মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী এর “নবী” দাবী করার বিষয়টি শেষ পর্যন্ত আর আড়াল করা সম্ভব হল না! ধন্যবাদ কাদিয়ানী নেতাদের, তারা বেলা শেষে আসল চেহারা নিয়েই আত্মপ্রকাশ করেছে। তাদের সর্বসাধারণ কাদিয়ানী মানুষ গুলোও এবার ভ্রান্তির অন্ধকার থেকে মুক্তি লাভ করতে পারবে, ইনশাআল্লাহ। কেননা, এতদিন তাদেরকে বলে বুঝাত যে, মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ‘নবী’ দাবী করেনি। তাদেরই অন্য আরেকটি পুস্তক ‘হামামাতুল বুশরা’ বইয়ের ৪৮ নং পৃষ্ঠাটি সহ আরও নানা জায়গা থেকে বুঝানোর চেষ্টা করা হত যে, দেখ দেখ মির্যা কাদিয়ানী সাহেব কত সুস্পষ্টভাবে নিজের নবুওয়ত দাবী করাকে অস্বীকার করেছেন!
ঘটনাটি হচ্ছে, মির্যা গোলাম আহমদের আগের বইগুলোতে তার নবী দাবীকে অস্বীকার করার কথা সত্য, কিন্তু ১৯০১ সালের পরে রচিত বইগুলো হতে পরিষ্কার করে জানা যায় যে, মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী পরবর্তীতে “নবুওয়ত” এর দাবী করেন এবং দ্ব্যর্থ কন্ঠেই তিনি তা স্বীকার করে যান। তিনি তার একটি ঘোষণাপত্রে কোনো লুকোচুরি ছাড়াই পরিষ্কার ভাষায় বলে দিয়েছেন যে,
“আমি আল্লাহর আদেশ মুতাবেক একজন নবী”। দেখুন- (নবুওয়ত ও খিলাফত পৃষ্ঠা নং ৭৬)।
কাদিয়ানীদের মোটাদাগে কিছু কুফুরি মতবাদের এক পৃষ্ঠার এ পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করুন।
কিন্তু আফসোস! এরা এরপরেও নিজেদের আত্মপক্ষ সমর্থনে চাপাবাজী করতেই থাকবে। তারা প্রথমে ‘নবী’ দাবী করার বিষয়টিকে নিজেদেরই মনগড়া কনসেপ্ট কথিত জিল্লি বুরুজি নানা কুটতর্কের মধ্যদিয়ে অস্বীকার করার চেষ্টা করে থাকে। যখনি ধরা পড়ে যায় তখনি প্রসঙ্গ পালটে ফেলে অথবা ‘নবী’ শব্দের আভিধানিক এবং পারিভাষিক নানা বিশ্লেষণের দিকে মুভ করে, যাতে শ্রোতাদের দৃষ্টিকে ভিন্নদিকে ডাইভেট করে দিতে পারে এবং আলোচনার পরিবেশ নষ্ট করতে পারে। আল্লাহ এদেরকে সহীহ সমঝ দিন, আমীন।
বিজ্ঞ পাঠকবৃন্দ, এবার আমি এ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেয়ার জন্য ঐ বইটির ধারাবাহিক কিছু পৃষ্ঠা এখানে তুলে দিচ্ছি। যাতে পাঠকবৃন্দ ব্যাপারটিকে আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারেন এবং যথাসময়ে ওদেরকেও চ্যালেঞ্জ করতে পারেন।
প্রদত্ত স্ক্যানকপি






