Home ইমামে আযম ইমামে আযম আবু হানীফা (রহ.) সম্পর্কে যুগে যুগে বিশিষ্ট মুহাদ্দিস ও ফকিহগণের দৃষ্টিভঙ্গি

ইমামে আযম আবু হানীফা (রহ.) সম্পর্কে যুগে যুগে বিশিষ্ট মুহাদ্দিস ও ফকিহগণের দৃষ্টিভঙ্গি

0
ইমামে আযম আবু হানীফা (রহ.) সম্পর্কে যুগে যুগে বিশিষ্ট মুহাদ্দিস ও ফকিহগণের দৃষ্টিভঙ্গি

যুগ বিখ্যাত ফকিহ ও মুহাদ্দিসগণের চোখে ইমামে আযম হযরত আবু হানীফা (রহ.)-এর শান ও শ্রেষ্ঠত্ব

কিস্তিঃ ৩ (রেফারেন্স-এর জন্য সর্বনিম্নে টিকা দ্রষ্টব্য) :

قال الإمام الشافعي رحمه الله: (الناس عيال على أبي حنيفة في الفقه) (1).

ইমাম শাফেয়ী (রহ.) বলেন, ফিকহের ক্ষেত্রে সমগ্র মানুষ আবু হানীফা-এর পরিবারভুক্ত {প্রামাণ্য স্ক্যানকপি সহ সনদের তাহকীক এখানে}। (১)

وقال الذهبي معلقا: (الإمامة في الفقه ودقائقه مسلمة إلى هذا الإمام وهذا أمر لا شك فيه: وليس يصح في الأفهام شيء إذا احتاج النهار إلى دليلِ (2).

ইমাম যাহাবী (রহ.) বলেন, ফিকহ আর তার সূক্ষ্মতর বিষয়াবলীর ক্ষেত্রে কর্তৃত্ব এই ইমাম (আবু হানীফা)-এর জন্যই স্বীকৃত। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। দিবসের প্রামাণিকতার প্রয়োজন হলে তবে কোনো কিছুই বুঝা সঠিক নয়। (২)

এবার ইমাম যাহাবীর মত বিশ্ববিখ্যাত ইমাম হযরত ইমাম আবু হানীফা (রহ.) [৮০-১৫০ হিজরী] সম্পর্কে কী লিখছেন দেখুন,

قال محمد بن سعد العوفي : سمعت يحيى بن معين يقول : كان أبو حنيفة ثقة لا يحدث بالحديث إلا بما يحفظه ، ولا يحدث بما لا يحفظ .

وقال صالح بن محمد : سمعت يحيى بن معين يقول : كان أبو حنيفة ثقة في الحديث ، وروى أحمد بن محمد بن القاسم بن محرز ، عن ابن معين : كان أبو حنيفة لا بأس به . وقال مرة : هو عندنا من أهل الصدق ، ولم يتهم بالكذب . ولقد ضربه ابن هبيرة على القضاء ، فأبى أن يكون قاضيا .

মুহাম্মদ ইবনে সা’আ আল-আওফী বলেন, আমি ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন (রহ.)-কে বলতে শুনেছি, আবু হানীফা (রহ.) একজন ছিকাহ (বিশ্বস্ত) ছিলেন, তিনি যা মুখস্থ রাখতেন তাই বর্ণনা করতেন, যা মুখস্থ রাখতেন না তা তিনি বর্ণনা করতেন না। মুহাম্মদ ইবনে ছালেহ বলেন, আমি ইমাম ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন (রহ.)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আবু হানীফা হাদীসের জগতে একজন ছিকাহ (নির্ভরযোগ্য), আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে কাশিম ইবনে মুহরিয ইমাম ইবনে মাঈন থেকে বর্ণনা করেছেন যে, (তিনি বলেছেন) আবু হানীফা (রহ.)-এর (হাদীস বর্ণনার) ক্ষেত্রে কোনোই সমস্যা নেই। আরেকবার বলেন, তিনি আমাদের নিকট একজন সত্যবাদী। উনাকে মিথ্যার সাথে অভিযুক্ত করা যাবেনা। তাঁকে ইবনুল হুবায়রাহ (ইরাকের সুপ্রিম) বিচারপতির দায়িত্ব পেশ করেছিলেন কিন্তু তিনি দায়িত্ব গ্রহণে অসম্মতি প্রকাশ করেন। (প্রামাণ্য স্ক্যানকপি সহ এখানে দেখুন)।

وقال ابن المبارك رحمه الله: (أفقه الناس أبو حنيفة، ما رأيت في الفقه مثله) (3).

ইমাম ইবনুল মুবারক (রহ.) বলেছেন, মানুষের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ফকীহ ছিলেন আবু হানীফা। আমি তাঁর মত ফকীহ (ইসলামী আইনশাস্ত্রে বিশেষজ্ঞ) দেখিনি। (৩)

وقال أيضا: (إن كان الأثر قد عرف واحتيج إلى الرأي فرأي مالك وسفيان وأبي حنيفة، وأبو حنيفة أحسنهم وأدقهم فطنة وأغوصهم على الفقه، وهو أفقه الثلاثة) (4).

তিনি আরো বলেছেন, যদি আছার (বিশিষ্ট সাহাবী ও তাবেয়ীদের কর্ম আর ফাতাওয়া) বুঝতে হয় এবং মতামতের প্রয়োজন বোধ করতে হয় তাহলে ইমাম মালেক, সুফিয়ান এবং আবু হানীফার মতামতই যথেষ্ট। তবে আবু হানীফার মতামত অন্যদের চেয়ে সর্বোত্তম, তিনি তাদের মধ্যে খুবই বিচক্ষণ এবং ফিকহের ক্ষেত্রে অগাধ পাণ্ডিত্যের অধিকারী। তিনি ঐ তিনজনের মধ্যে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ফকীহ। (৪)

وقال: (رأيت مسعرا في حلقة أبي حنيفة جالسا بين يديه يسأله ويستفيد منه وما رأيت أحدا قط تكلم في الفقه أحسن من أبي حنيفة) (5).

তিনি আরও বলেছেন, আমি মিস’আরকে আবু হানীফা (রহ.)-এর মজলিসে তাঁরই সামনে বসে থেকে ও তাঁরই কাছ থেকে উপকারীতা লাভ করতে দেখেছি। আমি ফিকহের ক্ষেত্রে আবু হানীফা (রহ.)-এর চেয়ে সর্বোত্তম ফাতাওয়া দিতে কাউকে কখনো দেখিনি। (৫)

وقال صاحبه أبو يوسف رحمه الله: (ما رأيت أحدا أعلم بتفسير الحديث ومواضع النكت التي فيه من الفقه من أبي حنيفة) (6).

ইমাম আবু হানীফা (রহ.)-এর শিষ্য আবু ইউসুফ (রহ.) বলেছেন, হাদীসের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও ফিকহ সংক্রান্ত নানা মজাদার স্থান নিয়ে আবু হানীফার চেয়ে সর্বাধিক জ্ঞানী আমি আর কাউকে দেখিনি। (৬)

وقال شعبة بن الحجاج رحمه الله لما علم بوفاته: (لقد ذهب معه فقه الكوفة، تفضل الله علينا وعليه برحمته) (7).

ইমাম শু’বাহ ইবনুল হাজ্জাজ (রহ.) যখন আবু হানীফা (রহ.)-এর মৃত্যু সংবাদ জানলেন তখন বলেন, কূফার (তাবৎ) ফিকহ (অদ্য) তাঁর সাথেই বিদায় নিয়ে যাচ্ছে, আল্লাহ তাঁর উপর এবং আমাদের উপর-ও আপনা রহমত দ্বারা করুণা করুন। (৭)

وقال النضر بن شميل رحمه الله: (كان الناس نياما عن الفقه حتى أيقظهم أبو حنيفة بما فتقه وبينه ولخصه) (8).

হযরত নাজর ইবনু শামিল (রহ.) বলেন, সমগ্র মানুষ ফিকহের দিক থেকে ঘুমন্ত ছিল আর আবু হানীফা তাদেরকে জেগে উঠালেন সেসব জিনিস দ্বারা যা তিনি নাতিদীর্ঘ সুস্পষ্টরূপে আবিষ্কার করেছেন । (৮)

وحين سئل يزيد بن هارون رحمه الله: (أيما أفقه: أبو حنيفة أو سفيان؟ قال: سفيان أحفظ للحديث، وأبو حنيفة أفقه) (9).

ইয়াজিদ ইবনে হারুনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আবু হানীফা আর সুফিয়ান আস-সওরী দুজনের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বড় ফকীহ কে? উত্তরে তিনি বলেন, আবু সুফিয়ান তো হচ্ছে হাদীস সর্বাধিক সংরক্ষণকারী আর আবু হানীফা ছিলেন সর্বাপেক্ষা বড় ফকীহ। (৯)

وقال ابن المبارك رحمه الله : (إن كان أحد ينبغي له أن يقول برأيه فأبو حنيفة ينبغي له أن يقول برأيه) (10).

ইমাম ইবনুল মুবারক (রহ.) বলেন, যদি কারো জন্য নিজের রায় দ্বারা মত ব্যক্ত করা উচিত হত, তাহলে আবু হানীফা (রহ.)-এর জন্যই রায় ব্যক্ত করা উচিত। (১০)

وقال محمد بن بشر رحمه الله: (كنت أختلف إلى أبي حنيفة وإلى سفيان، فآتي أبا حنيفة فيقول لي: من أين جئت؟ فأقول: من عند سفيان. فيقول: لقد جئت من عند رجل لو أن علقمة والأسود حضرا لاحتاجا إلى مثله. فآتي سفيان فيقول: من أين جئت؟ فأقول: من عند أبي حنيفة. فيقول: لقد جئت من عند أفقه أهل الأرض) (11).

