Home উম্মতিনবী চার চার বার নাবীউল্লাহ ও মির্যায়ী ভেল্কিবাজি

চার চার বার নাবীউল্লাহ ও মির্যায়ী ভেল্কিবাজি

0
চার চার বার নাবীউল্লাহ ও মির্যায়ী ভেল্কিবাজি

মির্যায়ী ভেল্কিবাজরা নিকৃষ্ট এক সিলেক্টিভ চিজ!

মুসলিম শরীফের ৭০৭৮ নং হাদীসে [ইফা] ‘চার চার বার ঈসা নাবীউল্লাহ’ উল্লেখ থাকা নিয়ে কাদিয়ানীদের ভেল্কিবাজির মুখোশ উন্মোচন :

(একই হাদীসে উল্লিখিত অপরাপর ১০টি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি)

১. দাজ্জাল যুবক এবং কোঁকড়া চুল বিশিষ্ট হবে।

২. দাজ্জাল পৃথিবীতে চল্লিশ দিন পর্যন্ত থাকবে। এর প্রথম দিনটি এক বছরের সমান, দ্বিতীয় দিন এক মাসের সমান এবং তৃতীয় দিন এক সপ্তাহের সমান হবে। অবশিষ্ট দিনগুলো সাধারণ দিনগুলোর মতই হবে।

৩.দাজ্জাল এক সম্প্রদায়ের নিকট এসে তাদেরকে কুফুরীর দিকে আহবান করবে। তারা তার উপর ঈমান আনয়ন করবে এবং তার ডাকে সাড়া দিবে। অতঃপর সে আকাশকে হুকুম করবে। আকাশ বৃষ্টি বর্ষণ করবে এবং ভূমিকে নির্দেশ দিবে, ভূমি গাছ-পালা ও শষ্য উদগত করবে।

৪. দাজ্জাল এক যুবক ব্যক্তিকে ডেকে আনবে এবং তাকে তরবারি দ্বারা আঘাত করে তীরের লক্ষ্যস্থলের ন্যায় দু’ফাঁক করে ফেলবে। অতঃপর সে পুনরায় তাকে ডাকবে। যুবক দীপ্তমান হাস্যোজ্জল চেহারায় তার দিকে এগিয়ে আসবে।

৫. এ সময় আল্লাহতালা মরিয়মের পুত্র ঈসা (আ.)-কে প্রেরণ করবেন। তিনি দুই হাত দুই ফিরিশতার ডানায় রেখে দুইটি হলুদ বর্ণের চাদর পরিধান করে দামেস্ক নগরীর পূর্ব প্রান্তে শ্বেত মিনারের নিকটে অবতরণ করবেন।

৬. তিনি (ঈসা) দাজ্জালকে তালাশ করতে থাকবেন। অবশেষে তাকে (ফিলিস্তিনের) ‘লূদ’ নামক পটকের কাছে পেয়ে যাবেন এবং তাকে (বর্শার আঘাতে) হত্যা করবেন।

৭. আল্লাহতালা ঈসা (আ.)- এর প্রতি এ মর্মে ওহী (অন্তরে প্রক্ষেপণ) করবেন যে, আমি আমার এমন কিছু বিশেষ বান্দা আবির্ভূত করছি, যাদের সাথে কারোরই যুদ্ধ করার ক্ষমতা নেই। সুতরাং তুমি আমার বান্দাদের তূর পর্বতে সমবেত কর। তখন আল্লাহতালা ইয়াজুয-মাজুজ সম্প্রদায়কে প্রেরণ করবেন। তারা প্রতিটি উঁচু ভূমি হতে ছুটে আসবে।

৮. তারা আল্লাহ’র নবী ঈসা (আ.) এবং তাঁর সঙ্গীদেরকে অবরোধ করে রাখবে। ফলে তাদের নিকট (সে সময়কার) একটি বলদ (বা গরু)’র মাথা বর্তমানে তোমাদের (সাহাবীদের যুগেকার অবস্থার দিকে ইংগিত) নিকট একশ দিনারের মূল্যের চেয়েও অধিক উৎকৃষ্ট প্রতিপন্ন হবে।

৯. তখন আল্লাহ’র নবী ঈসা (আ.) এবং তাঁর সঙ্গীগণ আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করবেন। ফলে আল্লাহতালা ইয়াজুয-মাজুজ সম্প্রদায়ের প্রতি আযাব প্রেরণ করবেন।

১০. অতঃপর ঈসা (আ.) ও তাঁর সঙ্গীগণ পাহাড় হতে যমীনে নেমে আসবেন। কিন্তু তারা অর্ধ হাত জায়গাও এমন পাবেন না যেথায় তাদের পঁচা লাশ ও লাশের দুর্গন্ধ নেই। অতঃপর ঈসা (আ.) এবং তাঁর সঙ্গীগণ পুনরায় আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করবেন।

এখন প্রশ্ন হল, হাদীসটির ‘নাবিউল্লাহ‘ শব্দটি হতে কাদিয়ানীদের মতে “রূপক” ঈসা উদ্দেশ্য হলে আর সেই কনসেপ্ট থেকেই মির্যা কাদিয়ানীর “নবী” দাবী বৈধ হলে তখন একই হাদীসের উল্লিখিত অপরাপর ১০টি পয়েন্টের কী ব্যাখ্যা? আহা! এরা কতটা জঘন্য সিলেক্টিভ জাতি তা তাদের ব্রেইন ওয়াশরা যদি বুঝত!

(‘ঈসা নাবিউল্লাহ’ চার চার বার মুসলিম শরীফের যে হাদীসটিতে এসেছে সেটির সম্পূর্ণ আরবী ইবারত অর্থসহ এখান থেকে পড়ুন, তবেই কাদিয়ানীদের দু নম্বারি ও প্রতারণা হাতেনাতে ধরতে পারবেন Click)।

লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here