আমি কোন দলের মুসলিম হব?

3
আমি কোন দলের মুসলিম হব?

কোন মুসলিম দলে যোগ দিব? কোনটা সঠিক? নাস্তিক এবং কাদিয়ানীদের প্রশ্নের উত্তর!

প্লিজ, ধৈর্য্য সহকারে পুরোটা পড়ুন! না পড়ে কেউই লাইক/কমেন্ট করবেন না! ভালো লাগলে শেয়ার করুন! যাতে অনেক সাধারণ মানুষের বিভ্রান্তি দূর হয়!

লিখাটি সাধারণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করতে নাস্তিকরাই বেশি পোস্ট করে। তবে এটি কপি করে পোস্ট করতে দেখেছি অনেক কাদিয়ানীকেও। উভয়ের উদ্দেশ্য যে অভিন্ন তা যে কেউই বুঝতে পারে যদি মগজটা একটু খাটায়! আমি লিখাটি হুবহু এখানে তুলে ধরে সেটির জবাব দেয়ার চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ। (লিখাটি নিচে উল্লেখ করছি)।

  • মনে করুন, আমি ইসলামধর্ম গ্রহণ করে মুসলিম হব কিন্তু আমি কোন মুসলিম হব? শীয়া মুসলিম, সুন্নি মুসলিম, হানাফি মুসলিম, হাম্বলি মুসলিম, শাফেঈ মুসলিম, মালেকি মুসলিম, আহলে হাদিস, আহলে সুন্নাত, তরিকত, হাকিকত, মারেফাত, চিশতিয়া, নকশেবন্দিয়া, দেওবন্দী, মাজার পূজারি, পীর পূজারি ইত্যাদি কোন মুসলিম দলে যোগ দিব। কোনটা সঠিক?

আর সংবিধান হিসেবে কোনটা গ্রহণ করবো বা মেনে চলবো? কোনটা সঠিক? প্রশ্নটা তাদের কাছে যারা নামের আগে আল্লামা, মওলানা, মুফাসসির, মুহাদ্দিস, শায়েখ, মাদানী, মাক্কি, পীর, সুফি, দরবেশ, সাধু অর্থাৎ যারা নিজেদের মহা পন্ডিত মনে করেন তাদের কাছে উত্তর চাই! (নাস্তিক আর কাদিয়ানিদের প্রশ্নটি সমাপ্ত হল)।

আমার জবাব,

প্রশ্নকারীকে আমার জিজ্ঞাসা, সত্যিই কি আপনি মুসলিম হতে চান? তাহলে নবী করীম (সা:)-এর যুগে, সাহাবায়ে কেরাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমের যুগে যারা মুসলিম হয়েছিলেন আপনি অন্তত তাদের মত মুসলিম হয়ে যান। কেননা, সূরা বাকারা’র মধ্যে آمنوا كما آمن الناس -(অর্থাৎ তোমরা ঈমান আনয়ন করো যেরূপ এই লোকেরা ঈমান এনেছে) উল্লেখ আছে। এই আয়াত পরিষ্কার বলে দিচ্ছে, ঈমান আনতে হবে সাহাবায়ে কেরামের ন্যায়। ‘তাফসীরে তাবারী’ সহ সকল তাফসীরকারকের মতে, উক্ত আয়াতে الناس -(আন-নাস) হতে সাহাবায়ে কেরামের কথাই বুঝানো হয়েছে।

তাফসীরে তাবারী হতে ‘আন-নাস’ এর ব্যাখ্যা : عن ابن مسعود و عن ناس من أصحاب النبي صلى الله عليه وسلم অর্থ আয়াতে ‘আন-নাস’ দ্বারা মুহাম্মদ (সা:)-এর সাহাবীদের বুুুুুঝানোই উদ্দেশ্য। Click in here

আপনার প্রশ্ন ছিল, ‘কোন মুসলিম দলে যোগ দেব‘। কোনটা সঠিক?

উত্তরে বলব, আপনি সাহাবায়ে কেরামের ঈমান ও আমলের আদলে বর্তমানে যাদের ঈমান ও আমলের মিল দেখতে পাবেন আপনার উপর জরুরি হয়ে পড়বে তাদের দলে যোগ দেয়া। আশাকরি জবাব পেয়েছেন!

এবার হয়ত প্রশ্ন আসতে পারে, উপরে উল্লিখিত মুসলিম দলগুলোর কী হবে? তারা কি মুসলিম নন?

এর উত্তরে আমিও যদি আপনাকে জিজ্ঞাসা করি, আপনি উল্লিখিত মুসলিম দলগুলোর মধ্যে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয়পার্টি, এলডিপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, জাসদ, বাসদ, গণফোরাম, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, জামাতে ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, তরিকত ফেডারেশন, জাকের পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট ইত্যাদি আরো যা যা আছে—তাদেরকেও কিজন্য অন্তর্ভুক্ত করলেন না? তবে কি আপনি এদেরকে মুসলিম মনে করেন না?

এখন হয়ত বলবেন, আরে ভাই এগুলো তো রাজনৈতিক দল! এগুলো কি ওগুলোর ভেতরে থাকার মত?

ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার কথাতেই আসা যাক। তাহলে আপনি ওগুলোর মধ্যে হানাফি মুসলিম, হাম্বলি মুসলিম, শাফেঈ মুসলিম, মালেকি মুসলিম এগুলোও টানলেন কেন? এগুলো তো ভিন্ন ভিন্ন কোনো মুসলিম ফেরকা নয়! বরং এগুলো হচ্ছে, চারটা ফিকহি গবেষণা (মাযহাব) মাত্র। উল্লেখ্য, শরীয়তের ইখতিলাফি মাসয়ালায় গবেষক ইমামদের গবেষণামূলক ফতুয়াকে মাযহাব বলে। মাযহাব কিন্তু আরো বহু ছিল। তন্মধ্যে ইমাম সুফিয়ান আস-সাওরি, দাউদে জাহেরি, ইমাম ইসহাক প্রমুখ এর মাযহাব অন্যতম। কিন্তু নানা কারণে ঐ চারটা মাযহাব প্রসিদ্ধি লাভ করেছে এবং উম্মতে মুসলিমার মধ্যে কুরআন হাদীসের পর অদ্যাবধি বলবৎ রয়েছে।

বলতে পারেন, আরে ভাই মাযহাব আবার কী? আমি বলব, আপনার সমস্যা তো এখানেই। আপনি তো মাযহাবই বুঝেন না! মাযহাব এর সংজ্ঞা কী? উৎপত্তি কখন থেকে এবং কিভাবে ও কেন? এসব পড়াশোনা ছাড়াই আপনি কিভাবে বুঝবেন যে, মাযহাব কী? সুতরাং এজন্য আপনার মত আমিও কি বলতে পারিনা যে, এমতাবস্থায় এগুলো কি ওগুলোর ভেতরে থাকার মত?

তারপর ওই একই কারণে আপনি ওগুলোর মধ্যে আহলে হাদিস, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত, তরিকত, হাকিকত, মারেফাত, চিশতিয়া, নকশেবন্দিয়া, দেওবন্দী ইত্যাদি এগুলোও টেনে আনতে পারেন না! তার কারণ, আহলে হাদীস এটি পবিত্র কুরআনের পর হাদীসের উপর আমল করার বিষয়ে জোরদার ভুমিকা পালনকারী মুসলিমদেরই একটি অংশ। এরা সালাফি কিংবা হাম্বলি মাযহাবের ফিকহের আদলে সৃষ্ট একটি আধুনিক মুসলিম জনগোষ্ঠী। যারা সব সময় শিরক বিদয়াতের বিরুদ্ধে আপোষহীন ও সদা তৎপর। ফলে এঁদের ভিন্ন ভাবে চিত্রায়িত করার কোনো সুযোগই নেই। সুতরাং এজন্য আপনার মত আমিও কি বলতে পারিনা যে, এমতাবস্থায় এগুলো কি ওগুলোর ভেতরে থাকার মত?

তারপর ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত‘ এর নামও দেখা যাচ্ছে। এখানে বলে রাখতে চাই, এই নামে বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক সংগঠনও রয়েছে। যারা ইসলামিক ফ্রন্ট (দলটির প্রতীক মোমবাতি – লিখক) নামেও আখ্যায়িত। এমতাবস্থায় এটিও একই বিচারে ওগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনা!

তারপর তরিকত, হাকিকত, মারেফাত, চিশতিয়া, নকশেবন্দিয়া ইত্যাদি এগুলো ইসলামের একটি বিভাগ তাসাউফ এর কয়েকটি পদ্ধতির ভিন্ন ভিন্ন নাম। যেমন বাংলাদেশ সরকারের অনেকগুলো মন্ত্রনালয়ের মধ্যে একটি মন্ত্রণালয় হল অর্থ-মন্ত্রনালয়। মনে করুন, তাসাউফটাও ইসলামের তেমনি একটি আত্মশুদ্ধি-মূলক বিভাগ। সেহেতু এটিও একই বিচারে ওগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনা! উল্লেখ্য, “তরিকত” আলাদা কিছু না, বরং তাসাউফ এরই একটি সংক্ষিপ্ত আরবী নাম।

তারপর ‘দেওবন্দী‘। এর ন্যায় আপনি আরো অনেক শব্দও উল্লেখ করতে পারতেন। তন্মধ্যে বেরলবি, ফুলতুলি, সোনাকান্দা, শরশীনা, জৈনপুরী, ফুরফুরা, আজানগাছি ইত্যাদি অন্যতম। এগুলো নামে ভিন্ন ভিন্ন হলেও মূলে সব একই। আকায়েদুল ইসলামিয়্যাহ এর ক্ষেত্রে এদের সবাই অভিন্ন মতানুসারী। ফলে ইসলামি স্কলারশিপদের পরিভাষায় এগুলো “মানহাজ” (MANHAJ) নামেই পরিচিত। যার সোজাসাপটা অর্থ, চয়েস বা শরীয়তসম্মত পছন্দনীয় পন্থা।

যেমন, কারো টুপি গোল, কারোটা উঁচা, কারো দুই কলি, কারোটা পাঁচ কলি, কারোটা হলুদ, কারো বা সবুজ ইত্যাদি। তবে হ্যাঁ, আকায়েদুল ইসলামিয়্যা এর মধ্যে যেসব বিষয়ে স্কলারশিপদের জন্য সালাফের নির্দেশিত পন্থায় সুস্পষ্ট দলিলের মাধ্যমে ভিন্ন মত পোষণ করার সুযোগ রয়েছে সেটি ভিন্ন কথা। যেমন, আল্লাহ হাজের। এর তাৎপর্য কারো মতে, আল্লাহ’র ইলম সর্বত্রে হাজির, জাত নয়। কারো মতে, এর তাৎপর্য হল, আল্লাহতায়ালা আপনা ক্ষমতাবলে আরশ সহ সৃষ্টি জগতের সর্বত্রে হাজির তা ঠিক, কিন্তু সেটির ধরণ কেমন তা আমাদের জানা নেই। বলে রাখা দরকার, কোনো ব্যক্তি বিশেষের নিজেস্ব ভুল আকীদা কখনো ইসলাম বা মুসলিম বিশ্বের উপর বর্তাবেনা।

যাইহোক, বলতে ছিলাম এর প্রত্যেকটি যদিও বা নামে ভিন্ন ভিন্ন কিন্তু মূলে একই। যেমন উদাহরণ স্বরূপ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ ইত্যাদি এগুলো নামে ভিন্ন ভিন্ন হলেও গোড়ায় সবাই আওয়ামীলীগ। কেননা আওয়ামীলীগ এর দলীয় গঠনতন্ত্রের বাহিরে এদের কেউই ব্যতিক্রম কোনো চেতনা বা চিন্তা লালন করেন না, করার সুযোগও নেই। এমতাবস্থায় এগুলোও একই বিচারে ওসবের অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনা!

এরপর থাকল, মাজার পূজারি, পীর পূজারি। আরে জনাব! এগুলোও বুঝি টানতে গেলেন! ইসলামের কোন দলিলে মাজার বা পীর পূজাকে জায়েজ করা হল একটু বলবেন? জানি, বলতে পারবেন না। আসলে নাস্তিকদের কাজই হল যখন আশানুরূপ কোনো উপায় দেখেনা তখন এদিক-ওদিক থেকে ময়লা আবর্জনা যাই পাবে কুড়িয়ে এনে হলেও ইসলামের বদনাম করাই তাদের স্বভাব। এখানে মনে রাখতে হবে, মাজার জেয়ারত করা মানে পূজা নয়। আবার হাক্কানী পীরের হাতে তাসাউফ এর সবক নেয়াও পীর পূজা নয়। মনে রাখবেন, শব্দের অপব্যবহার করা খুবই অন্যায়।

তারপর বাকি থাকল “সুন্নি মুসলিম“। জ্বী হ্যাঁ, সুন্নী মুসলিম বলতে মুসলমানদের মূলধারার অনুসারীদেরই বুঝানো হয়ে থাকে। হাদীসের ما انا عليه و اصحابى -(নবীজী বলেন, আমি এবং আমার সাহাবীদের দল যেই মত ও পথে রয়েছি…তিরমিজি শরীফ, কিতাবুল ফিতান) শব্দেরই সংক্ষিপ্ত রূপ ‘সুন্নী মুসলিম’। যেটির দীর্ঘবাক্য, আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাত। হাদীসের উক্ত আবেদন মূলত পবিত্র কুরআনে উল্লিখিত آمنوا كما آمن الناس -(অর্থাৎ তোমরা ঈমান আনয়ন করো যেরূপ এই লোকেরা ঈমান এনেছে) আয়াতেরই বহিঃপ্রকাশ। কাজেই, আপনাকে মুসলিম হতে হলে পবিত্র কুরআন আর হাদীসের নির্দেশনা মেনে অবশ্যই সুন্নী মুসলিমের মতই মুসলিম হওয়া ছাড়া উপায় নেই।

তবে একটি কথা না বললেই নয়, তা হল এই ফেতনা ফাসাদের যুগে সুন্নী মুসলিমদের মধ্যে যে দলের ঈমান আমল আপনার বিচার-বিবেচনায় ما انا عليه و اصحابى -(মা আনা আলাইহি ওয়া আসহা-বী)-এর আদলে সুপ্রতিষ্ঠিত মনে হবে আপনার উচিত, সে দলের মুসলিমদের মধ্যে শামিল হয়ে যাওয়া। হোক সেটি দেওবন্দী, বেরলবি, আহলে হাদীস কিংবা সালাফি। মানে রাখবেন, এগুলোর প্রত্যেকটাই ইসলাম নামক ট্রেনের একেকটা বগি। আপনি যে বগিতেই থাকুন না কেন, গন্তব্যে অবশ্যই পৌঁছবেন। যদিও বা বগিগুলোর ক্লাস নিয়ে একটু বিশ্লেষণ আছে! কোনটা ফার্স্ট ক্লাস, কোনটা সেকেন্ড ক্লাস ইত্যাদি!

উল্লেখ্য, বর্তমানে সুন্নী মুসলিমরা চারটি মাযহাবে মিশে আছেন। ফলে আপনি দেওবন্দী, বেরলবি, আহলে হাদীস যেই হোন; আপনার আমল আকীদা অবশ্যই কোনো না কোনো মাযহাবের সাথে মিলে যাবেই। তার মানে মাযহাব বা মানহাজ কিংবা তাসাউফ এর কারণে মুসলিমরা শাখাগতভাবে ভিন্ন কোনো নামে চয়িত হলেও মৌলিকত্বের বিচারে এদের কেউই ইসলামের গন্ডি থেকে বহিষ্কৃত নন। সুতরাং ‘কোন মুসলিম দলে যোগ দেব’ প্রশ্নটিই বরং অবান্তর ও অজ্ঞতাবশত বৈ নয়।

এখন বাকি রইল, শীয়া। ঐতিহাসিকভাবে এর পেছনে একটা গুঢ় তাৎপর্য অবশ্যই রয়েছে। এরা ইসলামেরই একটি ফেরকা। এদের বিচারে এরাও সঠিক। তবে বর্তমানে এঁদের মধ্যে অনেক বেশি সংশোধনী এসেছে। তাদেরই চরমপন্থী রাফেজী (ইমামীয়া) যারা তাদের বাহিরে অন্যান্য শীয়া মতবাদের অনুসারীদের সাথে আহলে সুন্নাহ’র খুব বড় কোনো মতবিরোধ নেই। পাক মুফতীয়ে আজম মুফতি রফি উসমানী (রহ.) এঁদের মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত বলে মতামত দিয়েছেন। সেহিসেবে আমিও একজন সুন্নী মুসলিম হিসেবে বিশ্বাস করি যে, রাফেজি (ইমামীয়া) শীয়ারা যদিও ইসলামেরই অন্যতম একটি ফেরকা কিন্তু তারা আর যাইহোক না কেন, অন্তত ما انا عليه و اصحابى (আমি এবং আমার সাহাবীরা যে মত ও পথের উপর রয়েছে) এর আদলে সুপ্রতিষ্ঠিত মূলধারার মুসলিমদের বাহিরে। কেননা তাদের অন্যতম একটা মত হল, সাহাবায়ে কেরামের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ অনুকরণযোগ্য নহে। ইত্যাদি। আশাকরি প্রশ্নকারী সঠিক ও যথাযথ উত্তর পেয়েছেন।

কাদিয়ানীদের উদ্দেশ্যে আমার জিজ্ঞাসা :

এই পর্যায়ে কাদিয়ানীদের জিজ্ঞেস করতে চাই, আপনারা অন্যদের মত যদি ইসলামী কোনাে ফেরকা কিংবা আহলে সুন্নাহর অন্তর্গত কোনাে মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে মির্যা কাদিয়ানীও কলেমা’র মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’র মর্মার্থে শামিল—এমন কুফুরী কথাও আপনাদের ‘কালিমাতুল ফছল’ বইতে উল্লেখ থাকবে কেন? কিংবা মির্যা কাদিয়ানীকে ত্যাগ করার দরুন কোনাে ব্যক্তি মুরতাদ আখ্যায়িত হবে কেন?

ডকুমেন্ট সহ দেখতে ক্লিক করুন : ক্লিক

তাই অপ্রিয় হলেও সত্য, সাধারণ কাদিয়ানীদের বুঝে আসুক বা না আসুক, সত্য এটাই যে, কাদিয়ানীয়ত নতুন একটি ধর্ম। ফলে এটি ইসলামের কোনাে ফেরকারই অন্তর্ভুক্ত নয়। অতএব যারা এখনাে এই দলের অন্তর্ভুক্ত আছেন তাদের উচিৎ, আমার কথাগুলাে নিজ দায়িত্বে ও অত্যন্ত সতর্কতার সাথে যাচাই করে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করা। আল্লাহতালা সবাইকে বুঝার তাওফিক দিন।

কাদিয়ানীরা কম-বেশী বর্তমানে ১৪ দলে বিভক্ত এবং তাদের প্রত্যেকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটগুলোও ভিন্ন ভিন্ন : ক্লিক

লিখাটির কোথাও কোনোভাবে ভুল হলে সেজন্য আমিই দায়ী থাকব। ভুল ধরে দিলে অবশ্যই সংশোধন করে নেব।

ওয়াসসালাম।

লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী
এডমিন www.markajomar.org
কাদিয়ানী বিষয়ক স্পেশালিষ্ট গবেষক ও লিখক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here