মুহাম্মদ ইবনে বাশির (রহ.) বলেছেন, আমি আবু হানীফা আর সুফিয়ান আস-সওরীর প্রতি মতভেদপূর্ণ বিষয় পেশ করতাম। (একদা) আমি আবু হানীফার নিকট আসি। তিনি আমাকে বললেন, তুমি কোথা হতে এসেছ? আমি বললাম, সুফিয়ান আস-সওরীর কাছ থেকে। তিনি বললেন, তুমি তো এমন এক ব্যক্তির কাছ থেকে এসেছ, যদি আলক্বামা আর আসওয়াদও (আজ) উপস্থিত থাকতেন তাহলে তারা উভয় তার মত ব্যক্তির প্রয়োজন বোধ করতেন। তারপর আমি সুফিয়ান আস-সওরীর নিকট আসি। তিনি জিজ্ঞেস করলেন যে, কোথা থেকে এসেছ? তখন আমি বললাম, আবু হানীফার কাছ থেকে এসেছি। তারপর তিনি বললেন, তুনি তো এমন ব্যক্তির কাছ থেকে এসেছ যে পৃথিবীবাসীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ফকীহ। (১১)

وقال يحيى بن معين رحمه الله: سمعت يحيى بن سعيد القطان يقول: (لا نكذب الله، ما سمعنا أحسن من رأي أبي حنيفة، وقد أخذنا بأكثر أقواله). قال: (وكان يحيى بن سعيد يذهب في الفتوى إلى قول الكوفيين، ويختار قوله من أقوالهم، ويتبع رأيه من بين أصحابه) (12).

ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন (রহ.) বলেন, আমি ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ আলকাত্তানকে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন, আমি আল্লাহর ওয়াস্তে মিথ্যা বলতে পারব না। আমি আবু হানীফার মত ও রায় অপেক্ষা সর্বোত্তম দ্বিতীয় কোনো মত ও রায় শুনিনি। আমরা তাঁর বহু ফাতাওয়া গ্রহণ করে নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রহ.) কূফাবাসীর ফাতাওয়ার উপরই ফাতাওয়া দিতেন। আর তিনি কূফাবাসীর ফাতাওয়ার অনুরূপ স্বীয় মত বেছে নিতেন। (১২)

وقال عبد الرزاق الصنعاني رحمه الله: (كنت عند معمر فأتاه ابن المبارك، فسمعنا معمرا يقول: ما أعرف رجلا يحسن يتكلم في الفقه أو يسعه أو يقيس ويشرح لمخلوق النجاة في الفقه أحسن معرفة من أبي حنيفة، ولا أشفق على نفسه من أن يدخل في دين الله شيئا من الشك من أبي حنيفة) (13).

ইমাম আব্দুর রাজ্জাক আস-সান’আনী (রহ.) বলেন, আমরা (একদা) মু’আম্মারের নিকট ছিলাম। এমনি সময় আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক তার নিকট এলেন। তখন আমরা মু’আম্মারকে বলতে শুনি, তিনি বলেন- আমি আবু হানীফা (রহ.)-কে ছাড়া এমন আর কাউকে চিনি না যে ফিকহে (আইনশাস্ত্রে) সুন্দর বলতে পারে বা সেটিকে প্রসারিত বা পরিমাপ করতে পারে আর ইসলামী আইনশাস্ত্রে তাঁর (আবুহানীফা) চেয়েও সর্বোত্তম ব্যাখ্যা দিতে পারে। আর আমি সংশয়হীনভাবে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশের ক্ষেত্রে আবু হানীফা ছাড়া আর কারো কোনো করুণা দেখিনা। (১৩)

وقال الذهبي رحمه الله: (وأما الفقه والتدقيق في الرأي وغوامضه فإليه المنتهى، والناس عليه عيال في ذلك) (14).

ইমাম যাহাবী (রহ.) বলেন, ফিকহ এবং পরীক্ষিত মতামত ও তার রহস্যাবলী তাঁর (আবু হানীফা) পর্যন্তই সমাপ্ত। সমস্ত মানুষ ফিকহের ক্ষেত্রে তাঁরই পরিবারভুক্ত। (১৪)

لقد أسس أبو حنيفة مدرسة الرأي في الكوفة، واستجاب لدواعي التجديد والقياس مما طرأ على حياة الناس وجد من المسائل، خاصة مع نقص الرواية عندهم، ولقي في ذلك عنتا من بعض من لم تتسع عقولهم لما اتسع له عقله، ولم يدركوا ما أدرك، وما هو إلا أن قامت المدرسة واستقرت أصولها حتى سلم لها كثير من المخالفين، وعذرها آخرون، وانقطع الكلام أو كاد، وهذا شأن المدارس التاريخية كما تجده في النحو والأصول وغيرها. ولله در الإمام أحمد رحمه الله حين يقول: (ما زلنا نلعن أهل الرأي ويلعنونا حتى جاء الشافعي فأصلح بيننا) (15).

আবু হানীফা (রহ.) কূফা নগরীতে মাদরাসাতুর রায় প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং মানুষের জীবনঘনিষ্ঠ মাসয়ালায়, বিশেষতঃ তাদের নিকট রেওয়ায়েতের অভাব থাকায় তিনি কিয়াস এবং সংস্কারকাজের আহবানে সাড়া দেন।……..ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) বলেন, আমরা (না বুঝেই) আহলুর রায়-দের অভিশাপ দিয়েছিলাম আর তারাও আমাদের অভিশাপ দিয়েছিল, যতক্ষণ না ইমাম শাফেয়ী (রহ.) এসে আমাদের মধ্যে (ভুল বুঝাবুঝি) মিটমাট করে দেয়। (১৫)

وهكذا قال إسحاق وغيره: (أنهم ما زال بهم الأمر حتى أخذوا بكثير من مسائل أبي حنيفة). وهذا شأن المنصفين؛ الرجوع إلى الحق وأخذه من غير أنفة ولا استكبار.

وفعلا فالرسالة للإمام الشافعي كانت تأصيلا لطرائق الاستدلال، وتدوينا لقواعده، وقطعا لدابر كثير من التهاوش والتهارش والتناوش بين المدارس المتنوعة في الفقه الإسلامي والتي كان تنوعها خيرا وثراء للشريعة، وهكذا ولدت المدارس الفقهية المعروفة، في الحجاز والشام والعراق ومصر وما وراء النهر و بلاد المغرب؛ استجابة لدواعي الصيرورة الحضارية، ومعايشة لتقلبات الحياة، فالغنى والفقر والقوة والضعف، وقدر المعرفة ونوع العلاقة التي تحكم صلة الشعوب بعضها ببعض ذات تأثير واضح في عقل الفقيه واستنباطه، وقد كان عمر بن عبد العزيز رحمه الله يقول: (تحدث للناس أقضية بقدر ما أحدثوا من الفجور) (16).

এধরণের অবস্থা ইমাম ইসহাক (রহ.) সহ অন্যান্যদেরও ছিল। তাদের এ অবস্থা অব্যাহত ছিল। এরই মধ্যে তাঁরা আবু হানীফা (রহ.)-এর অগণিত মাসয়ালা নিজেরাই গ্রহণ করেছেন। এটাই সম্মানিত ব্যক্তিদের বৈশিষ্ট্য যে, তাঁরা সত্যের দিকে ফিরে আসেন এবং কোনো রূপ অহংকারী ও বড়ত্ব প্রদর্শন ছাড়াই সত্যকে গ্রহণ করেন।………. (১৬)

ফিকহে হানাফীর উসূল বা নীতিমালা (أصول فقهه) :

قال أبو حنيفة رحمه الله: (ما جاء عن الرسول صلى الله عليه وسلم فعلى الرأس والعين وما جاء عن الصحابة اخترنا وما كان من غير ذلك فهم رجال ونحن رجال) (17).

আবু হানীফা (রহ.) বলেন, রাসূল (সা.)-এর কাছ থেকে যা যা বর্ণিত হয়ে এসেছে এর সবই আমার মাথা এবং চোখের উপর (অর্থাৎ নিঃশর্তভাবে মাননীয়)। আর সাহাবায়ে কেরামের কাছ থেকে (যেসব আছার-ফাতাওয়া ও কর্ম) এসেছে আমরা তা-ও (সমাধানের জন্য প্রমাণ হিসেবে) গ্রহণ করে নিয়েছি। এর বাহিরে অন্যান্যদের ব্যাপারে কথা হচ্ছে, তাদের আর আমাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। (১৭)

وقال الحسن بن زياد اللؤلؤي رحمه الله: (سمعت أبا حنيفة يقول: قولنا هذا رأي، وهو أحسن ما قدرنا عليه، فمن جاءنا بأحسن من قولنا فهو أولى بالصواب منا) (18).

