Home ঈসা মসীর জীবন ও মৃত্যু মসীহ’র কবরস্থান প্রসঙ্গে কাদিয়ানীর আনুমানিক বয়ান

মসীহ’র কবরস্থান প্রসঙ্গে কাদিয়ানীর আনুমানিক বয়ান

0

কাদিয়ানী জামাতের প্রতিষ্ঠাতা ভারতীয় বংশোদ্ভূত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (মৃত. ১৯০৮ইং) ইসলামের সুপ্রতিষ্ঠিত কনসেপ্ট বিরোধী ধারণা দিতে গিয়ে একেকটা বিষয়ে পরস্পরবিরোধী বয়ান দিয়ে যায়। তার একটি ইসলাম পরিপন্থী বয়ান ছিল, হযরত ঈসা ইবনু মরিয়ম (আ.) ১২০ বছর বয়সে কাশ্মীরে মারা গিয়েছেন এবং সেখানেই তার কবর বিদ্যমান। আশ্চর্যের কথা হল, ঈসা ইবনু মরিয়ম (আ.) এর অনুসারী প্রায় দুইশত কোটির অধিক খ্রিস্টান সম্প্রদায় যেটা কখনো কল্পনাতেও ভাবেনা সেটাই মির্যা কাদিয়ানী সাহেব বলেছেন এবং অনর্থক একটা বিতর্কের সূত্রপাত করে গেছেন।

  • উল্লেখ্য, ঈসা ইবনু মরিয়ম (আ.) আল্লাহর একজন বান্দা ও রাসূল ছিলেন, আল্লাহ তাঁকে আকাশে উঠিয়ে নিয়েছেন, কেয়ামতের পূর্বে তিনি আকাশ থেকে দামেস্কে অবতরণ করবেন। এ সম্পর্কিত অথেনটিক তথ্যপ্রমাণ দেখতে এখানে Click করুন।

মজার ব্যাপার হল, কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের প্রথম সারীর নেতারাও কখনো চিন্তা করেননি যে, মির্যা কাদিয়ানী সাহেব ঈসা (আ.) এর কবর থাকা সম্পর্কে মতবাদ দিতে গিয়ে কীধরণের অনুমানের আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং কত জঘন্য বিভ্রান্তিকর বক্তব্য রেখে গিয়েছেন।

মির্যা কাদিয়ানীর ‘মালফুযাত’ (উর্দূ এডিশন) গ্রন্থে উল্লেখ আছে,

کشمیر میں مسیح کی قبر کا معلوم ہونے سے بہت قریب ہی فیصلہ ہو جاتا ہے اور سب جھگڑے طے ہو جاتے ہیں

অর্থাৎ “কাশ্মীরে মসীহ এর কবরের অনুসন্ধান দ্বারা খুব শীঘ্রই মীমাংস হয়ে যাবে এবং সকল বিতর্ক মিটে যাবে।” রেফারেন্স, মালফুযাত খন্ড ২ পৃষ্ঠা ৫২৭ মির্যা কাদিয়ানী।

স্ক্রিপ্ট দেখুন

তাছাড়া ১৯০১ সালের দিকে রচিত তারই একজন শিষ্য মির্যা খোদাবক্স কাদিয়ানী রচিত ‘আছলে মুছাফফা’ গ্রন্থে লিখা আছে,

اور جیسے کہ اللہ تعالی نے انہیں بتایا کہ محلہ خان یار سری نگر کشمیر میں ان کی قبر موجود ہیں

অর্থাৎ “আর যেমনিভাবে আল্লাহ তাআলা তাঁকে বলে দিয়েছেন যে, কাশ্মীরের শ্রীনগরের খানইয়ার মহল্লায় তাঁর (মসীহ ঈসা) কবর বিদ্যমান।” রেফারেন্স, আছলে মুছাফফা খন্ড ২ পৃষ্ঠা ২, রচনাকাল ১৯০১ ইং কাদিয়ান।

স্ক্রিপ্ট দেখুন

এখন একজন নিরপেক্ষ পাঠক চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন, কাদিয়ানী জামাতের গোড়াতেই অনুমান নির্ভর কত বিভ্রান্তি, সংশয় আর সন্দেহ জনিত সমস্যার তুফান বয়ে চলছে! একটু চিন্তা করুন, কোথাও লিখা আছে, ঈসা আলাইহিস সালাতু ওয়াসসালামের ‘কবর’ কাশ্মীরে থাকার বিষয়টি সম্পূর্ণ গবেষণা তথা অনুসন্ধান নির্ভর। আবার কোথাও লেখা আছে, এটি মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে কথিত ওহীর মাধ্যমে আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন অর্থাৎ বিষয়টি পুরোপুরি ওহী নির্ভর! আশাকরি কাদিয়ানীদের বিষয়টি অবশ্যই সবাইকে ভাবিয়ে তুলবে।

লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here