ত্রিশজন মিথ্যাবাদী নবুওয়ত দাবীদার সংক্রান্ত হাদীসের ব্যাখ্যা

0
ত্রিশজন মিথ্যাবাদী নবুওয়ত দাবীদার সংক্রান্ত হাদীসের ব্যাখ্যা

ত্রিশজনের পরেরগুলো কি সত্যবাদী? প্রশ্নোত্তর :

প্রশ্ন – হাদীস শরীফে ত্রিশ জন মিথ্যাবাদী নবুওয়তের দাবীদারের আত্মপ্রকাশ হবে, বর্ণিত আছে। এখন প্রশ্ন হল, ঐ ত্রিশজনের পরেরগুলো কি নবুওয়ত দাবীতে সত্যবাদী বলে বিবেচিত হবেন?….. জনৈক কাদিয়ানী কাল্ট!

উত্তর – সহীহ বুখারীর আরবী ব্যাখ্যাকারক ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.) অনেক আগেই এতদসংক্রান্ত হাদীসটির সঠিক মর্মার্থ সুস্পষ্ট করে দিয়ে গেছেন। তিনি ‘ত্রিশ‘ সংখ্যার হাদীসটিকে (হাদীসটি এখানে) অপরাপর আরও বেশকিছু রেওয়ায়েতকে সামনে রেখে ব্যাখ্যা দিয়ে লিখেছেন,

(আরবী) وليس المراد بالحديث من ادعى النبوة مطلقا فإنهم لا يحصون كثرة لكون غالبهم ينشأ لهم ذلك عن جنون أو سوداء وإنما المراد من قامت له شوكة وبدت له شبهة

সরল অনুবাদঃ হাদীসে ‘ত্রিশজন’ মিথ্যা নবুওয়ত দাবীদার হতে মুক্ত সংখ্যা উদ্দেশ্য নয়, কেননা এ সংখ্যা দ্বারা সীমাবদ্ধ বুঝানো হয়নি। যেহেতু মস্তিষ্ক ব্যাধি ও মানসিক সমস্যা থেকেও নবী দাবীর প্রবণতা লক্ষণীয়। যেজন্য হাদীসটি হতে শুধু এ অর্থই উদ্দেশ্য যে, তারা (ত্রিশজন) এমন বিশেষ শ্রেণীর হবে যাদের প্রতাপ (দাপট) থাকবে এবং বিভ্রান্তি সমুন্নত রাখতে সক্ষম হবে।’ (ফাওতহুল বারী শরহে বুখারী ৬/৬১৭)। আশাকরি বুঝতে আর কষ্ট হবার কথা নয়! ধন্যবাদ সবাইকে।

প্রামাণ্য স্ক্যানকপি দ্রষ্টব্য

Fathul Bari 6:617

মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর মস্তিষ্ক ব্যাধি জনিত সমস্যা ছিল। সে নিজেই প্রসঙ্গক্রমে এটি স্বীকার করে লিখে গেছে। নিচে প্রামাণ্য স্ক্যানকপি থেকে দেখুন,

মূল লিখক মির্যা কাদিয়ানী

লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক
প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here