মসীহ মওউদ ওলী আল্লাহ থে…

0
মসীহ মওউদ ওলী আল্লাহ থে…

মির্যা কাদিয়ানী এবং তার কথিত মুসলেহ মওউদের লীলা

সত্য প্রচারক নামক ফেইসবুক আইডির কাদিয়ানী মু’আল্লিম! আপনি মির্যা আর তার পুত্রের “জেনা (الزنا)” করা সংক্রান্ত আমার লেখিত (লিংক) গত পোস্টের উপর খণ্ডনমূলক জবাব লিখবেন, বলেছেন। লিখার চেষ্টাও করেছেন (লিংক)। আমি লিখাটি পড়লাম…! পড়ে বুঝে আসল যে, অপ্রিয় হলেও সত্য, মির্যা কাদিয়ানীর বইগুলো এখনকার কাদিয়ানী মোল্লাদের-ও পড়াশোনা নেই। নইলে এমন একজন ব্যক্তি সম্পর্কে “মুনাফিক“, “আহমদীয়া জামাতের বিরুদ্ধবাদী” বা “সিলসিলার দুশমন” (১ নং স্ক্যানকপি থেকে দেখে নিন) এ সমস্ত কথা উল্লেখ করা কোনোমতেই সম্ভব ছিলনা, যে ব্যক্তিটা কিনা স্বয়ং মির্যা কাদিয়ানীরই হাতে বয়আতপ্রাপ্ত এমনকি তার ৩১৩ জন ঘনিষ্ট সাথীদের মধ্যে ২৫৫ নং সিরিয়ালের অন্তর্ভুক্ত! (২ নং স্ক্যানকপি দ্রষ্টব্য)।

এখন আসি, তাহলে সে ব্যক্তিটির নাম কী? জ্বী হ্যাঁ, সে ব্যক্তি হলেন শায়খ আব্দুর রহমান মিশরী, যিনি ১৯০৫ সালে মির্যা কাদিয়ানীর হাতে বয়আত নেন। তিনি হিন্দু ছিলেন, পাঞ্জাবের কাদিয়ান গ্রামেরই অধিবাসী; পূর্বনাম ছিল লালাশংকর দাস। তিনি সাধারণ কোনো কাদিয়ানী ছিলেন না। তাকে আরবী ভাষায় পাণ্ডিত্য লাভ করতে মির্যা কাদিয়ানী সে সময় মিশরের কায়রোতে পাঠান। সে জন্য তার উপনাম “মিশরী“ও। সে কাদিয়ান জামেয়া আহমদিয়ার অধ্যক্ষ ছিলেন। রূহানী খাযায়েন (খ-১১/পৃ-৩২৮) এর মধ্যে মির্যার ৩১৩ জন নির্বাচিত ঘনিষ্ঠ সাথীদের মধ্যে ২৫৫ নং সিরিয়ালে রয়েছেন। (নিচে ২ নং স্ক্যানকপি দ্রষ্টব্য)।

এখন প্রশ্ন হল, মির্যা কাদিয়ানীর ৩১৩ জন ঘনিষ্ঠ সাথীদের ২৫৫ নম্বর সিরিয়ালে থাকা (মির্যার কথিত সাহাবী) মানুষটিও কি তাহলে “মুনাফিক“? “কাদিয়ানী জামাতের দুশমন”? মির্যা কাদিয়ানী আর তার পুত্র মির্যা বশির উদ্দিনের “জেনা” করা নিয়ে ঐ চিঠিতে যা যা লিখলেন, “সবই মিথ্যা“? মজারব্যাপার হল, ঐ ৩১৩ জন সম্পর্কে মির্যা কাদিয়ানীর পরিষ্কার স্বীকারোক্তি ছিল, یہ تمام اصحاب خصلت صدق و صفا رکھتے ہیں” অর্থাৎ এ সাথীরা সকলে স্বভাব চরিত্রে বিশ্বস্ত ও নির্মল আর পরিচ্ছন্ন। দেখুন, রূহানী খাযায়েন খ-১১/পৃ-৩২৫।” (নিচের ৩ নং স্ক্যানকপি দ্রষ্টব্য)।

তাই বরাবরের মতই প্রশ্ন আসবে, মির্যা কাদিয়ানী যেখানে ঐ ঘনিষ্ঠ ৩১৩ জন সম্পর্কে সত্যবাদিতা আর নিষ্কলুষ স্বভাবের সার্টিফিকেট দিলেন সেই মানুষটা-ও যদি আপনাদের মতে মুনাফিক, জামাতের দুশমন আর মিথ্যাবাদী হন, তাতে আমাদের কী বা করার আছে, বলুন! আর আপনি তো খণ্ডন করতে গিয়ে এখন পুরাই সর্বনাশ ডেকে আনলেন! কেঁচো খুড়তেই সাপ বের করে আনলেন? আপনিও পরিষ্কার একমত হয়ে গেলেন যে,

  • ১- আল ফজল পত্রিকায় উল্লিখিত বয়ানটি উল্লেখ থাকা মিথ্যা নয়, বরং সত্য।
  • ২- মির্যা আর তার পুত্র তথাকথিত মুসলেহ মওউদের “জেনা” সংক্রান্ত সেই বয়ানটি অ-কাদিয়ানী কারও ছিলনা, বরং এমন এক ব্যক্তিরই ছিল যে মির্যারই কথিত সাহাবী এবং ৩১৩ জন ঘনিষ্ঠ সাথীদের অন্যতম। (নিচে ৩ নং স্ক্যানকপি দ্রষ্টব্য)।
মির্যা আর তার পুত্রের চরিত্রের উপর জেনা ব্যভিচারের আওয়াজ উঠানো ব্যক্তিটি সেই মিশরী সাহেবই। আল ফজল পত্রিকার একই পৃষ্ঠায় নামটিও উল্লেখ আছে, দেখুন।
স্ক্যানকপি-১
স্ক্যানকপি-২
স্ক্যানকপি-৩

লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক
প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী এম.এ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here