শীয়াদের কুরআন বিকৃতির কুফুরী আকীদা
যে সব আকীদা বিশ্বাসের ক্ষেত্রে ইমামিয়া বা ইসনা আশারিয়া (১২ ইমামপন্থী) তথা ইরান-তেহরানের শিয়ারা একমত, তন্মধ্যে একটি হচ্ছে, কুরআনে তাহরীফ হওয়া! নাউযুবিল্লাহ। পাকিস্তানের শিয়া সম্প্রদায়ের প্রখ্যাত আলেম মকবুল হোসাইন দেহলবী পবিত্র কুরআনের তরজমা করেছেন উর্দু ভাষায়, যার সত্যায়ন করেছেন সেই সময়ের ১২ জন প্রখ্যাত শিয়া গবেষকবৃন্দ! এই তরজমার ১২ পারা ১৬ রুকুতে ও পৃষ্ঠা নং ৪৭৯ -তে হাশিয়া (টিকা) যুক্ত করে তিনি লিখেছেন, أن الخلفاء شاربي الخمر حرفوا القرآن لمقاصدهم অর্থ, মদখোর খোলাফারা নিজ নিজ স্বার্থসিদ্ধির জন্য এই কুরআনকে তাহরীফ তথা বিকৃত করেছে! (Click) সেখানে আরও লিখা আছে, যতক্ষণ আমাদের ইমাম মাহদী গুহা থেকে আত্মপ্রকাশ করবেননা ততক্ষণ আমরা এই গলদ কুরআনই তিলাওয়াত করব! (নাউযুবিল্লাহ)। অপ্রিয় হলেও সত্য, এই সম্প্রদায়ের যারা এধরণের মতবাদ পোষণ করেন তারা নিঃসন্দেহে ইসলাম থেকে বহিষ্কৃত ও কাফের জাতির অন্তর্ভুক্ত। শিয়াদের প্রখ্যাত গবেষক ও মুহাদ্দিস মির্যা হোসাইন নূরী আত তবারসী আমাদের এই কুরআন বিকৃতির দলিলে স্বতন্ত্র কিতাবও রচনা করেছেন! সেখানে তিনি দাবী করেছেন, আলী রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহু যেই কুরআন লিখেছেন সেটি শায়খাইন (হযরত আবু বকর ও উমর রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহুমা) গ্রহণ করেননি! (নাউযুবিল্লাহ)। তার ভাষ্যটি এইরূপ, أن الشيخين لم يقبلا القرآن الذي كتبه علي (তথ্যসূত্র-ফাসলুল খিতাব ফী তাহরীফি কিতাবি রব্বিল আরবাব, তবারসী পৃ-৬৪)। এই কথাগুলো তাদের মৌলিক গ্রন্থগুলোতেও রয়েছে, ইনশাআল্লাহ সুযোগ হলে এই সম্পর্কে আরও তথ্যসহ লেখা হবে।
লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক।