Home কাদিয়ানীদের প্রশ্ন ও আমার জবাব কাদিয়ানীরা যেসব হাদীস দেখিয়ে ঈসা (আ:)-কে মৃত দাবী করে

কাদিয়ানীরা যেসব হাদীস দেখিয়ে ঈসা (আ:)-কে মৃত দাবী করে

কাদিয়ানীরা যেসব হাদীস দেখিয়ে ঈসা (আ:)-কে মৃত দাবী করে

ঈসা (আ:) সম্পর্কিত কাদিয়ানীদের উদ্ধৃত ৫টি হাদীসের জবাব :

১. ইহুদী-নাসারাগণ তাদের নবীগণের কবর-সমূহকে সেজদার স্থলে পরিণত করা… প্রসঙ্গে (এপিসোড-১) :

প্রশ্নকর্তা, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, অভিশাপ সেসব ইহুদী নাসারার প্রতি। যারা তাদের নবীগণের কবরগুলোও সেজদার স্থলে পরিণত করেছিল। এখন এর দ্বারা ঈসা (আ.)ও একজন কবর-পথযাত্রী মৃত সাব্যস্ত হল না?

উত্তরতাদা, প্রশ্নকারী হয়ত জানেই না যে, উল্লিখিত হাদীস সহীহ বুখারীতে সংক্ষিপ্তাকারে এলেও সহীহ মুসলিম শরীফ, মসনাদে আহমদ, মু’জামুল কাবীর এবং তাবারানী প্রভৃতিগ্রন্থে আরেকটু বিস্তারিত উল্লেখ আছে। যদ্দ্বারা পরিষ্কার বুঝা যায় যে, বনী ইসরাইলী সম্প্রদায় তাদের নবীগণের কবরগুলো তো বটে, তারা তাদের পূর্বপুরুষদের মধ্য হতে পুন্যবান ব্যক্তিদের কবরগুলোও সেজদার স্থলে পরিণত করেছিল। তাই সবগুলো বর্ণনাকে সামনে রেখে বিশিষ্ট যুগ-ইমাম আল্লামা জালালুদ্দিন আস-সুয়ূতী (রহ.) হাদীসটির ব্যাখ্যায় লিখেছেন যে,

  • “রাসূল (সা.) যখন মৃত্যুশয্যায় নিপতিত হন তখন তিনি আপন মুখের উপর একখানা চাদর দিয়ে রাখলেন পরে যখন খারাপ লাগল তখন তা চেহারা মুবারক হতে সরিয়ে দিলেন এবং তিনি এ অবস্থায় বললেন, ‘ইহুদী আর নাসারা জাতির উপর আল্লাহ’র অভিশাপ। কারণ তারা তাদের নবীদের কবরগুলোকে সেজদার স্থলে পরিণত করেছে’।” (সহীহ বুখারী)।

হাদীসটিতে ‘নাসারা’ (ঈসায়ী) শব্দ উল্লেখ থাকায় একটি প্রশ্ন আসতে পারে যে, তবে কি ঈসা (আ.)ও মৃত্যুবরণ করেছেন? আর যেহেতু নাসারাদের একমাত্র নবী ঈসা (আ.) ইন্তেকাল করেননি, তাই এর জবাব হল, হাদীসে ইহুদী এবং নাসারা সম্পর্কে ‘নবী’ শব্দের বহুবচন أنبياء (আম্বিয়া) উল্লেখ থাকায় আরও বেশি কৌতূহল জাগে! যেহেতু (নাসারা-ধর্মে একজন ছাড়া) আর কেউই নবী ছিলেননা। যেমন ঈসা (আ:)-এর শিষ্যগণ এবং হযরত মরিয়ম সিদ্দিকা প্রমুখ। কাজেই (এখানে ‘আম্বিয়া’/انبياء শব্দের পর ‘ছলেহীন’/صَالِحين শব্দ ঊহ্য মেনে) ‘নবীগণ’ দ্বারা যথাক্রমে ইহুদীদের নবীগণ আর (ছলেহীন থেকে) নাসারাদের অনুসৃত পুন্যবান ব্যক্তিদের উদ্দেশ্য নিতে হবে। মুসলিম শরীফের একখানা হাদীস হতে ব্যাখ্যাটির সমর্থনে জোরালো ইংগিত পাওয়া যায়। হাদীসটি এই যে, হযরত জুনদুব (রা.) হতে বর্ণিত আছে, كانوا يتخذون قبورَ أنبيائِهم وصَالِحِيْهِمْ مَسَاجِدَ অর্থাৎ তোমাদের পূর্ববর্তীরা তাদের নবীগণের এবং নেককার ব্যক্তিদের কবরগুলোকে সেজদার স্থলে পরিণত করেছিলো।” (তথ্যসূত্রঃ শরহে সুয়ূতী লি-সুনানে নাসায়ী, কিতাবুল মাসাজিদ; আরো দেখুন, ফাতহুল বারী, কিতাবুস সালাত; হাদীস নং ৪৩৭)। {এই প্রশ্নটির দ্বিতীয় উত্তর পড়ুন}।

