Home জরুরী জিজ্ঞাসা ও উত্তর শীয়া-ইমামীয়াদের একটি কুফুরী আকীদা

শীয়া-ইমামীয়াদের একটি কুফুরী আকীদা

0

শীয়াদের কুরআন বিকৃতির কুফুরী আকীদা

যে সব আকীদা বিশ্বাসের ক্ষেত্রে ইমামিয়া বা ইসনা আশারিয়া (১২ ইমামপন্থী) তথা ইরান-তেহরানের শিয়ারা একমত, তন্মধ্যে একটি হচ্ছে, কুরআনে তাহরীফ হওয়া! নাউযুবিল্লাহ। পাকিস্তানের শিয়া সম্প্রদায়ের প্রখ্যাত আলেম মকবুল হোসাইন দেহলবী পবিত্র কুরআনের তরজমা করেছেন উর্দু ভাষায়, যার সত্যায়ন করেছেন সেই সময়ের ১২ জন প্রখ্যাত শিয়া গবেষকবৃন্দ! এই তরজমার ১২ পারা ১৬ রুকুতে ও পৃষ্ঠা নং ৪৭৯ -তে হাশিয়া (টিকা) যুক্ত করে তিনি লিখেছেন,

أن الخلفاء شاربي الخمر حرفوا القرآن لمقاصدهم

অর্থ, মদখোর খোলাফারা নিজ নিজ স্বার্থসিদ্ধির জন্য এই কুরআনকে তাহরীফ তথা বিকৃত করেছে! (Click)

সেখানে আরও লিখা আছে, যতক্ষণ আমাদের ইমাম মাহদী গুহা থেকে আত্মপ্রকাশ করবেননা ততক্ষণ আমরা এই গলদ কুরআনই তিলাওয়াত করব! (নাউযুবিল্লাহ)।

শীয়াদের সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য গ্রন্থ ‘উসূলুল কাফী’-তে লিখা আছে,

أن الذي يشك في كفر عمر فهو كافر. في أصول الكافي: (1 / 145) أن الخلفاء الثلاثة وبقية الصحابة كفروا بإنكارهم ولاية علي بن أبي طالب. ـ

অর্থাৎ “যে বা যারাই উমরের কুফুরীর ব্যাপারে সন্দেহ করবে সেও কাফের (উসূলুল কাফী ১/১৪৫), আলী বিন আবী তালেব এর বেলায়তের অস্বীকার করার দরুন অন্যান্য তিনজন খলীফাসহ অবশিষ্ট সকল সাহাবী কাফের।” নাউযুবিল্লাহ। শীয়াদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সরাসরি পড়তে ক্লিক করুন।

প্রখ্যাত শীয়া স্কলার বাকের মাজলিসিও তার ‘বিহারুল আনওয়ার’ (بحار الأنوار – العلامة المجلسي – ج ٥٢ – الصفحة ٣٦٤) গ্রন্থে লিখেছেন,

141 – الغيبة للنعماني: أحمد بن هوذة، عن النهاوندي، عن عبد الله بن حماد، عن صباح المزني، عن الحارث بن حصيرة، عن ابن نباتة، قال: سمعت عليا عليه السلام يقول: كأني بالعجم فساطيطهم في مسجد الكوفة يعلمون الناس القرآن كما انزل، قلت: يا أمير المؤمنين أوليس هو كما انزل؟ فقال: لا، محي منه سبعون من قريش بأسمائهم وأسماء آبائهم، وما ترك أبو لهب إلا للازراء على رسول الله صلى الله عليه وآله لأنه عمه

ইবনু নুবাতাহ……..সূত্রে তিনি বলেন, “আমি আলী (আ.) কে বলতে শুনেছি “এটা এমন যেন আমি অনারবদের কূফার মসজিদে তাদের তাবু স্থাপন করতে দেখছি এবং মানুষকে কুরআন যেমন অবতীর্ণ হয়েছে তেমন শিক্ষা দিচ্ছি!” আমি বললাম: “হে আমিরুল মো’মিনীন, কুরআন কি তেমন নয় যেমন অবতীর্ণ হয়েছে?” তিনি বললেন: “না, তা নয়। কুরাইশদের সত্তর জনের নাম এর থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আবু লাহাবের নাম (কুরআনে) কেবল আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কিছু মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে। কারণ, তিনি তার চাচা।” (বিহারুল আনওয়ার ৫২/৩৬৪ শীয়া ইমাম বাকের মজলিসি)। কিতাবটির অনলাইন কপি পড়ুন

শীয়াদের প্রসিদ্ধ আরেকটি গ্রন্থ ‘আল ইরশাদ‘ (الإرشاد – الشيخ المفيد – ج ٢ – الصفحة ٣٨٦) এর মধ্যে লিখা আছে,

وروى جابر، عن أبي جعفر عليه السلام أنه قال: ” إذا قام قائم آل محمد عليه السلام ضرب فساطيط لمن يعلم الناس القرآن على ما أنزل الله جل جلاله فأصعب ما يكون على من حفظه اليوم، لأنه يخالف فيه التأليف “.

অর্থাৎ আবু জা’ফর……. থেকে তিনি বলেন, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিবারের সাহায্যে যখন যিনিই দন্ডায়মান হন তিনি ফাসাতিতকে প্রহার করেন যিনি মানুষকে কুরআন শিক্ষা দেন আল্লাহ তা যেভাবে অবতীর্ণ করেছেন সেটির বিপরীতে। ফলে তা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায় তাদের পক্ষে যারা আজ সেটিকে মুখস্থ করছেন। কারণ এটি কুরআন সংকলনের সাথে বিরোধপূর্ণ। (আল ইরশাদ ২/৩৮৬, শীয়া স্কলার শায়খ আল মুফীদ)। কিতাবটির অনলাইন কপি পড়ুন

অপ্রিয় হলেও সত্য, এই সম্প্রদায়ের যারা এধরণের মতবাদ পোষণ করেন তারা নিঃসন্দেহে ইসলাম থেকে বহিষ্কৃত ও কাফের জাতির অন্তর্ভুক্ত। শিয়াদের প্রখ্যাত গবেষক ও মুহাদ্দিস মির্যা হোসাইন নূরী আত তবারসী আমাদের এই কুরআন বিকৃতির দলিলে স্বতন্ত্র কিতাবও রচনা করেছেন! সেখানে তিনি দাবী করেছেন,

أن الشيخين لم يقبلا القرآن الذي كتبه علي

অর্থাৎ আলী রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহু যেই কুরআন লিখেছেন সেটি শায়খাইন (হযরত আবু বকর ও উমর রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহুমা) গ্রহণ করেননি!

(নাউযুবিল্লাহ)

তথ্যসূত্র :- ফাসলুল খিতাব ফী তাহরীফি কিতাবি রব্বিল আরবাব, তবারসী পৃ-৬৪।

এই কথাগুলো তাদের মৌলিক গ্রন্থগুলোতেও রয়েছে, ইনশাআল্লাহ সুযোগ হলে এই সম্পর্কে আরও তথ্যসহ লেখা হবে।

শেষকথা– শীয়া রাফেজি সম্প্রদায় ইসলামের মূলধারা থেকে ছিটকে পড়া এক পথভ্রষ্ট জাতি, তাদের বিপরীতে মুসলিম উম্মাহ “আহলুস সুন্নাহ” বা “সুন্নী” নামেই পরিচয় বহন করে থাকেন। যাতে সাধারণদের নিকট প্রকৃত মুসলমানদের “শীয়া” থেকে আলাদা করতে সহায়ক হয়। আল্লাহ আমাদেরকে শীয়া রাফেজি থেকে ঈমানের মত মহান এ দৌলত রক্ষা করুন। আমীন।

লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here