Home কাদিয়ানী পশ্চিমাদের নিকট কাদিয়ানীরা এত জামাই আদুরে কেন?

পশ্চিমাদের নিকট কাদিয়ানীরা এত জামাই আদুরে কেন?

0

পশ্চিমাদের নিকট কাদিয়ানীরা এত জামাই আদুরে কেন? রহস্য কী??

উল্লিখিত প্রশ্নের উত্তরে বিশেষজ্ঞগণ বলে গেছেন যে,

এর সব চেয়ে প্রধান কারণ হচ্ছে, পশ্চিমাদের স্বার্থে সব সময় নিঃশর্তভাবে গুপ্তচরবৃত্তির কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে এ গোষ্ঠীটি। সম্প্রতি পাক সরকারের কারাগারে বন্দী থাকা অসংখ্য কাদিয়ানীর বিরুদ্ধেও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে, যা প্রমাণিত। দেশটির অন্যতম শক্তিশালী দৈনিক জঙ্গ পত্রিকায় এ সংক্রান্ত নিউজ প্রায় প্রতিবারই করা হয়ে থাকে।

উল্লেখ্য, কাদিয়ানীরা মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সরকারি জরুরি নথিপত্র শত্রুদেশে পাচারে সক্রিয়। তারা যে সমস্ত অমুসলিম শত্রু দেশগুলোর পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির কাজে লিপ্ত তন্মধ্যে ভারত, ইংল্যান্ড এবং ইঙ্গ-মার্কিন ও ইজরায়েল অন্যতম।

দ্বিতীয় যে কারণটি সেটি পশ্চিমাদের নিকট খুব বেশি একটা গুরুত্বপূর্ণ না হলেও মুসলমানদের জন্য খুবই ভাবনার বিষয়। সেটি হচ্ছে,

কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে পশ্চিমা মিডিয়া দুনিয়ার সামনে “মুসলমান” হিসেবে হাইলাইট করে দেয়ার মধ্য দিয়ে প্রকৃত মুসলমানদের মুকাবিলায় একটি নকল বা ফেইক মুসলমান হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেয়া। যাতে অজ্ঞাতসারে অমুসলিম সম্প্রদায় তাদেরকে মুসলিম ভেবে প্রতারিত হয় এবং ইসলামে প্রবেশ করতে গিয়ে কাদিয়ানী হয়ে যায়। ফলে যে লাউ সেই কদুই যেন রয়ে যায়। বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বে বিশেষ করে আমেরিকা, কানাডা, জার্মান, মেক্সিকো এবং আফ্রিকার কোনো কোনো দেশে বেদনাদায়ক সেই দুর্ঘটনাই ঘটছে। ইন্না-লিল্লাহ। বিবিসি তেমনি একটা নিউজ করেছে যেখানে মেক্সিকোর এক খ্রিস্টান পরিবার সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, তারা ইসলাম ভেবে কাদিয়ানী ধর্মমত গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে প্রতারিত হয়েছে। নিচের লিংক থেকে ভিডিওটি দেখুন!

Click

এবার হয়ত কেউ কেউ প্রশ্ন করতে পারেন যে, কাদিয়ানীরা যে পশ্চিমাদের দ্বারা পরিচালিত তার কী এভিডেন্স আছে? এর উত্তরে আমি কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী সেকেন্ড খলিফা মির্যা বশির উদ্দীন মাহমুদ এর একটি বক্তব্য তাদেরই উর্দূ ভাষার একটি দৈনিক পত্রিকা থেকে এখানে তুলে ধরছি। মির্যা বশির উদ্দীন বলেন, “শত্রু আমাদের উপর যখন আক্রমণ করে তখন স্বর্গীয় সমর্থন ছাড়াও মহান আল্লাহ আমাদের সুরক্ষার জন্য মানুষের মধ্য থেকে একজন রক্ষাকারী দাঁড় করে দিয়ে থাকেন। সেটি সবসময় একই হয়ে থাকে অর্থাৎ ব্রিটিশ সরকার। এমতাবস্থায় আমরা এই সরকারের কৃতজ্ঞতা (শোকরগুজার) স্বীকার না করে কিভাবে থাকতে পারি!! এই সরকারের সাথেই আমাদের সমস্ত উপকারিতা একাকার হয়ে গেছে। এই সরকারের পতন আমাদেরই পতন, এই সরকারের উন্নতি আমাদেরই উন্নতি। এ সরকারের হুকুমত (আধিপত্য) যেখানে যেখানেই সম্প্রসারিত হতে যাচ্ছে আমাদের জন্য (সে সবখানে) তাবলীগের (সদস্য সংগ্রহের) একেকটি ময়দান সুগম (উন্মুক্ত) হচ্ছে। সুতরাং কোনো বিরুদ্ধবাদীর আপত্তি আমাদেরকে এ সরকারের অনুগত হওয়া থেকে বিচ্যুত করতে পারবেনা।” (দৈনিক আল ফজল, তারিখ-১৯/১০/১৯১৫ ইং, মির্যা কাদিয়ানীর পুত্র ও জামাতের দ্বিতীয় খলীফা মির্যা বশির উদ্দীন মাহমুদ-এর বক্তব্যের উদ্ধৃতাংশ)।

শেষকথা হচ্ছে, মুসলিম উম্মাহ যতক্ষণ পর্যন্ত পশ্চিমাদের এ ভন্ডামির স্বরূপ উন্মোচন করতে না পারবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের ঈমান আমল তো বটে, নিজ দেশের ভিটেমাটি কিংবা আত্মপরিচয়টুকুও নিরাপদ থাকবে না। সংক্ষেপে।

লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক

প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here