রাসূল (সা:)-এর নামে মিথ্যা রটানো সম্পর্কে হাদীস : যে ব্যক্তি আমার প্রতি স্বেচ্ছায় মিথ্যাচার করে তার ঠিকানা জাহান্নাম। (সূত্র : সহীহ বুখারী, কিতাবুল ইলম)।
মির্যা কাদিয়ানীর ধারাবাহিক মিথ্যাসমূহ (প্রামাণ্য স্ক্যানকপি সহ) :
(১) বহু সহীহ হাদীসে এসেছে মসীহ মওউদ শতাব্দির শুরুতে আগমন করবেন এবং তিনি চতুর্দশ শতাব্দির মুজাদ্দিদ হবেন। (রূহানী খাযায়েন ২১:৩৫৯)। প্রামাণ্য স্ক্যানকপি এই,
(২) কুরআন এবং বহু হাদীসে ভবিষ্যতবাণী রয়েছে, মসীহ মওউদ (আ:) এর যখন আত্মপ্রকাশ হবে তখন তিনি ইসলামী উলামাদের হাতে কষ্ট পাবেন। তারা তাকে কাফের আখ্যা দেবেন, হত্যার ফতুয়া দেবেন, কঠিনভাবে অবমাননা করবেন এবং ইসলাম থেকে বের হয়ে গেছে ও ধর্ম নষ্টকারী বলে মনে করবেন। (রূহানী খাযায়েন ১৭:৪০৪)। প্রামাণ্য স্ক্যানকপি এই,
(৩) কিছু সংখ্যক হাদীসে উল্লেখ আছে, আগত মসীহ এর একটি আলামত এটিও রয়েছে যে, তিনি জুলকারনাঈন হবেন। (রূহানী খাযায়েন ২১:১১৮)। প্রামাণ্য স্ক্যানকপি এই,
(৪) বহু হাদীসে নববীতে এমনি এসেছে, প্রতিশ্রুত মাহদীর উপর কুফুরীর ফতুয়া লাগানো হবে। অতএব সেটি এখন পূরণ হলো। (রূহানী খাযায়েন ১২:৭৫)। প্রামাণ্য স্ক্যানকপি এই,
(৫) বহু সহীহ হাদীস দ্বারা এটি প্রমাণিত যে, মসীহ ছয় হাজার সালে জন্ম নিবেন। (রূহানী খাযায়েন ২২:২০৯)। প্রামাণ্য স্ক্যানকপি এই,
(৬) যেহেতু সহীহ হাদীসে আছে, ইমাম মাহদীর কাছে একটি কিতাব থাকবে যার মধ্যে ৩১৩ জন সাথীর নাম থাকবে। সে ভবিষ্যতবাণী আজ পূরণ হল। (রূহানী খাযায়েন ১১:৩২৪)। প্রামাণ্য স্ক্যানকপি এই,
(৭) সহীহ বুখারীতে সুস্পষ্টভাবে লিখা আছে যে, হযরত ঈসা (আ:) মৃত্যুবরণ করিয়াছেন। (রূহানী খাযায়েন ১৯:৬৫)প্রামাণ্য স্ক্যানকপি এই,
(৮) কুরআন শরীফ এবং বহু হাদীস ও পূর্বেকার বহু কিতাবে উল্লেখ আছে, মসীহ এর যুগে একটি নতুন গাড়ী আবিস্কৃত হবে যা আগুন দ্বারা চলবে, তখন উট বেকার হয়ে পড়বে। আর এই শেষ অংশের হাদীসটি সহীহ মুসলিমেও রয়েছে। এই সেই গাড়ী যেটি আবিস্কৃত হল সেটি রেল (Rail)। (রূহানী খাযায়েন ২০:২৫)। প্রামাণ্য স্ক্যানকপি এই,
(৯) বহু হাদীসে এই কথা পরিষ্কার রয়েছে, শেষ যুগে মুহাম্মদ (সা:) দুনিয়াতে আবার আসবেন এবং মসীহও আসবেন। তবে দুইজনই বুরুজীভাবে আসবেন, হাকীকীভাবে নয়। (রূহানী খাযায়েন ১৮:৩৮৪)। প্রামাণ্য স্ক্যানকপি এই,
(১০) বহু হাদীসে এটিও উল্লেখ আছে, মসীহ এর সময় তাউন [প্লেগ, মহামারী] ছড়িয়ে পড়বে এবং হজ্জে বাধা প্রদান করা হবে। সুতরাং এই সমস্ত নিদর্শন প্রকাশ্যে আসিয়া গেল। (রূহানী খাযায়েন ১৭:৩৯৯)। প্রামাণ্য স্ক্যানকপি এই,
(১১) নবী করীম (সা.)-এর বহু হাদীসে ভবিষ্যতবাণী করা হয়েছে যে, হুজুর (সা.) এর উম্মতের মধ্য হতে এক ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করবে যাকে ঈসা এবং ইবনে মরিয়ম বলা হবে এবং নবী নামেও ডাকা হবে। (রূহানী খাযায়েন ২২:৪০৬)। প্রামাণ্য স্ক্যানকপি এই,
১২। ‘মুজাদ্দিদ সেরহান্দী (রহ.) নিজ ‘মাকতুবাত’ () এর মধ্যে লিখেছেন, যদিও বা এই উম্মতের কিছু সদস্য আল্লাহর সাথে কথপোকথন ও আল্লাহর সম্বোধনের অধিকারী এবং কেয়ামত পর্যন্ত এই ধারা চলতে থাকবে কিন্তু যাকে খুব বেশি এই বৈশিষ্ট্য এবং গায়েবের সংবাদ দান করা হয় তাকে নবী বলা হয়।’ (রূহানী খাযায়েন ২২:৪০৬)। প্রামাণ্য স্ক্যানকপি এই,
শেষকথা : আহমদীবন্ধুদের উচিত, মির্যা সাহেবের মতবাদগুলো অন্ধভাবে ফেরি করার আগে তাকে অন্ততপক্ষে সত্যবাদী প্রমাণ করা। কারণ তিনি নিজেই লিখে গেছেন ‘কেউ একটি কথায় মিথ্যুক প্রমাণিত হলে তার অন্য আর কোনো কথার গ্রহণযোগ্যতা থাকেনা।’ (দেখুন, রূহানী খাযায়েন ২৩/২৩১)। প্রামাণ্য স্ক্যানকপি এই,
প্রিয় পাঠকবৃন্দ! লিখাটি উপকারী মনে হলে অবশ্যই দেশের আক্রান্ত এলাকাগুলোতে পৌঁছে দেবেন। বিশেষ করে দাঈদের উচিত, লিখাটি প্রিন্ট করে নিজেদের সংরক্ষণে রাখা। যাতে প্রয়োজনে সত্যানুরাগী কাদিয়ানীদের চোখে আঙুল দিয়ে মির্যার বাস্তবতা দেখিয়ে দিতে পারেন। আল্লাহপাক যেন এই উসিলায় আমাদেরকে ক্ষমা করেন এবং পরকালে নাজাতের ব্যবস্থা করেন। আল্লাহুম্মা আমীন।
লিখক : প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী, শিক্ষাবিদ ও গবেষক