Home কাদিয়ানী মতবাদ খণ্ডন ইলিয়া সম্পর্কে কাদিয়ানী ‘বয়ান’ এর খণ্ডন

ইলিয়া সম্পর্কে কাদিয়ানী ‘বয়ান’ এর খণ্ডন

0
ইলিয়া সম্পর্কে কাদিয়ানী ‘বয়ান’ এর খণ্ডন

ভন্ড ও প্রতারক মসীহ দাবীদারদের ব্যাপারে বাইবেলের ‘মথি’ এর গসপেলে ২৪:৪-৫ ভাষ্যমতে সতর্কবাণী নিম্নরূপ-

যীশু (ঈসা) তার দ্বিতীয় আগমনকালে কী ঘটতে পারে সে সম্পর্কে শিষ্যদের বলতে গিয়ে ভণ্ড প্রবক্তারা যে আসবে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যেমন, বাইবেলের নতুন নিয়মে লেখা আছে, “যীশু বললেন, শোন, সতর্ক থেকো তোমরা; কেউ যেন তোমাদের মন না ভোলায়। কেননা, আমার নাম নিয়ে অনেকেই তো আসবে আর বলবে, আমিই সেই খ্রিষ্ট এবং তারা অনেকের মনও ভুলাবে।” (মথি : অধ্যায় ২৪, পদ নং ৪-৫)।

এতে একদম পরিষ্কার হয়ে গেল যে, বাইবেলের সাক্ষ্যমতেও আগত ঈসা হতে কোনো নান্নুমিয়া বা চক্কুমিয়াকে রূপকের আদলে বুঝাবেনা, বরং মরিয়ম পুত্র ঈসা (আ.)ই উদ্দেশ্য। মুসলিম শরীফের একটি হাদীসে যার আবার এসে হজ্জ করার কথা বলা হয়েছে এবং যাঁর সম্পর্কে নবীকরিম (সা.) চার-চার বার নাবীউল্লাহ ঈসা অর্থাৎ আল্লাহর নবী ঈসা বলেছেন।

ঈসা (আ.) আবার এসে হজ্জ করা সম্পর্কে নবী করীম (সা.) ইরশাদ করেছেন,

وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَيُهِلَّنَّ ابْنُ مَرْيَمَ بِفَجِّ الرَّوْحَاءِ حَاجًّا أَوْ مُعْتَمِرًا أَوْ لَيَثْنِيَنَّهُمَا

অর্থাৎ সে সত্তার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ! মরিয়ম পুত্র ঈসা (আ.) নিশ্চিত রাওহা উপত্যকায় হজ্জ্ব (হাজ্জ/হজ) অথবা উমরাহ অথবা উভয়ের তালবিয়াহ্ পাঠ করবেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ২৮৯৬, ইসলামীক সেন্টার ২৮৯৫)। এ সম্পর্কে আরও পড়ুন

যাইহোক,

আজকের প্রসঙ্গ “ইলিয়া” নিয়ে। কাদিয়ানীদের বইগুলো যারাই পড়েছে তারা নিশ্চয়ই এ চরিত্রের সাথে পরিচিত আছেন।

আমি গতকাল তাদের বাংলায় অনূদিত “মালফুযাত” বইটি পড়ে শেষ করলাম। বইটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যতগুলো আলোচনা রয়েছে সেটির কেন্দ্রীয় আগ্রহ সম্পর্কে—আমি যদি একবাক্যে বলি তা হচ্ছে,

“গোলাম আহমদ কাদিয়ানী নিজ সত্তার স্বীকৃতির জন্য যেন পাগল হয়ে যাওয়ার উপক্রম!”

পৃথিবীর ইতিহাসে আমার জানামতে এমন একজন স্বীকৃত যুগ-ইমাম বা মুজাদ্দিদ অতীত হননি যিনি নিজেকে একবারের জন্যও “মুজাদ্দিদ” অথবা “ইমাম” হওয়ার ন্যূনতম দাবীটুকুও করে গেছেন বা লিখে গেছেন।

শুধু বইটি নয়, তার এভাবে আরও যত বই রয়েছে সবগুলো বইয়ের আবেদন একটাই, মির্যা কাদিয়ানীকে মেনে নেয়ার আহবান, তার সত্তাকে স্বীকৃতি দেয়ার বলিষ্ঠ আহবান। কেন তাকে মেনে নিতে হবে, তাকে মেনে না নিলে কী কী ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে, ইত্যাদি ইত্যাদি।

