Home মির্যা কাদিয়ানী কাদিয়ানী জামাতের সাম্প্রতিক চেপে রাখা নীল ইতিহাস

কাদিয়ানী জামাতের সাম্প্রতিক চেপে রাখা নীল ইতিহাস

0

1 ব্রিটিশ অভিবাসী লর্ড নাজির নামক কাদিয়ানী মুরুব্বীর বলাৎকারের নিউজ Zaitoon FM ((Click))

2 ব্রিটিশ অভিবাসী ও পার্লামেন্ট মেম্বার ইমরান আহমদ খান কাদিয়ানীর বলাৎকারের নিউজ Zaitoon FM ((Click))

3 মিস্টার সাইয়েদ নাসের আহমেদ ওরফে সেণ্ডি শাহ (চেয়ারম্যান- mta চ্যানেল ও কাদিয়ানী কেন্দ্রীয় মুরুব্বী) এর বলাৎকারের রিপোর্ট Zaitoon FM ((Click))

4 কাদিয়ানী মুরুব্বী ও মিশনারী সদস্য জনাব মুবিন আহমদ কর্তৃক একাধিক বলাৎকার মামলার ডকুমেন্টারি রিপোর্ট। একই সাথে তার উক্ত মামলা নিষ্পত্তির জন্য আদালতকে মোটা অংকের ঘুষ প্রদান করতে চেয়ে মান-ইজ্জত শেষ করেন মির্যা মাসরূর আহমদ। (প্রামাণ্য নথিপত্র সহ Click)

5 কাদিয়ানী মুরুব্বী কর্তৃক আরেক নাবালিকার সাথে বলাৎকারের মর্মান্তিক রিপোর্ট ((Click))

6 কাদিয়ানীদের সো-কল্ড তৃতীয় খলীফা মির্যা নাসের-এর পুত্র মির্যা লোকমানের মেয়ে ‘নিদা আন নাসের’ নিজ পিতার হাতে ধর্ষণের শিকার। শুধু তাই না, আরও নিকৃষ্ট ঘটনার স্বীকারোক্তি দিয়েছেন ভিকটিম নিজেই। এ মামলায় কাদিয়ানী খলিফা মির্যা মাসরূর আহমদ-ও জড়িয়ে গেছেন। ব্রিটিশ প্রভাবশালী ‘ডেইলি মেইল‘ (dailymail) পত্রিকায় ছবি সহ কাদিয়ানী খলিফা মির্যা মাসরূর আহমদ কিভাবে শিরোনাম হলেন দেখুন! ((Click))

নিদা আন নাসের এর টুইট ভিডিও ১ ((Click))

টুইট ভিডিও ২ ((Click))

টুইট ভিডিও ৩ ((Click))

এ তালিকা অনেক দীর্ঘ। আমরা চাচ্ছিনা, এধরণের নোংরামি চর্চা হোক। কাদিয়ানীরা মুসলমানদের চারিত্রিক দুর্বলতাগুলো নিয়ে খুব বাজে ভাবে হইহট্টগোল করে থাকে। আমরা দাবী করিনা যে, কেউই শতভাগ দোষ-ত্রুটিমুক্ত! মানুষ হিসেবে সব পক্ষেরই দুর্বলতা আছে, থাকবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, নবুওয়তের দাবীদার মির্যা কাদিয়ানীর ‘ব্যক্তিসত্তা’-কে এড়িয়ে অমুক-তমুকের সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক বিচ্ছিন্ন ঘটনা নিয়ে জল ঘোলা করার কী মানে? কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য, ধূর্ত কাদিয়ানীরা শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে হরহামেশা সে কাজটা-ই করে থাকে। তাই এখানে উদাহরণ স্বরূপ তাদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের কিছু নীল চরিত্র তুলে ধরা হল।  

7 আহমদী-কাদিয়ানীবন্ধুরা! আপনাদের জিজ্ঞেস করতে চাই যে, আপনারা তো খুব গর্ব করে বলেন যে, আপনাদের বাহিরে কেউই সত্যের উপর নেই, আপনারাই একমাত্র সত্য এবং মুক্তিপ্রাপ্ত জামাত। আপনারা দুনিয়ার অন্য সবার থেকে ব্যতিক্রম। আপনারা একই খলীফার অধীনে, মোবারক ও পবিত্র জামাতের সদস্য আপনারা। বিপরীতে দুনিয়ার সমস্ত অ-কাদিয়ানী মুসলমান পথভ্রষ্ট, জাহান্নামী। তাদের আলেমগণও নাকি  নিকৃষ্ট জীব (নাউযুবিল্লাহ)। তাহলে এখন উপরে অভিযুক্ত কাদিয়ানী শীর্ষ মুরুব্বীদের নিকৃষ্টতর চরিত্রহীন ঘটনার কী উত্তর দেবেন। এর বেশিরভাগই কিন্তু BBC নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত। 

অপ্রিয় হলেও সত্য, আপনারা নিজেদের খুব সাধু এবং পবিত্র প্রমাণ করতে আলেম উলামার দোষচর্চায়ও লিপ্ত থাকেন। কোনো আলেমের বিচ্ছিন্ন কোনো দোষ-ত্রুটি পাওয়া মাত্রই যারপরনাই হইহট্টগোল শুরু করে দেন। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, কাঁচের ঘরে বসবাস যার, তার জন্য অন্যের ঘরে ঢিল ছুড়া বড্ড বিপদ!

এখন হয়ত বলবেন, ঐসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা স্বাভাবিক আর কি! অতসব হিসেবে নিলে কি চলবে? 

প্রতিউত্তরে আমার জিজ্ঞাসা, তাহলে আপনাদের অতসব গর্ব কিসের? কেন অবাস্তব যতসব আত্ম-অহংকারে ফেটে পড়ছেন! ইলাহী জামাত, ইলাহী জামাত!! কেন নিজেদের অত সাধু সাজছেন? কেন মুসলমানদের দোষচর্চায় সারাক্ষণ ব্যতিব্যস্ত থাকেন? আপনারা মির্যা গোলাম আহমদ আর তার কথিত ‘মুসলেহ মওউদ’ মির্যা বশির উদ্দীন মাহমুদের রঙিন জীবন-চরিত্র কতকাল চেপে রাখবেন? ১৯৫৬ সালে আব্দুল গাফফার জম্বাহ এর নেতৃত্বে কাদিয়ানীদের নতুন ৩ নম্বর উপদল “Jamaat Ahmadiyya Islah Pasand (Hadhrat Abdul Ghaffar Janbah)” কিজন্য সৃষ্টি হল, সে ইতিহাস কি ভুলে গেলেন? মির্যা বশির উদ্দীন ইতালী নৃত্যশিল্পী মিস রূপাকে কাদিয়ানে ভাড়ায় এনে কী ঘটনা ঘটিয়েছেন তা কি দুনিয়া ভুলে গেছে? ১৯২৭ সালে মির্যা বশির উদ্দিন তারই পি.এস মিয়া জাহিদের বোন “মুসাম্মাৎ ছকিনা” নামের একজন বিবাহিতা নারীর-ও ইজ্জত লুটে নেন। তখন তার এ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পুরো কাদিয়ানজুড়ে প্রতিবাদের আওয়াজ উঠেছিল। কী! এ ঘটনাও অস্বীকার করবেন?

মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী মনে মনে নিজেকে ‘স্ত্রীলোক’ কল্পনা করতেন (তার মানে সে নিজেও একজন সমকামী ছিল-লিখক), যাকে আধুনিক কনসেপ্ট অনুসারে ‘ট্রান্স জেন্ডার’ বলা হয়; তারই ঘনিষ্ট শিষ্য আব্দুর রহমান মিশরীর সাক্ষ্যমতে একজন ব্যভিচারী (জেনাকার) সাব্যস্ত। এর একটিও কি অস্বীকার করতে পারবেন? পারবেন না। মির্যা বশির উদ্দীন নিজ কন্যা আমাতুর রশীদকে ধর্ষণ করার ঘটনাও অস্বীকার করতে পারবেন না। হেকিম নূরউদ্দীনের পুত্র মিয়া আব্দুল ওহাবকে ‘জেহলম’ নদীর তীরে বলাৎকার করার নিকৃষ্ট সেই কার্যকলাপও অস্বীকার করতে পারবেন না।

উল্লেখ্য, মির্যা বশির উদ্দিন মাহমুদ সাহেব হেকিম নূরুদ্দীন সাহেবের কন্যা আমাতুল হাইকে বিবাহ করেছিলেন। ঐ সংসারে একজন পুত্র সন্তান জন্ম হয়। সম্ভবত তার নাম ছিল মির্যা খলিল আহমদ। আর দুইটি কন্যা সন্তান হয়। আমাতুর রশীদ আর আমাতুল কাইয়ুম। আমাতুর রশীদ ছিলেন বোনদের মধ্যে বড়। অত্যন্ত নির্লজ্জের ব্যাপার যে, মির্যা বশির উদ্দিন আপন কন্যা আমাতুর রশীদকে ধর্ষণ করেন। আমাতুর রশীদ তখনও পূর্ণ সাবালিকা হননি। নিজ স্ত্রী আমাতুল হাই এবং মির্যা বশির উদ্দিনের গৃহ শিক্ষক মির্যা মুহাম্মদ হোসাইন বি.কম তারা হাতে নাতে ধর্ষণ অবস্থায় পাকড়াও করেছিলেন। উক্ত ঘটনার পর গৃহ শিক্ষক মির্যা মুহাম্মদ হোসাইন চলে যান এবং তিনি ‘আহমদীয়ত’ ছেড়ে দেন। কয়েকদিন পরেই মির্যা বশিরের স্ত্রী আমাতুল হাই এর রহস্যজনক মৃত্যুর সংবাদ বেরিয়ে আসে। তাকে যারা দেখেছেন সবাই তার চেহারা নীল বর্ণের দেখেছিলেন। তাই এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, মির্যা বশির উদ্দিন মাহমুদ নিজের উক্ত কুকর্ম ঢাকার জন্যই স্ত্রীকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করেন। বলতে পারেন আমি এগুলো বানিয়ে বলছি। তাহলে নিচের রেফারেন্স গুলো পারলে অস্বীকার করুন![1 markajomar] 

রেফারেন্স : ১. শহরে ছদূম পৃ-৯৮, মির্যা শফিক।

২. দৈনিক আল-ফজল তাং ১৮/০৩/১৯৩৪ ইং।

৩. ইসলামী কুরবানী, ট্রাক্ট নং ৩৪, পৃষ্ঠা ১২, কাজী ইয়ার মুহাম্মদ খান। 

৪. দৈনিক আল ফজল, তাং ৩১-আগস্ট ১৯৩৮ ইং।

[1] Click

সে যাইহোক, আপনারা কাদিয়ানী হয়েছেন তাতে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। কিন্তু আপনারা আত্মপরিচয় গোপন রেখে সাধারণ মানুষকে ধোকা দিতে পারবেন না। নবী দাবীদার মুলহিদ মির্যা গোলাম আহমদের অনুসারী হয়ে নিজেদের ‘মুসলমান’ পরিচয় দিতে পারবেন না। যেহেতু আত্ম-পরিচয় গোপন করে মানুষকে ইসলামের নামে ‘কাদিয়ানীধর্মে’ কনভার্ট করা এবং খতমে নবুওয়তের আকীদাকে অস্বীকার করে নিজেকে মুসলমান পরিচয় দেয়া, এগুলো সুস্পষ্ট ধোকা এবং রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনেও দণ্ডনীয় অপরাধ। আল্লাহ আমাদেরকে সত্য উপলব্ধি করার তাওফিক দিন।

লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here