর্ণিত كانوا يتخذون قبور أنبيائهم و صالحيهم مساجد অর্থ—’ইহুদ-নাসারাগণ তাদের নবীগণ আর নেককার (পূর্বপুরুষ) গণের কবর-সমূহকে সেজদার স্থলে পরিণত করেছিল‘ মর্মে হাদীসটিও আমাদের ডেকে ডেকে বলছে যে, قبور انبيائهم (নবীগণের কবর-সমূহ) হতে শুধুমাত্র ইহুদীদের জন্যই প্রেরিত ও ঈসা (আ:)-এর আগমনপূর্ব সময়কার “নবীগণের কবর-সমূহ” বুঝানো উদ্দেশ্য।
সুতরাং একদম স্পষ্ট হয়ে গেল যে, قبور انبيائهم مساجد হাদীসটির “কবর-সমূহ” অর্থে হযরত ঈসা (আ.)-এর কবরকে শামিল করবেনা। শেষকথা হল, রাসূল (সা.)-এর অসংখ্য হাদীস বলছে, তিনি (আ.) শেষ যুগে আকাশ থেকে যথাসময়ে নাযিল হবেন। তারপর তিনি যথাসময় মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবেন। আশাকরি আর কোনো সংশয় রইলো না।
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী