Home শীয়া ও খোমেনীবাদ হাদীস অস্বীকারকারীদের ব্যাপারে স্বয়ং নবীজীর সতর্কবাণী

হাদীস অস্বীকারকারীদের ব্যাপারে স্বয়ং নবীজীর সতর্কবাণী

0
হাদীস অস্বীকারকারীদের ব্যাপারে স্বয়ং নবীজীর সতর্কবাণী

হাদীস অস্বীকারকারী | কথিত আহলে কুরআন দাবীদার

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

ইন্নাল হামদা লিল্লাহ ওয়াসসালাতু ওয়াস-সালামু আ’লা রাসূলিল্লাহ! আম্মাবা’দূ…..! প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা! আমরা এখন পুরোপুরি একটি ফেতনার যুগে অবস্থান করছি! আজকে আপনাদের খেদমতে আমার একটি সতর্কবার্তা! তা হল, হাদীস অস্বীকারকারী (আহলে কুরআনদের) থেকে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। নইলে ওরা যে কোনো মুহূর্তে হাদীসে নববীর প্রতি আপনার মনে সংশয় তৈরি করে আপনাকে পথভ্রষ্ট করে ফেলতে পারে। আর কখনো যদি এমন পরিস্থিতিতে পড়ে যান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কোনো বিজ্ঞ ও গবেষক আলেমের সান্নিধ্যে গিয়ে সঠিকটা বুঝে নিতে হবে। আসলে যারা হাদীসে নববীর অস্বীকারকারী তারা মূলত ওহীর এক বিরাট অংশ ‘অপঠিত ওহী’ (وحى غير متلو) এবং একি সাথে রাসূল (সা.)-এর সীরাতেরও অস্বীকারকারী। অথচ কুরআন আমাদের ডেকে ডেকে বলছে, তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মাঝে রয়েছে উত্তম আদর্শ (لقد كان لكم فى رسول الله اسوة حسنة)। সুবহানাল্লাহ!

বলাবাহুল্য, ইদানীং মুসলমান ছদ্মবেশী খ্রিস্টান (কথিত ঈসায়ী মুসলিম দাবীদার), শীয়া-রাফেজী, বাহায়ী ও কাদিয়ানীরাও হাদীস অস্বীকারকারীদের পেছন থেকে মদদ জোগাচ্ছে। অনলাইনে হাদীস অস্বীকারকারী লিখক ও প্রচারকদের ৯০% শীয়া এবং খ্রিস্টান মিশনারী! কিন্তু কিছুই বুঝে উঠার সুযোগ নেই। সে যাইহোক, এদের সম্পর্কে রাসূল (সা.) নিজেই চৌদ্দশত বছর আগেই সতর্ক করে গেছেন। এখানে শুধুমাত্র একখানা সহীহ হাদীস উল্লেখ করছি। হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَبِي رَافِعٍ، وَغَيْرُهُ، رَفَعَهُ قَالَ ‏ “‏ لاَ أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ مُتَّكِئًا عَلَى أَرِيكَتِهِ يَأْتِيهِ أَمْرٌ مِمَّا أَمَرْتُ بِهِ أَوْ نَهَيْتُ عَنْهُ فَيَقُولُ لاَ أَدْرِي مَا وَجَدْنَا فِي كِتَابِ اللَّهِ اتَّبَعْنَاهُ “

অর্থ, আবূ রাফে‘ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘আমি যেন তোমাদের মধ্যে কাউকে এমন অবস্থায় না পাই যে, সে তার সুসজ্জিত আসনে হেলান দিয়ে বসে থাকবে এবং তার নিকট যখন আমার আদিষ্ট কোনো বিষয় অথবা আমার নিষেধ সম্বলিত কোনো হাদীস উত্থাপিত হবে তখন সে (তাচ্ছিল্যভরে) বলবে, আমি তা জানি না, আল্লাহতালার কিতাবে আমরা যা পাই, তারই অনুসরণ করবো।’ (জামে’ আত তিরমিযী, হাদীস নং ২৬৬৩; আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৬০৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ২৩২৪৯)।

আল্লাহতালা আমাদেরকে হাদীস অস্বীকারকারী এই নিকৃষ্ট ফেতনাবাজদের তাবৎ বিভ্রান্তি থেকে রক্ষা করুক। কুরআন এবং সহীহ হাদীসের আলোকে জীবনকে পরিচালনা করার তাওফিক দান করুক। আমীন।

  • এই বইগুলো ডাউনলোড করুন,

আমরা হাদীস মানতে বাধ্য (আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক)

হাদীস সংকলনের ইতিহাস (মওলানা আব্দুর রহীম)

হাদীস কেন মানতে হবে? (কামাল আহমাদ)

হাদীস কি আল্লাহর ওহী? (মুহাম্মদ ইকবাল ফাখরুল)

হাদীসের প্রামাণিকতা (সানাউল্লাহ নজির আহমদ)

হাদীসের প্রামাণিকতা (ডক্টর মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল গালিব)

লিখক,
শিক্ষাবিদ ও গবেষক
প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী

Previous article নবীপুত্র ইবরাহীম যদি জীবিত থাকত
Next article শাহজাদা ইউয আসেফ
প্রিয় পাঠকবৃন্দ! এটি সম্পূর্ণ দ্বীনি ও অলাভজনক একটি ওয়েবসাইট। প্রতি বছর এটির ডোমেইন ও হোস্টিং ফি হিসেবে আমাকে এর ব্যয় বহন করতে হচ্ছে। যদি উক্ত ব্যয় বহন করতে অপারগ হই তাহলে এই সাইটটি নিশ্চিত বন্ধ হয়ে যাবে। সেহেতু আপনাদের সবার নিকট আবেদন থাকবে যে, আপনারা সাইটটির উক্ত ব্যয় বহনে এতে বিজ্ঞাপন দিতে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহিত করবেন এবং নিজেরাও সহযোগিতায় এগিয়ে আসবেন। বিনীত এডমিন! বিকাশ : ০১৬২৯-৯৪১৭৭৩ (পার্সোনাল)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here