কাদিয়ানীরা হাদীসে বর্ণিত ৭৩ ফেরকার কোনো একটিরও অন্তর্ভুক্ত নয় কেন জেনে নিন!
বাংলাদেশের ‘আহমদিয়া মুসলিম জামাত’ তথা কাদিয়ানী জামাতের বর্তমান ন্যাশনাল আমীর জনাব আব্দুল আউয়ালখান সাহেব হচ্ছেন প্রাণ, আর এফ এল কোম্পানীর মালিক মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খাঁন চৌধুরীর ফুফাত ভাই। উল্লেখ্য, আমজাদ সাহেবের পিতা আলী কাশেম খাঁন চৌধুরী আর আব্দুল আউয়াল সাহেবের আম্মা জনাবা মাসুদা সামাদ উনারা দুইজন বৈমাত্রেয় (সৎ) ভাই বোন। [তথ্যসূত্র : আহমদীয়াতের ইতিহাসে বাংলার স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব, লিখক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বাবুল]।
জনাব আব্দুল আউয়াল সাহেব একটি লেকচারে বলেছেন :
হাদীস শরীফে উম্মতে মুহাম্মদিয়া ৭৩ ফেরকায় বিভক্ত হবে উল্লেখ আছে। এদের ৭২ ফেরকা দোজখে যাবে আর ১টি ফেরকা বেহেশতে যাবে। আর সেই বেহেশতি একমাত্র ফেরকাটি ‘আহমদী [কাদিয়ানী] জামাত’। সংক্ষেপে।
এবার তাকে আমার প্রশ্ন, আপনার মির্যা সাহেব তো লিখে গেছেন : “তৃতীয় শতাব্দীর পর বিগত উম্মত তিয়াত্তর ফেরকায় বিভক্ত হইয়া গিয়াছে।” (হাকীকাতুল ওহী [বাংলা] ৩৬)। উল্লেখ্য, বর্তমানে হিজরী চতুর্দশ শতাব্দী চলছে। এমতাবস্থায় প্রশ্ন আসে, মির্যা কাদিয়ানীর জন্মের হাজার বছর আগেই যে উম্মত তেয়াত্তর ফেরকায় বিভক্ত তার অভ্যন্তরে আপনারা প্রবেশ করতে পারেন কিভাবে?
সেযাইহোক, হাদীস শরীফে তো সুস্পষ্টভাবে এও রয়েছে যে, উম্মতে মুহাম্মদিয়া কখনো গোমরাহীর উপর ঐক্যবদ্ধ হবেনা (তিরমিযী, কিতাবুল ফিতান : হাদীস সহীহ)। আর ইতিহাস সাক্ষী যে, কাদিয়ানিরা কাফের এই বিষয়ে দুনিয়ার সব উম্মতে মুহাম্মদিয়া একমত। তাহলে কি অন্তত এই হাদীস দ্বারাও কাদিয়ানীরা সুস্পষ্টরূপে কাফের সাব্যস্ত হচ্ছেনা? আপনাদের কেন্দ্রীয় মুখপত্র ‘পাক্ষিক আহমদী’ পত্রিকার ২০১৮ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর এর সংখ্যাটির ৩৮ নং পৃষ্ঠাতেও লিখা আছে : ‘এই যে তেয়াত্তর দল এই তেয়াত্তর দলই আহমদিয়া জামাতকে কাফির বলিয়া গণ্য করে।’
সুতরাং কাদিয়ানী সম্প্রদায় উম্মতে মুহাম্মদিয়ার বাহিরে হওয়াই পরিস্কর হয়ে গেল। নতুবা তেয়াত্তর ফেরকার লোকেরা কাদিয়ানীদেরকে কাফির গণ্য করে থাকলে তখন কাদিয়ানী জামাত তেয়াত্তরতম দল হয় কিভাবে?