Home কাদিয়ানীর আসল রূপ মির্যা কাদিয়ানীর দাবী যারা মানেনা তাদের সম্পর্কে

মির্যা কাদিয়ানীর দাবী যারা মানেনা তাদের সম্পর্কে

0

মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (১৮৩৯-১৯০৮) একজন ব্রিটিশ ভারতীয় নাগরিক। পুর্বপুরুষ ছিল মোগল। সম্রাট তৈমুরের বংশধর ছিল। তার পরদাদা মির্যা গুল মুহাম্মদ এবং দাদা মির্যা আতা মুহাম্মদ, পিতা মির্যা গোলাম মর্তুজা। প্রত্যেকে শিখদের দ্বারা নিজ জন্মস্থান পাঞ্জাবে অনেক নিপীড়নের সম্মুখীন হয়, জমিজমা হারায়। কিন্তু পাঞ্জাবের মহারাজা রণজিৎ সিং এর রাজত্বের শেষের দিকে ব্রিটিশ সরকার তার পিতা মির্যা গোলাম মর্তুজাকে তাদের হারানো ৫ টি গ্রামের পূর্ণ জমিদারী পুনরায় উদ্ধার করে দেয়।

জাগতিক এ স্বার্থসিদ্ধির শোকরগুজার হিসেবে তাদের প্রত্যেকেই ছিলেন বংশপরম্পরায় ব্রিটিশ সরকারের একান্ত অনুগত ও জীবন উৎসর্গকারী। ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশ সরকারের সাহায্যে মির্যা গোলাম মর্তুজা ৫০টি সশস্ত্র ঘোড় সওয়ার পাঠিয়েছিলো। যারা সে সময় ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে জীবন-মরণ যুদ্ধ করেছিলো। মির্যা কাদিয়ানী এ ইতিহাস নিজেই তার রচনা ‘কিতাবুল বারিয়্যাহ’ পুস্তকে লিখে গেছেন। তার রচনাসমগ্র রূহানী খাযায়েন খন্ড নং ১৩ পৃষ্ঠা নং ৪-৬ দেখুন।

মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী নিজ পূর্ব পুরুষদের অনুকরণে আজীবন ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে বুদ্ধিবৃত্তিক খেদমত আঞ্জাম দিয়ে যান। নিজেকে স্বঘোষিতভাবে ব্রিটিশ সরকারের রোপিত চারাগাছ বলে পরিচয় দিতেন। জীবনের শুরুতে ইসলামের পক্ষেও বহু লিখালিখির কাজ করেন। তবে পরবর্তীতে নিজেকে কখনো ‘মসীহ‘, কখনো বা ইমাম মাহদী, কখনো বা বুরুজি মুহাম্মদ দাবীতে বাজার গরম করে তুলেন। ১৯০১ সালের পর নিজেকে সরাসরি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আধ্যাত্মিক সত্তা বলে দাবী করেন। দ্বিতীয় মুহাম্মদ বা বুরুজি মুহাম্মদ হবার দাবী সহ জীবনের শেষের দিকে শরীয়তী নবী হওয়ারও দাবী করে বসেন।

মির্যা কাদিয়ানী সাহেবকে যারা মানে না তাদের সম্পর্কে তারই রচনার আলোকে নিচে তুলে ধরছি,

তিনি তার ১৮৯৯ সালের দিককার একটি রচনায় পরিষ্কার লিখেছেন,

میرا یہ مذہب ہے کہ میرے دعوے کے انکار کی وجہ سے کوئی شخص کافر یا دجال نہیں ہو سکتا۔

অর্থাৎ “আমার মত হচ্ছে যে, আমার দাবী অস্বীকার করার কারণে কোনো ব্যক্তি কাফের অথবা দজ্জাল হয়ে যাবেনা।” দেখুন, তার রচনা ‘তিরয়াকুল কুলুব‘ পৃষ্ঠা নং ১৩১ উর্দূ, (রূহানী খাযায়েন খন্ড নং ১৫, পৃষ্ঠা নং ৪৩২)। প্রামাণ্য স্ক্যানকপি দ্রষ্টব্য –

কিন্তু মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী সাহেব তার আরেক রচনায় ১৯০৬ সালের মার্চের দিকে দীপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা দিয়ে লিখে গেছেন যে,

خدا تعالی نے میرے پر ظاہر کیا ہے کہ ہر ایک شخص جس کو میرے دعوت پہنچی ہیں اور اس نے مجھے قبول نہیں کیا وہ مسلمان نہیں ہے اور خدا کے نزدیک قابل مؤاخذہ ہے

“খোদাতায়ালা আমার প্রতি প্রকাশ করেছেন যে, যাদের নিকট আমার দাওয়াত পৌঁছা সত্ত্বেও কবুল করেনি তারা মুসলমান নয়, বরং তারা খোদার নিকট ধরপাকড়ের যোগ্য।” দেখুন ‘তাযকিরাহ‘ চতুর্থ এডিশন পৃষ্ঠা নং ৫১৯, উর্দূ ভার্সন। প্রামাণ্য স্ক্যানকপি দ্রষ্টব্য –

শেষকথা– উপরের দীর্ঘ আলোচনা হতে পরিষ্কার হয়ে গেল যে, মির্যা গোলাম কাদিয়ানী সাহেব সত্যিই একজন মানসিক রোগী ছিলেন। তার স্মৃতিশক্তি খুব বেশি লোপ পেয়েছিল। ফলে তিনি সকালে কী বলতেন তা বিকেল পর্যন্ত মনে রাখতে পারতেন না। যখন যা মনে আসত তখন তা নির্দ্বিধায় লিখে যেতেন। আফসোস! তার অধিকাংশ অন্ধ অনুসারীর জন্য। তাদেরকে বুঝিয়ে কোনো ফায়দা নেই। কারণ তারা ব্রেইন ওয়াশ ও অন্ধ। আল্লাহ তাদেরকে সুবোধ দান করুন।

লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক

মুহাম্মদ নূরুন্নবী এম এ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here