আমি তার লিখনীর ভেতর আরও একটি বিষয় খুব খেয়াল করেছি, সেটি হচ্ছে

পাঠকদের মস্তিষ্ক ধোলাই করতে যত ধরণের ভেল্কিবাজি রয়েছে তিনি তার ষোলকলাই পূর্ণ করে ছেড়েছেন। তিনি হাদীসের আগপাছ কর্তন করে উদ্দেশ্যমূলক ও খণ্ডিত অংশটি উল্লেখ করেছেন। আয়াত এবং হাদীসের “প্রসঙ্গ” এড়িয়ে গিয়ে খেয়ালখুশি মাফিক বয়ানের পর বয়ান দাঁড় করে গেছেন। তিনি তার উদ্দেশ্যমূলক কোনো দাবীকে গ্রহণযোগ্য মানে দাঁড় করতে প্রথমে একটি “বয়ান” দাঁড় করতেন। তার উক্ত বয়ানের সমর্থনে গ্রহণযোগ্য কোনো ভিত্তি থাকুক বা না থাকুক, তাতে তার কিছুই যায় আসেনা। এরপর তার কাঙ্ক্ষিত সেই আনুমানিক সীদ্ধান্তে (যেমন রূপক মসীহ, বুরুজ্জি মুহাম্মদ ইত্যাদি) পৌঁছার জন্য চলত যারপরনাই নির্লজ্জ ব্যর্থ চেষ্টা।

তন্মধ্যে তৌরাতের সেই ইউহান্না বা যোহনের তথাকথিত ইলিয়া এর আধ্যাত্মিকতায় আগমনের বয়ানটি অতিব প্রসিদ্ধ, যার উপর ভিত্তি করে মির্যা কাদিয়ানী তার কথিত “রূপক মসীহ” দাবীকে জায়েজ করতে চেয়েছিল। অথচ পুরো কাহিনীটাই ভিত্তিহীন ও প্রত্যাখ্যাত। কেননা মির্যা কাদিয়ানী নিজেও ইসরাইলী সোর্সগুলো সম্পর্কে লিখে গেছে,

غرض یہ چاروں انجیلیں جو یونانی سے ترجمہ ہو کر اس ملک میں پہیلائی جاتی ہیں ایک ذرہ بہی قابل اعتبار نہیں۔ تریاق القلوب

অর্থাৎ মোটকথা হচ্ছে এই চারো ইঞ্জিল যা ইউনানি (গ্রীস) ভাষায় অনুবাদ হয়ে এই রাজ্যে প্রচারিত হয়েছে এগুলো এক অণু পরিমাণ-ও গ্রহনযোগ্য নয়।

দেখুন রূহানী খাযায়েন ১৫/১৪২।

তিনি আরও লিখেছেন,

بلکہ سچ تو یہ بات ہے کہ وہ کتابیں آنحضرت صلی اللہ علیہ و سلم کے زمانہ تک ردی کی طرح ہو چکی تہیں اور بہت سے جہوٹ ان میں ملائے گئے تہے جیساکہ قرآن شریف فرمایا گیا ہے کہ وہ کتابیں محرف مبدل ہیں اور اپنی اصلیت پر قائم نہیں رہیں۔ چشمہ معرفت

অর্থাৎ বরং সত্যকথা তো এটাই যে, এ সমস্ত কিতাব [আগের ঐশীগ্রন্থ গুলো–অনুবাদক] হুজুর সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগ পর্যন্ত নষ্ট বস্তুতে পরিণত ছিল এবং প্রচুর মিথ্যা তাতে মিশ্রিত ছিল। যেমনটা কুরআন শরীফে বলা হয়েছে যে, এ সমস্ত কিতাব বিকৃত ও পরিবর্তিত এবং আপনা মৌলিকত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত নয়।

দেখুন, রূহানী খাযায়েন ২৩/২৬৬।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, ইউহান্না অর্থাৎ যোহনের ইঞ্জিল এর মধ্যে পরিস্কার উল্লেখ আছে, সে সময়ের জেরুজালেম এর নেতৃস্থানীয় ইহুদীরা ইউহান্না’র নিকট কতিপয় ভবিষ্যদ্বক্তাসহ লোকজন প্রেরণ করেছিলেন এই মর্মে যে, ইউহান্না-ই সেই প্রতিশ্রুত ‘ইলিয়া‘ কিংবা ‘মসীহ‘ কিনা—তা যেন খোদ ইউহান্না’র মুখ থেকেই জেনে আসেন। তাই ইউহান্নাকে যখন প্রশ্ন করা হল তখন তিনি পরিস্কার করে জানিয়ে দিলেন যে ‘আমি (ইউহান্না) সেই প্রতিশ্রুত মসীহ নই’। তারা তাঁকে আরো জিজ্ঞেস করলো, তাহলে আপনি কে? ইলিয়া? ইউহান্না উত্তরে বললেন, না, আমি তা-ও নই

দেখুন, ইউহান্না’র ইঞ্জিল ১ম অধ্যায়, আয়াত ১৯-২১।

এবার কাদিয়ানীদের উদ্দেশ্যে আমার জিজ্ঞাসা, ইসরাইলী সোর্সগুলোর উপর বিশ্বাস রাখলে হযরত ইয়াহইয়া (যোহন/ইউহান্না) এবং হযরত ঈসা (যীশু/ইসোয়া) আলাইহিমাস সালাম দু’জনের যে কোনো একজনকে ‘মিথ্যাবাদী’ সাব্যস্ত করতে হচ্ছে। নাউজুবিল্লাহ। যেহেতু মথির গসপেল মতে ঈসা যোহনকে ‘ইলিয়া’ আখ্যা দিয়েছেন। পক্ষান্তরে ইউহান্নার গসপেল মতে, যোহন নিজেকে ‘ইলিয়া’ হওয়া অস্বীকার করেছিলেন। সুতরাং ঈমানের তাগিদে আমাদেরকে অবশ্যই মানতে হবে যে, ইসরাইলী রেওয়ায়েতগুলো অথেনটিক নয়, বরং পরিত্যাগযোগ্য।

তর্কের খাতিরে যদি মেনেও নিই যে, ইউহান্না তিনি নিজেকে “ইলিয়া” হওয়া অস্বীকার করেননি। তা সত্ত্বেও সেটির উপর কিয়াস করে মুহাম্মদে আরাবী (সা.) এর হাদীসকে তাবীল (ব্যাখ্যা) করে ‘ঈসা ইবনে মরিয়ম’ বলতে “রূপক ঈসা” এর ধারণা কোনোমতেই ঠিক হবেনা। কারণ, “ইলিয়া” তথা ইলিয়াস নবী পুনরায় আসা সম্পর্কে ইসরাইলী ভবিষ্যৎবাণীতে “শপথ বাক্য” এর উল্লেখ ছিলনা।

কিন্তু ইসলামী অথেনটিক সোর্সগুলোতে ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ.) এর আবার আসা সম্পর্কিত ভবিষ্যৎবাণীতে “শপথ বাক্য” এর উল্লেখ রয়েছে। এমনকি ‘তিনি (ঈসা) অচিরেই ফিরে আসবেন’ শব্দচয়নে বর্ণনাও রয়েছে। যাইহোক, এ সম্পর্কে মির্যা কাদিয়ানীর বক্তব্য হচ্ছে,

  • “শপথ (কসম করে কিছু বলা) একথারই প্রমাণ বহন করে যে, নিশ্চয়ই খবর বা হাদীসটি জাহেরি (আক্ষরিক) অর্থই বুঝাবে। সেখানে কোনো তাবীল (ব্যাখ্যা) চলবে না, ব্যতিক্রম মর্মার্থ নেয়াও চলবেনা। নচেৎ শপথ করে লাভ কী হল?”

দেখুন, হামামাতুল বুশরা (বাংলা) পৃষ্ঠা নং ২৭

এবার দেখা যাক, ঈসা (আ.) এর নুযূল হওয়া সম্পর্কে সহীহ বুখারী’র কিতাবুল আম্বিয়া-তে হাদীসটি কেমন শব্দচয়নে এসেছে! রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,

  • بَابُ نُزُوْلِ عِيْسَى ابْنِ مَرْيَمَ عَلَيْهِمَا السَّلَام حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا يَعْقُوْبُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ حَدَّثَنَا أَبِيْ عَنْ صَالِحٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ سَعِيْدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَالَّذِيْ نَفْسِيْ بِيَدِهِ لَيُوْشِكَنَّ أَنْ يَنْزِلَ فِيكُمْ ابْنُ مَرْيَمَ حَكَمًا عَدْلًا فَيَكْسِرَ الصَّلِيْبَ وَيَقْتُلَ الْخِنْزِيْرَ وَيَضَعَ الْجِزْيَةَ وَيَفِيْضَ الْمَالُ حَتَّى لَا يَقْبَلَهُ أَحَدٌ حَتَّى تَكُوْنَ السَّجْدَةُ الْوَاحِدَةُ خَيْرًا مِّنْ الدُّنْيَا وَمَا فِيْهَا ثُمَّ يَقُوْلُ أَبُوْ هُرَيْرَةَ وَاقْرَءُوْآ إِنْ شِئْتُمْ وَإِنْ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ إِلَّا لَيُؤْمِنَنَّ بِهٰ قَبْلَ مَوْتِهٰ وَيَوْمَ الْقِيٰمَةِ يَكُوْنُ عَلَيْهِمْ شَهِيْدًا (النساء :159)

গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ প্রকাশনী) অধ্যায়ঃ ৬০/ আম্বিয়া কিরাম (‘আ.) (كتاب أحاديث الأنبياء) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৪৮

৬০/৪৯. মারইয়াম পুত্র ‘ঈসা (আ.)-এর অবতরণ।

৩৪৪৮. আবূ হুরাইরাহ্ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, শপথ সেই সত্তার, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, শীঘ্রই তোমাদের মধ্যে মরিয়ামের পুত্র ‘ঈসা (আ.) শাসক ও ন্যায় বিচারক হিসেবে আগমন করবেন। তিনি ‘ক্রুশ’ ভেঙ্গে ফেলবেন, শূকর হত্যা করবেন এবং তিনি যুদ্ধের সমাপ্তি টানবেন। তখন সম্পদের ঢেউ বয়ে চলবে। এমনকি কেউ তা গ্রহণ করতে চাইবে না। তখন আল্লাহকে একটি সিজ্দা করা তামাম দুনিয়া এবং তার মধ্যকার সমস্ত সম্পদ হতে অধিক মূল্যবান বলে গণ্য হবে। অতঃপর আবূ হুরাইরাহ্ (রা.) বলেন, তোমরা ইচ্ছা করলে এর সমর্থনে এ আয়াতটি পড়তে পারঃ ‘‘কিতাবীদের মধ্যে প্রত্যেকে তাঁর (ঈসা (আ.)-এর) মৃত্যুর পূর্বে তাঁকে বিশ্বাস করবেই এবং কিয়ামতের দিন তিনি তাদের (যারা তাঁকে ইশ্বর পুত্র সাব্যস্ত করেছিলো) বিপক্ষে সাক্ষ্য দিবেন।’’ (আন-নিসাঃ ১৫৯) (২২২২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩১৯৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২০২)

তাহলে এবার চিন্তা করার বিষয় যে, ঈসা (আ.) এর দ্বিতীয়বারের আগমন সম্পর্কিত হাদীসে ‘শপথ’ বাক্যের উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও সেখানে তাবীল করে ‘রূপক ঈসা‘ এর ধারণা নেয়া কতটুকু গ্রহণযোগ্য? এটি খোদ মির্যা কাদিয়ানীর-ও নীতিবিরুদ্ধ নয় কি?

বলে রাখা জরুরি যে, ইলিয়া এর ইসলামি সমার্থক নাম ইলিয়াস (আ.)। হযরত ইলিয়াস (আ.) ইসলামের একজন নবী, যিনি বনী ইসরাইল সম্প্রদায়ে আগমন করেছিলেন। তিনি হযরত মূসার (আ.) ভাই হযরত হারুনের (আ.) বংশধর ছিলেন। তিনি বর্তমান জর্ডান নদীর উত্তর অঞ্চলের জিলীআদ নামক স্থানের “আবেল মাহুলা” নামক জায়গার অধিবাসী ছিলেন। খ্রিস্টান এবং ইহুদিদের কাছে তিনি এলিয় (Elijah) নামে পরিচিত। তিনি খৃষ্টপূর্ব ৮৭৫ থকে ৮৫০ অব্দের মাঝামাঝি সময়ে জন্মগ্রহণ করেন। ঐতিহাসিকদের মতে, তিনি হিযকিলের পরে আল ইয়াসার পূর্বে নবী হিসাবে প্রেরিত হন।

যাইহোক, সকল কাদিয়ানী মতবাদের অনুসারীদের বলতে চাই, আপনি কাকে কী বলে মেনে নিচ্ছেন সেটি আপনার ব্যাপার। কিন্তু একটু তো নিজের বিবেককে প্রশ্ন করবেন এবং নিরপেক্ষ বিবেকবুদ্ধি খাটিয়ে নিজের বিশ্বাসের পরিপক্কতা যাচাই করে নেবেন। মৃত্যুর পরে কিন্তু সেই সুযোগ কারো থাকবেনা। তাই আসুন, গোঁড়ামি বাদ দিয়ে মির্যা কাদিয়ানীর দাবীগুলো কী কী এবং সেসব দাবী দাওয়ার জন্য তার মত ব্যক্তি কোনোভাবেই উপযুক্ত কিনা, যাচাই-বাছাই করুন। কেননা একজন মিথ্যাবাদী, প্রতারক আর ধোকাবাজ আর যাইহোক, কিছুতেই ইমাম মাহদী বা নবুওয়ত দাবী করার যোগ্য হতে পারেনা। আল্লাহ হাফেজ।

লিখক প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here