কাল্ট কারে কয় দেহেন….!
সিজোফ্রেনিয়া পাড়ার মানুষগুলার অন্ধত্ব আর অসুস্থতার সামান্য নমুনা তুলে ধরছি, জনৈক কাদিয়ানী কাল্টকে উদ্দেশ্য করে…
আমি : মির্যা কাদিয়ানী সাহেবকে তুমি “ইমাম মাহদী” বিশ্বাস করছ অথচ সে ছিল অনেক বড় মিথ্যাবাদী, প্রতারক আর জালিয়াতিকারী।
কাল্ট : তুমি তো তাকে এসব বলবাই! কারণ মোল্লারা এরকমই। (বলে রাখতে চাই, কাদিয়ানীরা তাদের সমস্ত বিরোধীকে “মোল্লা” শব্দে আখ্যা দেয়। শব্দটি তারা গালি হিসেবে ব্যবহার করে থাকে)।
আমি : সে যে জঘন্য মিথ্যাবাদী ছিল আমি কি তা প্রমাণ করে দেব?
কাল্ট : বিরুদ্ধবাদীরা আরও কত কী কইব…!
আমি : আরে আমি বলছি, সে যে মিথ্যুক সেটা আমি প্রমাণ করে দেব কিনা? তার রচিত বই পুস্তক দিয়েই প্রমাণ করে দেব! শুধু ২/১টা না, ডজন ডজন মিথ্যাচার প্রমাণ করে দেব!
কাল্ট : খোদাকে ভয় কর, খোদা কিন্তু সইবেনা! বিরুদ্ধবাদীরা সব সময় সরব ছিল, কিছুই করতে পারেনি।
আমি : আমি বলছি, মির্যা একজন মিথ্যুক। আপনি প্রমাণ চাচ্ছেন না কেন? আমি তাকে তার রচনাবলি দিয়েই প্রমাণ করে দেব যে, সে শতাব্দীর নিকৃষ্ট মহা প্রতারক আর মিথ্যাবাদী! প্রমাণ চাইতে ভয় কিসের আপনার?
কাল্ট : বিরোধিতা আগেও ছিল, এখনো হচ্ছে, সামনেও হবে। সুতরাং তুমি বা তোমার মত বিরুদ্ধবাদীরা এক সময় থাকবেনা। দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
আমি : মির্যা শুধু মিথ্যুক ছিলনা, সে একজন দুশ্চরিত্রও ছিল। বেগানা মহিলাদের দিয়ে শারীরিক সেবা নিত। প্রায় ৪/৫ জন বেগানা নারী তার সেবায় নিয়োজিত ছিল, কখনো কখনো সারা রাত্রি তার সঙ্গে একই রুমে ছিল। এগুলা কি ইসলামের পর্দা বিধান সুস্পষ্ট লঙ্গন ছিলনা? এখন বলুন, এধরণের অসভ্য, দুশ্চরিত্র মানুষ ইমাম মাহদী নির্বাচিত হবার যোগ্য হতে পারে কিভাবে?
কাল্ট : বিরুদ্ধবাদীরা আরও কত শত মিথ্যাচার করবে! করতে থাকুন! আল্লাহ এই ঐশী জামাতের সাথে ছিলেন, থাকবেন! তোমরা হারিয়ে যাবে একদিন।
আমি : দশ লক্ষ টাকার চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, যদি আমি মির্যাকে তারই রচনা সমূহ দিয়ে জঘন্য মিথ্যুক সাব্যস্ত করতে না পারি তাহলে আমি আপনাকে নগদে দশ লক্ষ টাকা দেব। এখনো কি আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবেন না?
কাল্ট : খোদার জামাত, এলাহি জামাত! তুমি যত চেষ্টাই করবে, জামাতের কিছুই করতে পারবেনা…..!
আমি : আমি আপনাকে মির্যার মিথ্যাবাদী হবার বিষয়ে যতই বলছি আপনি ততই এড়িয়ে যাচ্ছেন! ব্যাপারটা আসলে কী? আপনি কি মূলের সমস্যা থাকার চিন্তা বাদ দিয়ে শাখায় তেল মর্দন করতে থাকবেন? এ কি আজব কাণ্ড রে বাপু!
কাল্ট : এ বছর বিশ্ব আহমদীয়া মুসলিম জামা’তে বয়আতকারীর সংখ্যা ১লক্ষ ৭৬হাজার ৮শত ৩৬ জন যা গত বছরের থেকে ৫১হাজার ৬শত ১৫জন বেশি।
আলহামদুলিল্লাহ!!
হায় রে ব্রেইন ওয়াশ!! আমি বলি কী! আর আমারে বলে কী….!!! সতর্কতা, যদিও পুরো লিখাটি আমার নিজেরই চিন্তা থেকে লেখিত কিন্তু বাস্তবতা এমনই। যারা এদের সাথে মিশেছেন তারা অবশ্যই জানবেন। এরা কখনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবেনা। কারণ, এরা দেরিতে হলেও মুটামুটি বুঝতে পেরেছে যে, এখানে প্রবলেম আছেই। তাই ভিক্ষা চাই না, তোর কুত্তা সামলা….অবস্থায় পড়ার ভয়ে কখনো চ্যালেঞ্জ নেয়ার সাহস রাখেনা! উপরের টোটালি কনসেপ্টটাকেই একশব্দে “কাল্ট” বলা হয়। যার সহজ বাংলা–ব্রেইন ওয়াশ। এরকম ব্রেইন ওয়াশ যারা তাদের সাথে তর্ক করে যদিও সাধারণভাবে কোনো ফায়দা নেই কিন্তু আমার বিচারে, খুব বেশি ফায়দা এখানেও নিহিত। আর সেটি হচ্ছে, “নাড়া” দেয়া। ভেতর থেকে তার সুপ্ত বিবেককে জাগিয়ে তুলা। যদি আমার আপনার এই প্রচেষ্টা ইখলাসের সাথে ও দোয়ার মাধ্যমে জারি থাকে, তবে ইনশাআল্লাহ ; এরকম ব্রেইন ওয়াশ কাদিয়ানী কাল্টরাও কোনো একদিন অবশ্যই হিদায়াতপ্রাপ্ত হবে।
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী।