
জনৈকা বাংলাদেশী কাদিয়ানী খাতুনের তিনটি প্রশ্নের উপর আমাদের মূল্যায়ন,
কাদিয়ানী ন্যাশনাল আমীর আব্দুল আউয়ালকে উদ্দেশ্য করে কাদিয়ানী খাতুনের প্রশ্নগুলো নিন্মরূপ,
- প্রশ্ন করা হল যে, ইমাম মাহদী মক্কায় জন্মগ্রহণ না করে তিনি মক্কার বাহিরে অনারবে কিজন্য জন্মগ্রহণ করবেন?
- প্রশ্ন করা হল যে, হজ্বের সময় মক্কা মদীনায় আহমদীরা তথা কাদিয়ানীরা হারামাইনের ইমামের পেছনে সালাত কেন পড়েন না?
- প্রশ্ন করা হল যে, ইসলাম ধর্মে তো যাকাত সবার উপর বাধ্যতামূলক নয়, তাহলে কাদিয়ানী জামাতের সবার উপর ‘চান্দা’ বাধ্যতামূলক কেন?
এবার উল্লিখিত প্রশ্নগুলোর উত্তর আব্দুল আউয়াল সাহেব কীভাবে দিলেন সেটা তো জানবোই, তার আগে প্রশ্নগুলোর মূল্যায়নের উপর সংক্ষেপে লিখব। খাতুন সাহেবার প্রথম প্রশ্ন-
“ইমাম মাহদী মক্কায় জন্মগ্রহণ না করে তিনি মক্কার বাহিরে অনারবে কিজন্য জন্মগ্রহণ করবেন?” প্রশ্নকারী যেন বলতে চাচ্ছেন যে, ইমাম মাহদী দাবীদার মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী মক্কার বাহিরে ভারতের পাঞ্জাবের ‘কাদিয়ান’ গ্রামে জন্মগ্রহণ করার কারণ কী?
খাতুন সাহেবার প্রশ্ন সঠিক। তিনি ঠিকই ধরতে পেরেছেন। ইসলামের সেই ইমাম মাহদী যার আগমনী ভবিষ্যৎবাণীতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিষ্কার বলে গেছেন যে ইমাম মাহদী আরব শাসন করবেন। যেমন,
لاَ تَذْهَبُ أَوْ لاَ تَنْقَضِي الدُّنْيَا حَتَّى يَمْلِكَ الْعَرَبَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتِي يُوَاطِئُ اسْمُهُ اسْمِي
অর্থাৎ দুনিয়া ততক্ষণ ধ্বংস হবে না, যতক্ষণ না আমার বংশ থেকে একজন আরবের শাসনকর্তা নিযুক্ত হবে। যার নাম হবে আমার নামের মত। (হাদীসের মান, হাসান)। হাদীসটি সিয়াহ সিত্তাহ’র অন্যতম কিতাব আবুদাউদ শরীফের ‘মাহদী অধ্যায়’ উল্লেখ রয়েছে। হাদীস নম্বর ৪২৩৩।
সুতরাং প্রমাণিত হল যে, ইমাম মাহদী আরবে জন্মগ্রহণ করবেন বলেই তিনি আরবের শাসনকর্তা হবার সুযোগ লাভ করবেন।
ইবনে কাসীর (রহ.) শেষ যুগে আত্মপ্রকাশকারী প্রতীক্ষিত ইমাম মাহদীর সম্পূর্ণ নামটি কিরকম হবে তিনি তার ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া (البداية والنهاية)’ কিতাবে নিম্নরূপ উল্লেখ করে গেছেন, তিনি লিখেছেন,
محمد بن عبد الله العلوي الفاطمي الحسني رضي الله عنهم.
অর্থাৎ ইমাম মাহদীর নাম হবে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ যিনি আলী, ফাতেমা এবং হাসানের (আল আলীবিয়্যি আল ফাতেমিয়্যি আল হাসানি) সন্তান হবেন; রাদিআল্লাহু আনহুম।
বিশৃঙ্খলা ও মালহামা অধ্যায় খ-১/পৃ-১৭।
সিয়াহ সিত্তাহ’র অন্যতম উক্ত কিতাবের আরেক বর্ণনায় বিশুদ্ধ সনদে আরও উল্লেখ আছে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
الْمَهْدِيُّ مِنِّي أَجْلَى الْجَبْهَةِ أَقْنَى الأَنْفِ يَمْلأُ الأَرْضَ قِسْطًا وَعَدْلاً كَمَا مُلِئَتْ جَوْرًا وَظُلْمًا يَمْلِكُ سَبْعَ سِنِينَ
অর্থাৎ মাহদী আমার বংশ থেকে হবে, যার ললাট প্রশস্ত ও নাক উঁচু হবে। যিনি পৃথিবীকে আদ্ল-ইনসাফ দ্বারা এরূপ পূর্ণ করবেন, যেরূপ তা অন্যায়-অবিচারে পূর্ণ ছিল। তিনি সাত বছর রাজত্ব করবেন। (হাদীসের মান, হাসান)। হাদীস নম্বর ৪২৩৬।
একটু খেয়াল করুন, আগের হাদীসটির মত এ হাদীসেও ‘ইমাম মাহদী শাসন বা রাজত্ব করবেন’ বলা হয়েছে। যদিও আগের বর্ণনায় পরিষ্কার করে ‘তিনি আরব শাসন করবেন’ বলেই উল্লেখ রয়েছে।
তারপর আরও দেখুন, ইমাম মাহদী সম্পর্কে পরিষ্কার করে এ কথাও ভবিষ্যৎবাণী করা হয়েছে যে, তিনি মদীনা থেকে মক্কায় পালিয়ে যাবেন এবং লোকজন তথা উম্মাহ’র বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ মক্কায় তাঁকে ইমাম মাহদী হিসেবে সনাক্ত করে তার নিকট হাজরে আসওয়াদ ও মাক্বামে ইবরাহীম এর মাঝে বয়’আত নেয়া শুরু করবেন। যেমন,
يَكُونُ اخْتِلاَفٌ عِنْدَ مَوْتِ خَلِيفَةٍ فَيَخْرُجُ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ هَارِبًا إِلَى مَكَّةَ فَيَأْتِيهِ نَاسٌ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ فَيُخْرِجُونَهُ وَهُوَ كَارِهٌ فَيُبَايِعُونَهُ بَيْنَ الرُّكْنِ وَالْمَقَامِ
অর্থাৎ “একজন খলীফার মৃত্যুর সময় মতানৈক্য দেখা দিলে এবং সে সময় মদীনা থেকে এক ব্যক্তি (তথা ইমাম মাহদী) পালিয়ে মক্কায় আসলে, সেখানকার অধিবাসিগণ তার পাশে সমবেত হবে এবং তাঁকে ইমামতি করার জন্য সামনে পাঠাবে। কিন্তু সে ব্যক্তি তা অপছন্দ করবে। এরপর লোকেরা তার হাতে ‘হাজরে-আসওয়াদ’ ও ‘মাকামে-ইব্রাহীমের’ মাঝে বয়’আত গ্রহণ করবে। সে সময় শামদেশ থেকে তার বিরুদ্ধে একদল সৈন্য প্রেরিত হবে, যারা মক্কা ও মদীনার মাঝে অবস্থিত ‘বাইদাহ’ নামক স্থানে মাটিতে ধ্বংস প্রাপ্ত হবে।”
আবু দাউদ, মাহদী অধ্যায়, হাদীস নম্বর ৪২৩৭।
বলে রাখা জরুরি যে, হাদীসটি দীর্ঘবাক্যে বর্ণিত হয়েছে, যার শেষের দিকের কথাগুলোর কোনো মুতাবি বা শাহিদ না থাকায় সেগুলোকে আবু দাউদের উক্ত বর্ণনার সনদের দুর্বলতার কারণে যঈফ বলা হয়েছে। কিন্তু বর্ণনার প্রথমোক্ত কথাগুলো অর্থাৎ ইমাম মাহদী মদীনা থেকে মক্কায় এসে বয়’আত গ্রহণ করার কথাগুলো একাধিক বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত। যেমন ইমাম হাকিম (রহ.) ভিন্ন আরেক সনদে তার ‘মুস্তাদরাক’ গ্রন্থে এ কথাগুলো উল্লেখ করে বলেছেন, এর সনদ সহীহ। ইমাম আবুবকর ইবনু আবী শাইবাহ (রহ.)ও নিজ ‘মুসান্নাফ’ কিতাবে এ কথাগুলো বিশুদ্ধ সনদে উল্লেখ করেছেন। যেমন,
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
يبايع لرجل بين الركن والمقام كعدة أهل بدر، فتأتيه عصائب العراق وأبدال الشام، فيغزوهم جيش من أهل الشام، حتى إذا كانوا بالبيداء يخسف بهم.
অর্থাৎ গযওয়ায়ে বদরের সমপরিমাণ লোকজন একব্যক্তির নিকট ‘হাজরে-আসওয়াদ’ এবং ‘মাকামে-ইব্রাহীমের’ মধ্যভাগে বয়’আত গ্রহণ করবে। অত:পর শাম ও ইরাকের ওলী-আবদালগণ তাঁর নিকট উপস্থিত হতে থাকবে। (সে সময়) শামদেশ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে একদল সৈন্য যুদ্ধের উদ্দেশ্যে প্রেরিত হবে, মক্কা ও মদীনার মাঝে অবস্থিত ‘বাইদাহ’ নামক স্থানে মাটিতে তারা ধ্বংস প্রাপ্ত হবে….।
মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ, খণ্ড নং ১৫, হাদীস নং ১৯০৭০, হাদীসের মান : সহীহ।
সুতরাং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে পরিষ্কার শব্দে ও বিশুদ্ধ সনদে প্রমাণিত হল যে, আগত ইমাম মাহদীর জন্মস্থান হবে আরব। তিনি যথাসময় আরবেই জন্মগ্রহণ করবেন, সেখানেই বেড়ে উঠবেন এবং মদীনায় আসার পর তিনি খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দিকে ধাবিত হবেন। বিরোধীপক্ষের সাথে সশস্ত্র লড়াই হবে, আল্লাহ তাঁকে সবকয়টি লড়াইয়ে বিজয় দান করবেন। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি আল্লাহর ইচ্ছাতেই আরবের বুকে খিলাফত ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবেন। তাঁর সেই কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ফরমান ‘ইয়ামলিকুল আরাবা রাজুলুন মিন আহলি বায়তি’ (يَمْلِكَ الْعَرَبَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتِي) “আমার আহলে বায়তের এক ব্যক্তি আরব শাসন করবে” এর পূর্ণতা দান করবেন। ইনশাআল্লাহ।
সুতরাং কাদিয়ানী খাতুন তাদের ন্যাশনাল আমীর আব্দুল আউয়ালকে প্রথম যে প্রশ্নটি করেছেন তা একদমই অর্থবহ ও প্রাসঙ্গিক। যেজন্য আব্দুল আউয়াল সাহেব উক্ত খাতুনকে ভুজুংভাজুং বুঝিয়ে যে সমস্ত আয়াত ও কল্প-কাহিনীর অবতারণা করেছেন সবই বানোয়াট, অপব্যাখ্যা ও বাস্তবতা বহির্ভূত।
আব্দুল আউয়াল সাহেব উক্ত খাতুনকে সূরা জুম’আ এর ২ এবং ৩ নং আয়াত পড়ে বুঝতে পরামর্শ দিয়ে বলেন যে, আল্লাহতালা পবিত্র কুরআনের ঐ আয়াতের ভেতর চোখে আঙ্গুল দিয়েই বলে দিয়েছেন যে, ইমাম মাহদী আরবের বাহিরে অন্য কোনো জাতির ভেতর থেকেই হবেন। নাউযুবিল্লাহ! লানাতুল্লাহি আলাল কাযেবীন।
সূরা জুম’আ এর ২ এবং ৩ নং আয়াতে তাহলে কী কথা রয়েছে? পড়তে ক্লিক করুন
আব্দুল আউয়াল এবং তার তথাকথিত ”ছায়া-নবী” মির্যা গোলাম কাদিয়ানী মূলত ঐ সমস্ত বয়ান-বক্তৃতার মাধ্যমে শুধু গোমরাহিকেই বৃদ্ধি করেনি, বরং ইসলামের আদিম ও সহজ সরল শিক্ষায় মারাত্মক বিকৃতিই ঘটিয়েছে। যার ফলে সর্বসম্মত মুসলিম স্কলারদের মতে এরা ইসলামের গণ্ডি থেকে পুরোপুরি বহিষ্কৃত ও কাফির।
সূরা জুম’আ এর ২ এবং ৩ নং আয়াতে তাহলে কী বলা হয়েছে? নতুন কারো আগমন সম্পর্কে বলা হয়েছে? নাকি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আরব-অনারব নির্বিশেষে সকলের জন্য একজন প্রেরিত রাসূল বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে?
পাঠকবৃন্দ! আয়াতটির শুরুতেই বা’আছা (بعث) ক্রিয়াপদটি অতীতকাল বাচক, সেসাথে ‘আখারীনা’ শব্দটির সংযোগ (আ’তফ) তার আগের বাক্যের ‘উম্মিয়্যীন’ এর উপর, যেটি যের অবস্থায় বিদ্যমান।
কাজেই যারা নাহু-সরফ (আরবী ব্যকরণ) মুটামুটিও বুঝেন তাদের নিকট অন্তত একথা পরিষ্কার যে, আয়াত এবং সংশ্লিষ্ট রেওয়ায়েত দ্বারা ভবিষ্যতে কারো আসার কথা বলা হয়নি। বড়জোর সালমান ফারসীর বংশের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যই (ফজিলত) বর্ণনা করে বলা হয়েছে যে, “ঈমান বা ইলম বা দ্বীন যদি সুরাইয়া নক্ষত্রের নিকটেও থাকত তবু তার সম্প্রদায়ের লোকেরা তা নিয়ে আসত।”
সহীহ ইবনু হিব্বান, সহীহ মুসলিম এবং বুখারী সহ সবখানে ‘বহুবচনাত্মক’ শব্দে যথাক্রমে উল্লেখ আছে, তারা সালমান ফারসীর বংশধর বা و قوم هذا (ইবনু হিব্বান), ফারস্যের সন্তানেরা বা ابناء الفرس (মুসলিম), সালমান ফারসীর বংশধর কতিপয় ব্যক্তি বা لناله رجال او رجل من هؤلاء (বুখারী)।
বিস্তারিত উল্লিখিত ওয়েবসাইট লিংকটি থেকে দেখার আহবান রইল।
দীর্ঘ আলোচনা হতে বুঝা গেল যে, আয়াত এবং সংশ্লিষ্ট রেওয়ায়েতের আলোকে নতুন কাউকে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ”বুরুজ” বা দ্বিতীয় আধ্যাত্মিক সত্তায় (হিন্দুশাস্ত্রে যাকে ‘অবতার বলা হয়) আসা সম্পর্কে ইংগিতেও বলা হয়নি। বড়জোর আয়াতের وَآخَرِينَ مِنْهُمْ لَمَّا يَلْحَقُوا بِهِمْ এর ভেতর সালমান ফারসী (রা.) এর বংশধর সহ সমগ্র অনারবের জন্য যারা তখনও আরবের উম্মী সাহাবীদের মধ্যে শামিল হননি ; প্রত্যেকের জন্য একজন ‘রাসূল’ হিসেবে প্রেরিত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রেসালতের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। সকল তাফসীরকারক আয়াত এবং রেওয়ায়েতগুলোর আলোকে এও বলে গেছেন যে, সেই অনারবদের মধ্যে হযরত সালমান ফারসী (রা.) এর বংশের স্বতন্ত্র ‘ফজিলত’ বর্ণনা দিতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উরুতে হাত রেখে বলেছিলেন,
لو كان الإيمان عند الثريا لناله رجال او رجل من هؤلاء
অর্থাৎ যদি ঈমান সুরাইয়া নক্ষত্রপুঞ্জের নিকটে থাকত তাহলেও এঁদের (সালমান ফারসীর বংশের দিকে ইংগিত) এক বা কতেক পুরুষ তা অর্জন করত। (বুখারী ৪৮৯৭, সাহাবী আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে)।
কাজেই প্রশ্নকারী কাদিয়ানী খাতুনের প্রথম প্রশ্নের উত্তরে কাদিয়ানী আমীর যে কথাগুলো বলেছেন তা সম্পূর্ণ মনগড়া ও বানোয়াট। যার বিন্দুমাত্র সত্যতার কোনো চাপ না আছে কোনো দুর্বল হাদীসে আর না আছে সূরা জুম’আ এর আয়াত দু’টি এবং তার সংশ্লিষ্ট রেওয়ায়েতগুলোতে, কোথাও নেই।
সুতরাং আব্দুল আউয়াল সাহেব আবারও ভুজুংভাজুং উত্তর দিয়ে ধরা খেয়েছেন। আল্লাহ তাকে সহ তার সমগোত্রীয় সবাইকে ইসলামের সঠিক শিক্ষায় ফিরে এসে ও তাওবা পড়ে শাহাদাহ পাঠ করে ইসলামে শামিল হবার তাওফিক দিন। আমীন।
(বাকি দু’টি প্রশ্নের মূল্যায়ন নিয়ে পরবর্তীতে লিখা হবে, ইনশাআল্লাহ)।
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী
লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক