![মির্যা কাদিয়ানীর নবী দাবীর ১৫টি রেফারেন্স মির্যা কাদিয়ানীর নবী দাবীর ১৫টি রেফারেন্স](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2020/11/PicsArt_02-13-08.28.45.png)
কাদিয়ানীরা মুসলমানদের ব্যাপারে কেমন ধারণা রাখে? এখানে ক্লিক করুন।
এক নজরে মির্যা কাদিয়ানী সাহেবের “নবী রাসূল” দাবীর রেফারেন্স তার এবং তার পুত্র আর আহমদী জামাতের নেতাদের কতেক বইপুস্তক থেকে :
১. নবুওয়তি প্রাসাদের সর্বশেষ ইট দাবী। যেমন, মির্যা সাহেব লিখেছেন, ‘নেয়ামতপ্রাপ্তদের প্রাসাদের একখানা ইটের জায়গা শূন্য ছিল। আল্লাহ ইচ্ছা করলেন যে, তিনি ভবিষ্যৎবাণী পূর্ণ করতে সর্বশেষ ইটের জায়গাটি পরিপূর্ণ করে প্রাসাদটি সম্পন্ন করবেন। আর আমিই হলাম সেই শূন্য জায়গার অবশিষ্ট ইট।’ (অনুবাদ শেষ হল)। দেখুন, খোতবায়ে ইলহামিয়্যাহ, রূহানী খাযায়েন ১৬/১৭৭-৭৮ ; উল্লেখ্য মির্যা কাদিয়ানীর ৮৩টি বইয়ের সমষ্টি হল ২৩ খন্ডে প্রকাশিত রূহানী খাযায়েন।
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2021/12/iMarkup_20211226_181620.jpg)
২. শেষনবীর দ্বিতীয় প্রকাশ ও প্রতিবিম্ব নবী দাবী। রূহানী খাযায়েন ১৮/২১২।
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2021/12/iMarkup_20211226_183450-681x1024.jpg)
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2021/12/16237192_1486165021424375_1191852533_n.jpg)
৩. শরীয়তি নবী হওয়ার দাবী। রূহানী খাযায়েন ১৫/৪৩২; ১৭/৪৩৫-৩৬।
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2021/12/iMarkup_20211226_181801-620x1024.jpg)
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2021/12/received_2329517864018804-629x1024.jpeg)
৪. মুহাম্মদী ধারাবাহিকতায় শেষনবী দাবী। রূহানী খাযায়েন ২০/৬৯-৭০; ১৯/৬১।
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2021/03/FB_IMG_1563796959938.jpg)
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2021/12/FB_IMG_1563796920412.jpg)
৫. সুস্পষ্টভাবে নবী এবং রাসূল হওয়ার দাবী। মালফূজাত ৫/৪৪৭; নতুন এডিশন অনলাইন ভার্সন।
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2021/11/PicsArt_08-24-07.48.04-657x1024.jpg)
৬. হযরত মূসা (আ:)-এর মত একজন রাসূল দাবী। মালফূজাত ৫/২৭; নতুন এডিশন।
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2021/12/PicsArt_07-31-10.16.59-662x1024.png)
৭. মির্যা কাদিয়ানী সাহেব একজন নবী। মির্যাপুত্র মির্যা বশির উদ্দিন মাহমুদ এর রচনাবলীর সমষ্টি আনওয়ারুল উলূম ৩/১৪৮, ৬/১৫১; অনলাইন এডিশন।
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2021/03/received_369603683800645.jpeg)
৮. তিনি আরও লিখেছেন যে, নবুওয়তের মাসয়ালার জট মির্যা কাদিয়ানীর উপর ১৯০১ সালের পরেই খুলেছে। তার মানে, তিনি ইতিপূর্বে যেসব শব্দের (উম্মতি/বুরুজী) আশ্রয় নিয়ে নবী দাবী করেছিলেন সেটি এখন (১৯০১ সালের পর থেকে) রহিত, সেসব দ্বারা এখন আর কেউ দলিল দিতে পারবেনা। এতে সাব্যস্ত হল যে, তিনি ১৯০১ সালের পর থেকে আপনা নবী দাবী সংক্রান্ত বিশ্বাসের ভেতর পরিবর্তন এনেছেন। স্ক্রিনশট –
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2021/12/PicsArt_05-20-02.49.14-1024x1024.jpg)
৯. মির্যা কাদিয়ানী একজন নবী। মির্যাপুত্র মির্যা বশির উদ্দিন মাহমুদ এর রচনাবলীর সমষ্টি আনওয়ারুল উলূম ৬/১১০; অনলাইন এডিশন।
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2021/03/PicsArt_10-31-06.19.38-635x1024.jpg)
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2021/12/PicsArt_08-25-11.51.28.jpg)
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2021/12/PicsArt_08-21-09.48.57-670x1024.png)
১০. মির্যা কাদিয়ানীর “রাসূল” হওয়ার দাবী। আল্লাহতালা নাকি কাদিয়ানে তাঁর রাসূল পাঠিয়েছেন। দাফেউল বালা (বাংলা) পৃষ্ঠা নং ১২।
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2020/11/PicsArt_02-13-08.28.45.png)
১১. নবী এবং রাসূল হওয়ার দাবী। দেখুন, একটি ভুল সংশোধন (বাংলা) পৃষ্ঠা নং ৫,৮,১০।
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2021/03/PicsArt_03-03-11.28.18-1024x1024.jpg)
১২. রাসূল হওয়ার দাবী। আল ওসীয়্যত (বাংলা) পৃষ্ঠা নং ২০।
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2021/03/PicsArt_07-13-08.33.47-1024x1024.jpg)
১৩. আল্লাহতালা নাকি মির্যাকেই “নবী” নামে খাস করেছেন। হাকীকাতুল ওহী (বাংলা) পৃষ্ঠা নং ৩৩০।
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2020/09/20200925_214044.jpg)
১৪. মুহাম্মদী ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ নবী এই অধম (মির্যা কাদিয়ানী) । তাযকিরাতুশ শাহাদাতাইন (বাংলা) পৃষ্ঠা নং ৮২।
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2021/04/iMarkup_20210427_175916-1024x1024.jpg)
১৫. আল্লাহ তায়ালার নাকি ওয়াদা ছিল উম্মতে মুহাম্মদীয়ার মধ্যে একজন “রাসূল” পাঠানোর। যে কিনা মাহদী ও মসীহ হবে। দেখুন, ঈসা (আ:)-এর মৃত্যুতে ইসলামের জীবন, লিখক শাহ মুস্তাফিজুর রহমান পৃষ্ঠা নং ৩৭ (১১তম পুনঃমুদ্রণ, জানুয়ারী ২০১৮ ইং)। স্ক্রিনশট এই যে,
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2021/12/iMarkup_20211229_180121-1024x1024.jpg)
কাদিয়ানীদের প্রকাশিত ‘উম্মতিনবী‘ বইয়ের ৯ নং পৃষ্ঠাটি থেকে দেখুন, মির্যা কাদিয়ানীকে একই সাথে নবী এবং উম্মতী দুটোই বলে মেনে নেয়া হয়েছে। স্ক্রিনশট এই যে,
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2020/05/PicsArt_05-09-06.09.34-1024x1024.jpg)
কাদিয়ানীদের ‘ভারতের কাদিয়ান’ থেকে উর্দূ ভাষায় প্রকাশিত অফিসিয়াল দৈনিক পত্রিকা ‘আল ফজল‘ তাং ২৬-০৬-১৯২২ইং পাতা নং ৬ এর ভাষ্যটি কেমন জেনে নিন! মির্যা বশির উদ্দিন মাহমুদ এর উদ্ধৃতি টেনে লিখা হয়েছে যে,
“আমরা যেহেতু হযরত মির্যা সাহেবকে ‘নবী‘ মেনে থাকি আর গয়ের আহমদীরা (অ-কাদিয়ানীরা) তাঁকে ‘নবী’ মানেনা, সেজন্য কুরআনের শিক্ষা অনুযায়ী যে কোনো একজন নবীর অস্বীকারকারীও কাফের হওয়ায় গয়ের আহমদীরা কাফের।” (সম্পূর্ণ বক্তব্যটি কাদিয়ানীদের দ্বিতীয় খলীফার বয়ান থেকেই উদ্ধৃত করা হয়েছে)।
![](https://markajomar.org/wp-content/uploads/2020/11/IMG-20220105-WA0000.jpg)
এখন প্রশ্ন হল, মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী সাহেবের তো কথিত তৃতীয় শ্রেণীর নবী (জিল্লি, বুরুজি) দাবী ছিল। আর মির্যা বশির আহমদ এম.এ সাহেবের বক্তব্য অনুসারে, ‘খোদা আপনা বাণীতে (কুরআনে) কখনোই জিল্লি, বুরুজি শব্দ ব্যবহার করেননি।’ (কালিমাতুল ফছল ২৮)।
এমতাবস্থায় মির্যা গোলাম আহমদকে অস্বীকার করলে সেটি কুরআনের শিক্ষার বিরুদ্ধে গেল কিভাবে? কুরআনে উল্লিখিত কোনো নবী কি তৃতীয় শ্রেণীর (কথিত বুরুজি জিল্লি) নবী? অবশ্যই না। সুতরাং সাব্যস্ত হয়ে গেল যে, মির্যা কাদিয়ানীর কথিত বুরুজি আর জিল্লি শব্দের আশ্রয় নিয়ে নবী দাবীটা শুধুই একটি প্রতারণাই ছিল। মূলত সে মুক্ত অর্থেই একজন নবী দাবীদার ছিল। যা তার কথিত মুসলেহ মওউদ মির্যা বশির উদ্দিন মাহমুদের বক্তব্য হতেও সুস্পষ্ট। নতুবা উপরের প্রশ্নটির কী জবাব?
আমার চ্যালেঞ্জ :
- উপরের রেফারেন্স গুলোর একটিও কোনো কাদিয়ানী স্থানীয় জনপ্রশাসনের উপস্থিতিতে মিথ্যা প্রমাণ করতে পারলে আমি তাকে নগদে ১ লক্ষ টাকা পুরুষ্কার দেব; আর প্রমাণ করতে গিয়ে ব্যর্থ হলে তাকে অবশ্যই তাওবা পড়ে ইসলাম কবুল করতে হবে এবং প্রকাশ্যে কাদিয়ানীয়ত ছাড়ার ঘোষণা দিতে হবে। যোগাযোগ 01629941773 (ইমু & ওয়ার্ডশপ)।
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী