Home কাদিয়ানীর আসল রূপ মসীহ মওউদ ওলী আল্লাহ থে…

মসীহ মওউদ ওলী আল্লাহ থে…

0

মির্যা কাদিয়ানী এবং তার কথিত মুসলেহ মওউদের লীলা

মসীহে মওউদ ওলী আল্লাহ থে….

কাদিয়ানীদের তথাকথিত দ্বিতীয় খলিফা মির্যা বশির উদ্দিন মাহমুদ এমন এক ধরণের ব্যক্তি ছিল যার অত্যধিক পরিমাণে জেনা করার অভ্যাস ছিল। তাই নও মুসলিম আব্দুর রহমান মিসরী তিনি জামাতে আহমদিয়ার উর্ধ্বতন ব্যক্তিদের বরাবর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে একটি পত্র লিখেন।

মির্যা বশিরের হাতে পত্রটি পৌঁছা মাত্রই সে কাদিয়ানে তাদের উপাসনালয়ে জুমার(!) বক্তৃতাকালে পত্রটি সবাইকে পড়ে শুনায় এবং মির্যা কাদিয়ানীর ঘনিষ্ট শিষ্য (হিন্দু থেকে কাদিয়ানী হওয়া) আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে সবাইকে ক্ষেপিয়ে তুলার চেষ্টা করে। পত্রটিতে লিখা ছিল,

حضرت مسیح موعود ولی اللہ تھے اور ولی اللہ بھی کبھی کبھی زنا کر لیا کرتے ہیں اگر انہوں نے کبھی کبھا زنا کر لیا تو اس میں حرج کیا ہوا۔ پھر لکھا ہے۔ ہمیں حضرت مسیح موعود علیہ السلام پر اعتراض نہیں کیونکہ وہ کبھی کبھی زنا کیا کرتے تھے ہمیں اعتراض موجودہ خلیفہ پر ہے ۔کیونکہ وہ ہر وقت زنا کرتا رہتا ہے۔

অর্থ- ‘হযরত মসীহ মওউদ (কাদিয়ানীরা মির্যা গোলাম আহমদকে ‘মসীহ মওউদ’ মান্য করে—লিখক) আল্লাহ’র ওলী ছিলেন। আল্লাহর ওলীও কখনো কখনো জেনা করতেন। যদিও তিনি কখনো কখনো জেনা করতেন তাতে অসুবিধা কী! (তারপর লিখেন) মসীহ মওউদের ব্যাপারে আমার কোনো অভিযোগ নেই। কেননা তিনি জেনা করতেন কখনো কখনো। আমার অভিযোগ বিদ্যমান খলিফার (তথা মির্যা বশীরের) ব্যাপারে। যেহেতু তিনি প্রতিদিন জেনা করে থাকেন।’ (কাদিয়ানীদের পত্রিকা দৈনিক আল-ফজল, প্রকাশকাল ৩১ শে আগস্ট ১৯৩৮ ইং)।

এ ছিল মির্যা কাদিয়ানীর জেনা ব্যভিচারের অতিব সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।

সত্য প্রচারক নামক ফেইসবুক আইডিটির অ্যাডমিন হচ্ছেন কাদিয়ানী জামাতের একজন এক্টিভ মু’আল্লিম! তার উদ্দেশ্যে আমার আজকের বক্তব্য হচ্ছে-

আপনি মির্যা আর তার পুত্রের “জেনা (الزنا)” করা সংক্রান্ত আমার লেখিত (লিংক) গত পোস্টের উপর খণ্ডনমূলক জবাব লিখবেন, বলেছেন। লিখার চেষ্টাও করেছেন (লিংক)। আমি লিখাটি পড়লাম…! পড়ে বুঝে আসল যে, অপ্রিয় হলেও সত্য, মির্যা কাদিয়ানীর বইগুলো এখনকার কাদিয়ানী মোল্লাদের-ও পড়াশোনা নেই। নইলে এমন একজন ব্যক্তি সম্পর্কে “মুনাফিক“, “আহমদীয়া জামাতের বিরুদ্ধবাদী” বা “সিলসিলার দুশমন” এ সমস্ত কথা উল্লেখ করা কোনোমতেই সম্ভব ছিলনা, যে ব্যক্তিটা কিনা স্বয়ং মির্যা কাদিয়ানীরই হাতে বয়আতপ্রাপ্ত এমনকি তার ৩১৩ জন ঘনিষ্ট সাথীদের মধ্যে ২৫৫ নং সিরিয়ালের অন্তর্ভুক্ত!

এখন আসি, তাহলে সে ব্যক্তিটির নাম কী? জ্বী হ্যাঁ, সে ব্যক্তি হলেন শায়খ আব্দুর রহমান মিশরী, যিনি ১৯০৫ সালে মির্যা কাদিয়ানীর হাতে বয়আত নেন। তিনি হিন্দু ছিলেন, পাঞ্জাবের কাদিয়ান গ্রামেরই অধিবাসী; পূর্বনাম ছিল লালাশংকর দাস। তিনি সাধারণ কোনো কাদিয়ানী ছিলেন না। তাকে আরবী ভাষায় পাণ্ডিত্য লাভ করতে মির্যা কাদিয়ানী সে সময় মিশরের কায়রোতে পাঠান। সে জন্য তার উপনাম “মিশরী“ও। সে কাদিয়ান জামেয়া আহমদিয়ার অধ্যক্ষ ছিলেন। রূহানী খাযায়েন (খ-১১/পৃ-৩২৮) এর মধ্যে মির্যার ৩১৩ জন নির্বাচিত ঘনিষ্ঠ সাথীদের মধ্যে ২৫৫ নং সিরিয়ালে রয়েছেন। (স্ক্যানকপি দ্রষ্টব্য)।

এখন প্রশ্ন হল, মির্যা কাদিয়ানীর ৩১৩ জন ঘনিষ্ঠ সাথীদের ২৫৫ নম্বর সিরিয়ালে থাকা (মির্যার কথিত সাহাবী) মানুষটিও কি তাহলে “মুনাফিক“? “কাদিয়ানী জামাতের দুশমন”? মির্যা কাদিয়ানী আর তার পুত্র মির্যা বশির উদ্দিনের “জেনা” করা নিয়ে ঐ চিঠিতে যা যা লিখলেন, “সবই মিথ্যা“? মজারব্যাপার হল, ঐ ৩১৩ জন সম্পর্কে মির্যা কাদিয়ানীর পরিষ্কার স্বীকারোক্তি ছিল,

یہ تمام اصحاب خصلت صدق و صفا رکھتے ہیں

অর্থাৎ এ সাথীরা সকলে স্বভাব চরিত্রে বিশ্বস্ত ও নির্মল আর পরিচ্ছন্ন। দেখুন, রূহানী খাযায়েন খ-১১/পৃ-৩২৫।” (স্ক্যানকপি দ্রষ্টব্য)।

তাই বরাবরের মতই প্রশ্ন আসবে, মির্যা কাদিয়ানী যেখানে ঐ ঘনিষ্ঠ ৩১৩ জন সম্পর্কে সত্যবাদিতা আর নিষ্কলুষ স্বভাবের সার্টিফিকেট দিলেন সেই মানুষটা-ও যদি আপনাদের মতে মুনাফিক, জামাতের দুশমন আর মিথ্যাবাদী হন, তাতে আমাদের কী বা করার আছে, বলুন! আর আপনি তো খণ্ডন করতে গিয়ে এখন পুরাই সর্বনাশ ডেকে আনলেন! কেঁচো খুড়তেই সাপ বের করে আনলেন? আপনিও পরিষ্কার একমত হয়ে গেলেন যে,

  • ১- আল ফজল পত্রিকায় উল্লিখিত বয়ানটি উল্লেখ থাকা মিথ্যা নয়, বরং সত্য।
  • ২- মির্যা আর তার পুত্র তথাকথিত মুসলেহ মওউদের “জেনা” সংক্রান্ত সেই বয়ানটি অ-কাদিয়ানী কারও ছিলনা, বরং এমন এক ব্যক্তিরই ছিল যে মির্যারই কথিত সাহাবী এবং ৩১৩ জন ঘনিষ্ঠ সাথীদের অন্যতম।

লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক
প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী এম.এ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here