হাসান ইবনে যিয়াদ আল-লু’লুবী (রহ.) বলেন, আমি আবু হানীফা (রহ.)-কে বলতে শুনেছি, আমাদের ফাতাওয়া হচ্ছে এ ক্বওল বা রায় (ফিকহি মত)। আর আমরা এ রায়ের উপর যা সিদ্ধান্ত দিয়েছি তা সর্বোত্তম। তবে হ্যাঁ, কেউ যদি আমাদের রায় অপেক্ষা অধিক উত্তম রায় পেশ করতে পারে তাহলে সেটাই আমাদের রায়ের চেয়ে সঠিক ও সর্বোত্তম বলে গণ্য হবে। (১৮)

وقال يحيى بن ضريس رحمه الله: (شهدت سفيان وأتاه رجل، فقال له: ما تنقم على أبي حنيفة؟ قال: وما له؟ قال: سمعته يقول: آخذ بكتاب الله، فما لم أجد فبسنة رسول الله، فما لم أجد في كتاب الله ولا في سنة رسول الله أخذت بقول أصحابه، آخذ بقول من شئت منهم وأدع من شئت منهم، ولا أخرج من قولهم إلى قول غيرهم، فأما إذا انتهى الأمر أو جاء إلى إبراهيم، والشعبي، وابن سيرين، والحسن، وعطاء، وسعيد بن المسيب .. ــ وعدد رجالا ــ فقوم اجتهدوا، فأجتهد كما اجتهدوا) (19).

ইয়াহইয়া বিন দ্বুরাইস (রহ.) বলেন, আমি সুফিয়ান আস-সওরীর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি তার নিকট আসে। সে তাঁকে বলে, আপনি আবু হানীফার উপর প্রতিশোধ নেবেন না? সুফিয়ান উত্তরে বললেন, তাঁর কী হয়েছে? (আরও) বললেন, আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, ‘আমি (প্রথমে) কিতাবুল্লাহ গ্রহণ করেছি। আর যা আমি পাইনি সেখানে, তা আমি সুন্নাহ দ্বারা (সমাধান খোঁজেছি)। আর যা কিতাবুল্লাহ এবং সুন্নাহ-তে পাইনি, আমি তজ্জন্য রাসূলের সাহাবীদের ফাতাওয়া ও কর্ম দ্বারা (সমাধান খোঁজেছি)। আমি উনাদের যার কাছ থেকেই ইচ্ছে হয়েছে প্রমাণ নিয়েছি, আর ইচ্ছে হয়েছে তো (মূলনীতির ভিত্তিতে) ছেড়ে দিয়েছি। আমি তাঁদের একে অন্যের দিকে ফিরিয়ে দিতে ফাতাওয়া নিইনি। যখন বিষয়টা শেষ হয় বা ইবরাহীম, শা’বী, ইবনে সিরীন, হাসান, আত্বা, সাঈদ ইবনে মুছায়্যিব…. আরও বহু ব্যক্তির নিকট এসে পৌঁছে, তখনই (কেবল) লোকেরা ইজতিহাদ করতে শুরু থাকে। তারা যেভাবে ইজতিহাদ করতে থাকে, তেমনি আমি (সুফিয়ান)ও করতে থাকি। (১৯)

تلك هي مصادر فقه أبي حنيفة، يقررها في وضوح وجلاء، يلتزم بالمصدرين الأساسين للفقه الإسلامي وهما كتاب الله وسنة رسوله، ثم يلزم نفسه بمصدر ثالث هو أقوال صحابة رسول الله صلى الله عليه وسلم، ولما لم تكن أقوالهم متطابقة تطابقا كاملا في بعض القضايا؛ فإن أبا حنيفة يأخذ عمن يراه أكثر علما من غيره وهو مع ذلك ملتزم بقول رسول الله صلى الله عليه وسلم في صحابته: «أصحابي كالنجوم بأيهم اقتديتم اهتديتم» (20).

এটি আবু হানীফার ফিকহের উৎসসমূহ। তিনি ইসলামী ফিকহের (আইনশাস্ত্র) দুটি প্রধান উৎসকে মেনেই পরিষ্কার ও স্পষ্টভাবে সিদ্ধান্ত নিতেন। সে দুটো হল, কিতাবুল্লাহ এবং রাসূলের সুন্নাহ। তারপর তিনি তৃতীয় মাত্রার উৎস হিসেবে রাসূল (সা.)-এর সাহাবীদের ফাতাওয়া ও কর্মকে (দলিল হেসেবে) বেছে নেন। যেহেতু তাদের বক্তব্য কিছু ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অভিন্ন ছিল না, সেহেতু আবু হানীফা অন্যদের থেকে যাদেরকে তিনি বেশি জ্ঞানী বলে মনে করেন তাদের কাছ থেকে (মিমাংসা) নিতেন এবং তা সত্ত্বেও তিনি রাসূলের সাহাবীদের সম্পর্কে আল্লাহর রসূল যা বলেছেন তার প্রতি তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। {আমার সাহাবীরা আকাশের নক্ষত্রতূল্য। তোমরা তাদের মধ্য হতে যারই আনুগত্য করবে সুপথপ্রাপ্ত হবে, ইনশাআল্লাহ।} (২০)

فإذا كان الأمر متعلقا بالتابعين، والتابعون على جلالة قدرهم لا يستوون مع الصحابة في موازين العلم والتقدير، فإن أبا حنيفة يرى نفسه أهلا لأن يجتهد كما اجتهدوا، وأنه ليس ملزما بالأخذ عنهم إلا تطوعا واقتناعا، وذكر في هذا السبيل عددا من خيرة التابعين، وبعضهم يعتبر شيخا له مثل عطاء بن رباح.. وإبراهيم النخعي الذي كان أستاذا لحماد بين أبي سليمان شيخ أبي حنيفة. ومهما يكن الأمر فأبو حنيفة مؤهل لأن يجتهد كما اجتهد غيره من العلماء الذين ذكرهم في معرض مصادر فقهه من غير الصحابة طبعا (21).

আর ব্যাপারটা যখন তাবেয়ীদের সাথে সম্পর্কিত হবে, এবং তাবেয়ীরা তাদের মহিমা সত্ত্বেও জ্ঞান ও উপলব্ধির মাপকাঠিতে সাহাবায়ে কেরামের সমান নন বিধায়; আবু হানীফা (রহ.) নিজেকে তাদের মতো মনে করতেন। যেজন্য তারা যেমন ইজতিহাদ করতেন তেমনি তিনিও ইজতিহাদ করতেন। তিনি স্বেচ্ছায় এবং দৃঢ় বিশ্বাস ছাড়া তাদের কাছ থেকে কোনো কিছু গ্রহণ করতে বাধ্য নন। এ প্রসঙ্গে তিনি বেশ কয়েকজন শ্রেষ্ঠ তাবেয়ীর কথা উল্লেখ করেছেন। তাদের মধ্যে কতিপয় ব্যক্তি তাঁর শায়খ হিসেবেও গণ্য। যেমন আত্বা ইবনে রাবাহ…ইবরাহীম নাখয়ী যিনি হাম্মাদ ইবনে আবী সোলায়মানের উস্তাদ এবং আবু হানীফার শায়খ। যাইহোক না কেন, আবু হানীফা অবশ্যই একজন অভিজ্ঞসম্পন্ন। তিনি ইজতিহাদ করেছেন যেমনিভাবে সাহাবীরা ব্যতীত অন্যান্য আলেমগণ করেছেন। যাদের কথা তিনি ফিকহের উৎস বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন। (২১)

وقال الحسن بن صالح رحمه الله: (كان النعمان بن ثابت فهما عالما متثبتا في علمه، إذا صح الخبر عنده عن رسول الله صلى الله عليه وسلم، لم يعده إلى غيره) (22).

হাসান ইবনে সালেহ বলেন, নোমান ইবনে সাবেত ছিলেন একজন বোধগম্য পণ্ডিত, যিনি ইলম ও জ্ঞানে সুদৃঢ়। যখন তার নিকট রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কোনো ‘খবর’ (হাদীস) সহীহ সাব্যস্ত হয়েছে, তখন তিনি সেটি (গ্রহণ করেছেন), অন্যদিকে ফিরিয়ে দেননি। (২২)

أقول: وهذا هو الظن بإمام مثله، وبإخوانه من الأئمة، فهم لم يختلفوا في الكتاب، ولم يختلفوا على الكتاب، وإنما اجتهدوا كما أمرهم الله، ومن شأن الاجتهاد أن يتعدد، وقد قال عمر بن عبد العزيز رحمه الله: (ما أحب أن أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم لم يختلفوا؛ لأنه لو كان قولا واحدا كان الناس في ضيق، وإنهم أئمة يقتدى بهم، ولو أخذ رجل بقول أحدهم كان في سعة) (23).
আমি বলি, এটাই তাঁর ন্যায় একজন ইমামের ব্যাপারে ধারণা এবং তাঁর ভ্রাতা অন্যান্য ইমামগণের ব্যাপারেও। তারা কেউই কিতাবুল্লাহর সাথে বা উর্ধ্বে মতভেদ করেননি। তারা মাত্র আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় ইজতিহাদ করেছেন এবং ইজতিহাদের যে শান ও মাক্বাম সেভাবেই গণ্য। হযরত উমর ইবনে আব্দিল আজীজ (রহ.) বলেছেন, আমি এটি পছন্দ করি না যে, আল্লাহর রসূলের সাহাবীগণ কোনো মতানৈক্য করেননি। কেননা, (সবার মতামত) যদি একই রকম ফাতাওয়া (ফিকহ) হত তাহলে লোকজন কষ্টের শিকার হতেন। অথচ তারা ইমামগণের (ফিকহের) অনুসরণ করে আসছেন। যদিওবা মানুষজন ইমামগণের মধ্য হতে যে কোনো একজনের ফাতাওয়া গ্রহণ করতেও সক্ষম। (২৩)

আবু হানীফার মেধাশক্তি ও প্রমাণাদি (ذكاؤه وحجته):

قال الإمام الشافعي رحمه الله: (قيل لمالك بن أنس: هل رأيت أبا حنيفة؟ قال: نعم. رأيت رجلا لو كلمك في هذه السارية أن يجعلها ذهبا لقام بحجته) (24).

ইমাম শাফেয়ী (রহ.) বলেন, ইমাম মালেক ইবনে আনাস (রহ.)-কে প্রশ্ন করা হল, আপনি আবু হানীফাকে কেমন দেখেছেন? তিনি উত্তরে বলেছেন, হ্যাঁ; আমি তাঁকে এমন একজন ব্যক্তিরূপে দেখেছি যে, তিনি যদি এই মাস্তুলটিকে ‘সোনা’ সাব্যস্ত করতে চাইতেন তিনি তা সাব্যস্ত করতে অবশ্যই প্রমাণ দাঁড় করতে পারতেন। (২৪)

وقال جعفر بن الربيع: (أقمت على أبي حنيفة خمس سنين فما رأيت أطول صمتا منه، فإذا سئل عن شيء من الفقه تفتح وسال كالوادي، وسمعت له دويا وجهارة بالكلام) (26).

জা’ফর ইবনুর রবী আমি আবু হানীফা (রহ.)-এর দরবারে পাঁচ বছর ছিলাম। আমি তার চেয়ে দীর্ঘ নিরবতা পালনকারী আর কাউকে দেখিনি। যখনি ফিকহ সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে (তাকে) জিজ্ঞেস করা হত তখনি তিনি উপত্যকার মতো খুলে খুলে তার জবাব দিয়ে দিতেন। আমি তাকে জোরে জোরে সমাধা দিতে শুনতে পেতাম। (২৬)

وذكر المتقي المكي في مناقب أبي حنيفة مناظرة جرت بين الإمام أبي حنيفة وبين جماعة من الزنادقة: قال لهم أبو حنيفة: ما تقولون في رجل يقول لكم: إني رأيت سفينة مشحونة بالأحمال، مملوءة بالأمتعة وقد احتوشتها في لجة البحر أمواج متلاطمة، ورياح مختلفة، وهي من بينها تجري مستوية ليس فيها ملاح يجريها ويقودها ويسوقها، ولا متعهد يدفعها، هل يجوز ذلك في العقل؟ فقالوا: لا. هذا لا يقبله العقل، ولا يجيزه الوهم.

فقال لهم أبو حنيفة: فيا سبحان الله! إذا لم يجز في العقل وجود سفينة تجري مستوية من غير متعهد، فكيف يجوز قيام الدنيا على اختلاف أحوالها وتغير أمورها، وسعة أطرافها، وتباين أكنافها من غير صانع وحافظ ومحدث لها؟! (27).

ইমাম মুত্তাকী আল মক্কী ‘মানাকীবে আবী হানীফা’ গ্রন্থে আবু হানীফা আর যিন্দীকদের মাঝে সংঘটিত একটি বিতর্ক উল্লেখ করেছেন। আবু হানীফা (রহ.) তাদের উদ্দেশ্যে বললেন, তোমরা এমন ব্যক্তি সম্পর্কে কী ধারণা রাখো যে তোমাদেরকে বলল যে, আমি দেখলাম একটা জাহাজ বোঝাই, মালপত্র ভর্তি, আর সেটা সমুদ্রের গভীরে নানা রকম বায়ুর কবলে ও উত্তাল তরঙ্গে আছড়ে পড়েছে। জাহাজটি তাদের নিয়ে শান্তভাবে চলছে। তবে তাদের চালনা করার জন্য কোনো মাঝিমাল্লা নেই, কোনো নাবিক নেই, কোনো অধীনস্থ কর্মকর্তা নেই যিনি জাহাজটিকে নিয়ন্ত্রণ করবেন। তো এটি কি বিবেকের সামনে বৈধ? (অর্থাৎ বিবেক কি এ কথাগুলো মেনে নেবে?) তখন তারা উত্তরে বলল, না; এগুলো বিবেক গ্রহণ করেনা, চিন্তার জগত এটিকে অনুমতি দেয় না।

তখন আবু হানীফা (রহ.) তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, সুবহানাল্লাহ! যদি নাবিক ছাড়াই শান্তভাবে চলমান কোনো জাহাজের অস্তিত্ব কল্পনা করাই বিবেকগ্রাহ্য না হয় তাহলে এই পরিবর্তনশীল সুবিশাল পৃথিবীটা কোনো স্রষ্টা, রক্ষক ও নির্মাতা ছাড়াই দাঁড়িয়ে থাকতে পারে কিভাবে? (২৭)

আবু হানীফা (রহ.)-এর জ্ঞানশক্তি (رجاحة عقله):

قال محمد بن عبد الله الأنصاري: (كان أبو حنيفة يتبين عقله في منطقه ومشيه ومدخله ومخرجه) (28).

মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ আল আনসারী বলেন, আবু হানীফা (রহ.)-এর জ্ঞান ও প্রজ্ঞার পরিচয় পাওয়া যায় তাঁর এলাকায়, চাল-চলনে এবং প্রবেশ ও বহির্গমণ দ্বারা। (২৮)

وقال يزيد بن هارون: (أدركت الناس، فما رأيت أحدا أعقل ولا أفضل ولا أورع من أبي حنيفة) (29).

ইয়াযিদ ইবনে হারুন বলেন, আমি অনেক মানুষ দেখেছি। কিন্তু আমি আবু হানীফার চেয়ে অত্যাধিক জ্ঞানী, উত্তম আর বিচক্ষণ কাউকে দেখিনি। (২৯)

  • প্রামাণ্য তথ্যসূত্রের জন্য টিকাসমূহ (الهوامش:):

(1) تاريخ بغداد (13/346)، تهذيب الكمال (29/433)، تهذيب التهذيب (10/402)، سير أعلام النبلاء (6/403).

(2) سير أعلام النبلاء (6/403)، والبيت للمتنبي وهو في ديوانه (3/92) بشرح العكبري.

(3) تهذيب الكمال (29/430)، تهذيب التهذيب (10/401)، سير أعلام النبلاء (6/403).

(4) تاريخ بغداد (13/343).

(5) المرجع السابق.

(6) تاريخ بغداد (13/340).

(7) الانتقاء لابن عبد البر (ص126).

(8) تاريخ بغداد (13/345).

(9) تهذيب الكمال (29/429).

(10) المرجع السابق (29/431).

(11) المرجع السابق.

(12) انظر: تهذيب الكمال (29/433)، سير أعلام النبلاء (6/402)، تهذيب التهذيب (10/402).

(13) تاريخ بغداد (13/339).

(14) سير أعلام النبلاء (6/390-392).

(15) انظر: ترتيب المدارك (1/386-387)، الاعتصام للشاطبي (1/226).

(16) الاعتصام للشاطبي (1/476).

(17) سير أعلام النبلاء (6/401).

(18) تاريخ بغداد (13/352).

(19) تهذيب الكمال (29/443)، تهذيب التهذيب (10/402).

(20) الحديث ضعيف ، انظر سلسلة الأحاديث الضعيفة والموضوعة للألباني (1/78) برقم : (58).

(21) انظر الأئمة الأربعة للشكعة (ص/164 ــ 165).

(22) الانتقاء لابن عبد البر (ص:128).

(23) أخرجه ابن عبد البر في جامع بيان العلم وفضله (2/80).

(24) تاريخ بغداد (13/337-338)، تهذيب الكمال (29/429)، سير أعلام النبلاء (6/399).

(25) تاريخ بغداد (13/345).

(26) تاريخ بغداد (13/347).

(27) مناقب أبي حنيفة (ص:51).

(28) تهذيب الكمال (29/439).

(29) المرجع السابق (29/438).

মূল : ডক্টর সালমান বিন ফাহাদ আল-আওদাহ (হাফিঃ), অধ্যাপক- ইমাম মুহাম্মদ বিন সউদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীয়া বিভাগ, সোদিআরব। শায়খ মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমিন (রহ.)-এর ঘনিষ্ঠ শিষ্য। বর্তমানে সৌদি সরকারের কারাগারে বন্দী (উইকিপিডিয়া)। অনুবাদক : মুহাম্মদ নূরুন্নবী এম.এ

সোর্স- okaz.com | fnoor.com | fnoor.com

ইমামে আযম সম্পর্কে জনৈক প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তরটি পড়া যেতে পারে! এখানে ক্লিক করুন।

Previous article মসীহ মওউদ ওলী আল্লাহ থে…
Next article ফিকহের ক্ষেত্রে সমগ্র মানুষ আবু হানীফা (রহ.)-এর পরিবারভুক্ত
প্রিয় পাঠকবৃন্দ! এটি সম্পূর্ণ দ্বীনি ও অলাভজনক একটি ওয়েবসাইট। প্রতি বছর এটির ডোমেইন ও হোস্টিং ফি হিসেবে আমাকে এর ব্যয় বহন করতে হচ্ছে। যদি উক্ত ব্যয় বহন করতে অপারগ হই তাহলে এই সাইটটি নিশ্চিত বন্ধ হয়ে যাবে। সেহেতু আপনাদের সবার নিকট আবেদন থাকবে যে, আপনারা সাইটটির উক্ত ব্যয় বহনে এতে বিজ্ঞাপন দিতে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহিত করবেন এবং নিজেরাও সহযোগিতায় এগিয়ে আসবেন। বিনীত এডমিন! বিকাশ : ০১৬২৯-৯৪১৭৭৩ (পার্সোনাল)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here