আফসোস! কাদিয়ানীরা মুসলিম শরীফের হাদীসটির এই অংশটিকে কৌশলে এড়িয়ে যায় এবং সহীহ বুখারীর উল্লিখিত হাদীসের একতরফা বাহ্যিক অর্থে নিজেরা তো ধোকা খায়, অন্যকেও একই ধোকা দেয়ার চেষ্টা করে। অধিকন্তু রাসূল (সা:) থেকে দ্ব্যর্থহীনভাবে বর্ণিত আছে ان عيسى لم يمت অর্থাৎ “নিশ্চয়ই ঈসা (আ:) মৃত্যুবরণ করেননি।” (তাফসীরে তাবারী ৫/৪৪৮; দুররে মানছূর ২/৬৪)। নির্বোধদের কি জানা নেই যে, রাসূল (সা.)-এর সহীহ সনদে বর্ণিত হাদীসগুলোয় কখনো বৈপরীত্য নেই। অথচ কাদিয়ানীদের একতরফা মতলবি-দলিল নেয়া হলে তখন হাদীসগুলোয় চরম বৈপরীত্য দেখা দেবে, যা কখনো কোনো উম্মতে মুহাম্মদীর পক্ষে বরদাশত করার মত নয়। সংক্ষেপে।

২. যদি মূসা এবং ঈসা জীবিত থাকত তাহলে তাদের উভয়ের জন্য আমার আনুগত্য করা ছাড়া কোনো উপায় ছিলনা :

উত্তর এখানে

৩. ঈসা (আ.) একশত বিশ বছর জীবন-যাপন করা :

প্রশ্নকর্তা : ঈসা (আ:) (ইহ-জাগতিক) একশত বিশ বছর জীবন যাপনকরা মর্মে রেওয়ায়েতটির তাহকিক এবং তাৎপর্য সম্পর্কে জানতে চাই।

উত্তরদাতা : প্রথমত, হাদীসশাস্ত্রের প্রায় সকল স্কলারই বলে গেছেন, এর সনদ অর্থাৎ সূত্র দুর্বল (ফাতহুল বারী শরহে বুখারী ৬/৩৮৪)। ইমাম বুখারী (রহ.) তার বর্ণনাকারী মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে উসমান সম্পর্কে স্পষ্টই বলে গেছেন : لا يكاد يتابع فى حديثه অর্থাৎ তার বর্ণনা অনুসরণ করার মত কোনো গ্রহণযোগ্যতাই তার নেই।’ (আস-সিলসিলাতুয য’য়ীফাহ ৯/৪২৫; ক্রমিক নং ৪৪৩৪)। ইমাম ইবনে আসাকীর (রহ.) এ সম্পর্কে মন্তব্য করে লিখেছেন : সঠিক হচ্ছে, হযরত ঈসা (আ.) এইরূপ বয়সে পৌঁছেননি। (তারিখে ইবনে আসাকীর ৪৭/৪৮২)। ইমাম নূরউদ্দিন আল-হাইছামী (রহ.) বলেছেন : رواه الطبرانى باسناد ضعيف অর্থাৎ ইমাম তাবারানী এটি দুর্বল সূত্রে এনেছেন (মাজমা’উয যাওয়ায়েদ, ক্রমিক নং ১৪২৪৫)।

দ্বিতীয়ত, বর্ণনাটির ‘আ’শা’ (عَاشَ) শব্দের অর্থ ‘জীবিত বা বেঁচে থাকা’ নয়। খুব ভালোভাবে খেয়াল করলে যে কেউই বুঝতে পারবে যে (হাদীসের আরবী ইবারত) ان عيسى ابن مريم عاش عشرين و مائة سنة (অর্থাৎ নিশ্চয়ই ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ.) একশত বিশবছর (ইহ-জাগতিক) জীবন যাপন করেছিলেন) হাদীসটির عَاشَ শব্দের অর্থ অভিধানে ‘বেঁচে থাকা, জীবনযাপন করা, জীবিকা নির্বাহ করা’ রয়েছে। তাই হাদীসটির সঠিক তাৎপর্য এটাই দাঁড়ায় যে, ঈসা (আ:)-কে আকাশে উঠিয়ে নেয়ার আগে তিনি পৃথিবীতে একশত বিশবছর (ইহ-জাগতিক) জীবন যাপন করেছিলেন। এখন হয়ত আপনি ভাবছেন যে, ওম্মা আকাশটাই না যেন ভেঙ্গে পড়লো মাথার উপর! জ্বী হ্যাঁ, আশ্চার্য হবার কিছু নেই; সত্য এটাই! কিন্তু আফসোস! খোদাদ্রোহী, সত্যগোপনকারী যারা তারা হাদীসের শব্দের অর্থ উলোটপালোট করে দরাকে সরা বানিয়েছে। তাই সাধারণ যে কেউই তাদের এই সমস্ত ভুল অনুবাদ অত:পর অপব্যাখ্যা দ্বারা বিভ্রান্ত হয়েছে।

আরো বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন।

৪. হাদীসেও মুহাম্মদ (সা.) এবং ঈসা (আ.) দুইজনের জন্যই ‘ফা-লাম্মা তাওয়াফ্ফাইতানী’ শব্দ উল্লেখ থাকা :

প্রশ্নকর্তা : হাদীস শরীফে মুহাম্মদে আরাবী (সা:) আর ঈসা (আ:) দু’জনের ক্ষেত্রেই কিন্তু ‘ফা-লাম্মা তাওয়াফ্ফাইতানী’ শব্দ উল্লেখ আছে। তাহলে দুই স্থানে দুইরকম অর্থ কেন?

জবাবদাতা : হযরত ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণিত হাদীসটির উদ্দিষ্ট অংশের মর্মার্থ হল, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন আমি সেই সময় অর্থাৎ কেয়ামত দিবসে অনুরূপ বলব যেরূপ আল্লাহর নেক বান্দা ঈসাও বলবেন : ‘অতপর যখন তুমি আমাকে নিয়ে নিলে (তখন) তুমিই ছিলে তাদের (উম্মতে মুহাম্মদীয়া) উপর একক নেগাহ্বান।’ (সংক্ষেপে)। দুঃখের সাথে বলতে হয় যে, ইসলাম সম্পর্কে যাদের নূন্যতম জ্ঞান আছে তারাও বুঝতে পারে যে, ঈসা (আ:)-কে মৃত সাব্যস্ত করতে প্রশ্নকারীর উল্লিখিত যুক্তি একদমই ঠিক না। কারণ প্রশ্নকারী জানেনই না যে ‘তাওয়াফ্ফা’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ নিয়ে নেয়া। যেমন حتى يتوفهن الموت (সূরা নিসা, আয়াত ১৫ দ্রষ্টব্য)। যদিও বা শব্দটি ব্যবহারিক ক্ষেত্রে ক্বারীনার বিভিন্নতার কারণে বিভিন্ন অর্থ প্রদান করবে। আর তাই রাসূল (সা:) এর ক্ষেত্রে উপরিউক্ত হাদীসের توفى শব্দটি ক্বারীনার কারণে রূপক অর্থে মৃত্যু বুঝালেও ঈসা (আ:)-এর ক্ষেত্রে সেটি অসংখ্য ক্বারীনার বিচারে সশরীরে উঠিয়ে নেয়াই বুঝাবে।

মির্যা কাদিয়ানীর বইতেও توفى শব্দের ভিন্ন ভিন্ন ৬ ধরণের অর্থ পাওয়া যায়। সেই অর্থগুলো হচ্ছে ‘পরিপূর্ণ নেয়ামত দান করা’ (১:৬২০); ‘পরিপূর্ণ পুরষ্কার দেয়া’ (১:৬৬৪-৬৫); ‘অপমানকর ও অভিশপ্ত মৃত্যু হতে রক্ষাকরা’ (১২:২৩); ‘জন্মগ্রহণকরা’ (১৯:৪৯) ইত্যাদী। সব কয়টি জায়গাতেই তারই কৃত ঊসূল-মতে ‘কর্তা আল্লাহ্ আর কর্ম প্রাণী’ই রয়েছে। এখন পবিত্র কুরআন আর হাদীসে توفيتنى একই রকম হয়েছে বলে আপনারা যারা একই অর্থ নেয়ার যুক্তি দিচ্ছেন তারা এর কী উত্তর দেবেন?

দ্বিতীয়ত, আলোচ্য হাদীসটির হুবহু ‘তাওয়াফ্ফাইতানী’ শব্দটি আয়াতেও উল্লেখ থাকায় যদি মনে করেন যে, ঈসা (আ:) এর توفي আর রাসূল (সা:)-এর توفي মর্মের দিক থেকে হুবহু একই হওয়া যুক্তিক; তাহলে বিরাট ভুল করবেন। তার কারণ, আপনারা যে হাদীসটি নিজেদের মতের পক্ষে দলিল হিসেবে পেশ করছেন সেটি হযরত সাঈদ ইবনু জুবায়ের (রহ:) এবং হযরত ইবনে আব্বাস (রা:) উনাদের সূত্রেই কিন্তু বর্ণিত হয়েছে। আর উনাদের দুইজনই বিশ্বাস করতেন, হযরত ঈসা (আ:) সশরীরে আকাশে জীবিত।

মূলকথা হল, আজরাইল (আ:)-এর মাধ্যমে তুলে নেয়া আর জিবরাইল (আ:)-এর মাধ্যমে তুলে নেয়ার তাৎপর্য কিন্তু এক নয়। রাসূল (সা:)-এর তুলে নেয়ার ঘটনা মালাকুল মউত হযরত আজরাইল (আ:)-এর মাধ্যমে ঘটেছিল। তাই এর অর্থ মৃত্যুর মাধ্যমে শুধু রূহ তুলে নেয়া উদ্দেশ্য আর ঈসা (আ:)-এর তুলে নেয়ার ঘটনা রূহুল কুদস হযরত জিবরাইল (আ:)-এর মাধ্যমে ঘটেছিল। পবিত্র কুরআনেও এর ইংগিত রয়েছে। দেখুন اذ ايدتك بروح القدس অর্থ—স্মরণ কর, যখন রূহুল কুদস (জিবরাইল)-এর মাধ্যমে আমি তোমাকে শক্তিশালী (সুদৃঢ়) করেছিলাম। (সূরা মায়েদা ১১০)। এর সুস্পষ্ট বিবরণ রয়েছে একাধিক সহীহ হাদীসে। যেমন রাসূল (সা:) ইরশাদ করেছেন : ‘লাম্মা ইজতামা’আল ইয়াহূদু আ’লা ঈসা আলাইহিস সালাম লি-ইয়াকতুলূহু ওয়া আতা-হু জিবরাইলু…ফা-আওহাল্লা-হু ইলা জিবরাইলা আন ইরফা ইলাইয়্যা আ’বদী’। অর্থাৎ যখন ইহুদীরা ঈসা (আ:)-কে হত্যার উদ্দেশ্যে সমবেত হলো তখন জিবরাইল (আ:) তাঁর নিকট আগমন করেন…আল্লাহতালা তাঁকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, তুমি আমার বান্দা (ঈসা)-কে আমার নিকট তুলে নিয়ে এসো।’ (তারীখে দামেস্ক ৪৭/৪৭২; তারীখে বাগদাদ ১১/৩৭৯)। স্ক্রিনশট :-

তারীখে দামেস্ক ৪৭/৪৭২

ঈসা (আ.)-কে রাফা করা হয়েছিল, মানে সশরীরে ও জীবিত আকাশে উঠিয়ে নেয়া হয়েছিল। এর সমর্থনে আরো কিছু প্রমাণ উল্লেখ করছি। (১) رفع كان ابن اثنتين و ثلاثين سنة و ستة اشهر অর্থ—তাঁকে বত্রিশ বছর ছয় মাস বয়সে উঠিয়ে নেয়া হয়েছিল (আত তবকাতুল কাবীর লি ইবনে সা’আদ, ১/৩৬; ইবনে আব্বাস থেকে)। (২) رفع عيسى من روزننة فى البيت الى السماء অর্থ—ঈসাকে বাড়ীর বাতায়ন পথে আকাশে উঠিয়ে নেয়া হয়েছিল (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, হাফিয ইবনে কাসীর; ইবনে আব্বাস থেকে)। (৩) হযরত সাঈদ ইবনে জোবায়ের তিনি ইবনে আব্বাস থেকে, রাসূল (সা.) বলেছেন, لما اراد الله ان يرفع عيسى الى السماء خرج على اصحابه الخ অর্থ—যখন আল্লাহতালা ঈসাকে আকাশে উঠিয়ে নিতে চাইলেন সে মুহূর্তে তিনি তার হাওয়ারীদের নিকট গমন করলেন…! (মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হাদীস নং ৩১৮৭৬, ইমাম নাসাঈ হাদীসটি عن ابى كريب عن ابى معاوية به نحوه এইরূপ সূত্রে রেওয়ায়েত করেছেন। ইমাম হাফিয ইবনে কাসীর (রহ.) তার ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ কিতাবে উদ্ধৃত করে লিখেছেন و هذا اسناد صحيح الى ابن عباس على شرط مسلم অর্থ—ইবনে আব্বাস পর্যন্ত এই সনদটি সহীহ, মুসলিম শরীফের কর্ত শর্তেই সহীহ। আরও দেখুন, আল ফাতহুর রব্বানী খ-২০/পৃ-১৪১। সংক্ষেপে।

তাই ঈসা (আ:)-এর ‘তুলে নেয়া’ জীবিত ও সশরীরে হওয়াই উদ্দেশ্য। সুতরাং বুঝা গেল ‘তাওয়াফফা’ শব্দটি নির্দিষ্ট কোনো অর্থের জন্য খাস নয়। আবার সব জায়গায় তার একটি মাত্র অর্থ নেয়াও আইন-সিদ্ধ নয়। আশাকরি জবাব পেয়েছেন।

৫. হাদীস শরীফে ঈসা (আ:)-কে চার চার বার ‘নাবীউল্লাহ’ বলা প্রসঙ্গে :

প্রশ্নকর্তা : মুসলিম শরীফের একটি হাদীসে আগমনকারী মসীহকে ‘নাবিউল্লাহ’ (অর্থাৎ আল্লাহর নবী) সম্বোধন করা হয়েছে। মির্যা সাহেবই যখন সেই মসীহ হবার দাবীদার তখন তিনি কিজন্য ‘নবী’ হবেন না?

উত্তর এখানে

কাদিয়ানীদের ভ্রান্ত মতবাদের খন্ডন সম্পর্কে ‘মারকায উমর ডট অর্গ’ – ওয়েবসাইটের গুরুত্বপূর্ণ লিংক :- (৪টি ক্যাটাগরিতে) Click

মির্যা কাদিয়ানী “নবী রাসূল” দাবী করার স্ক্রিনশটসহ ডকুমেন্ট এখানে Click

লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী এম.এ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here