নতুন নতুন “নবী” এর কনসেপ্ট কাদিয়ানীদের বই-পুস্তকে,
মির্যা কাদিয়ানীর পুত্র এবং কাদিয়ানীদের দ্বিতীয় খলীফা মির্যা বশির উদ্দীন মাহমুদ লিখেছেন, “যদি আমার গর্দানের দুই পাশে তলোয়ারও ধরে রাখা হয় আর আমাকে বলতে বলা হয় যে, তুমি বল, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পর আর কোনো নবী আসতে পারেনা! তাহলে আমি অবশ্যই বলব যে, তুমি মিথ্যাবাদী ও মহা মিথ্যুক। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পর নবী আসতে পারে, অবশ্যই আসতে পারে।” (আনওয়ারে খিলাফাত পৃষ্ঠা ৬৭, উর্দূ অনলাইন এডিশন, মির্যা বশির উদ্দীন মাহমুদ)।
মির্যা বশির একই গ্রন্থের আরেক জায়গায় পরিষ্কার লিখেছেন, “তারা মনে করছে যে, আল্লাহতালার ভাণ্ডার শেষ হয়ে গেছে, তাই তিনি (এখন) কাউকে কিছুই দেন না। তেমনিভাবে এও বলে যে, কোনো কেউ দুনিয়াবিরাগী এবং খোদাভীরুতায় ও তাকওয়া আর পরহেজগারীতে কতেক নবী অপেক্ষায় যতই অগ্রে পৌঁছে যায় না কেন, সে যত বেশিই খোদার মা’রেফত (দর্শন) লাভ করেনা কেন; কিন্তু খোদা তাকে কখনোই নবী বানাবেন না। তাদের এইরূপ মনে করার কারণ হচ্ছে খোদাতালার মর্যাদা বুঝতে না পারা। অন্যথা নবী শুধুই একজন কেন! আমি তো বলি, হাজার হাজার নবী হবেন।” (আনওয়ারে খিলাফাত পৃষ্ঠা ৬৪, উর্দূ অনলাইন এডিশন, মির্যা বশির উদ্দীন মাহমুদ)।
শেষকথা : খতমে নবুওয়তের আকীদায় বিশ্বাসী মুসলিম উম্মাহকে কাদিয়ানীদের আসল ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে জানিয়ে দেয়াই আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য, সে জায়গা থেকেই বলছি, এখন আমাদের করণীয় হচ্ছে, সাধারণ কাদিয়ানীদের মাঝে দাওয়াতি কাজ বৃদ্ধি করা এবং ইসলামের পথে ফিরে আনতে চেষ্টা করা। কেননা বেশিরভাগ কাদিয়ানীই উর্দূ না পারার দরুন বা এ সমস্ত তথ্য সম্পর্কে পুরোপুরি অন্ধকারে থাকার কারণে তারা মনে করে যে, তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ গুলো সত্য নয়। ফলে তাদের পক্ষে ইসলামে ফিরে আসাও এক প্রকারের কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আল্লাহ সবাইকে হিদায়াতের দৌলত দান করুন।
লিখক, মুহাম্মদ নূরুন্নবী এম.এ
প্রামাণ্য স্ক্যানকপি বা মূল গ্রন্থের পৃষ্ঠাগুলো নিম্নরূপ


