কাদিয়ানীরা কম-বেশী বর্তমানে ১৪ দলে বিভক্ত এবং তাদের প্রত্যেকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটগুলোও ভিন্ন ভিন্ন :
- উল্লেখ্য কাদিয়ানীরা মুসলমানদের তাচ্ছিল্য করে বলে, আরে আরে তোমরা মুসলিমরা ৭৩ ভাগে বিভক্ত আর অপরদিকে আমরা (অর্থাৎ কাদিয়ানীরা) শুধুই এক দল, অথচ তাদের এই দাবী শতাব্দীর জঘন্য মিথ্যা।
কাদিয়ানীদের কয়েকটি দলের নাম হল,
১. জামাতে আহমদীয়া ইন্দোনেশিয়া গ্রুপ। এদের আকীদা হল, এরা মির্যা কাদিয়ানীকে শুধুমাত্র একজন শিক্ষক মানেন। নবী রাসূল মানেন না।
২. জামাতে আহমদীয়া লাহোরী মুভমেন্ট। এই দলের বর্তমান প্রধান প্রফেসর আব্দুল করীম সাঈদ (www.aaiil.org). এই দল দুটি হেকিম নূরুদ্দীন এর মৃত্যুর পরপরই সৃষ্টি হয়েছিল। এরাও তাকে নবী রাসূল মানে না।
৩. জামাতে আহমদীয়া ইসলাহ পছন্দ। এই দলের বর্তমান প্রধান আব্দুল গাফফার জম্বাহ (www.alghulam.com). এদের অন্যতম বিশ্বাস, আব্দুল গাফফার জম্বাহ-ই কথিত মুসলেহ মওউদ।
৪. গ্রীন আহমদীয়া। এই দলের প্রধান, মির্যা রফি আহমদ (www.greenahmadiyyat.org). এরাও মির্যাকে নবী রাসূল মানেনা। উল্লেখ্য ইনি কাদিয়ানীদের দ্বিতীয় খলিফা মির্যা বশির উদ্দিন মাহমুদ আহমদের ছেলেদের একজন। কাদিয়ানী চতুর্থ খলিফা নির্বাচনের সময়ে সে খলিফা নির্বাচিত হয়েছে বলে শোনা যায়। (এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই -লিখক) কিন্তু মির্যা তাহির আহমদ পরবর্তীতে খলিফা হওয়ায় তিনি নিজেও ‘গ্রীন আহমদীয়া‘ প্রতিষ্ঠা করেন। তবে সে যে খলিফা হতে চেয়েছিল এটা নিশ্চিত। যতদূর জানা যায়, মির্যা বশির উদ্দিন মাহমুদ আহমদ এর দুই সংসার ছিল। দুই সংসারে মোট ২৮ জন সন্তান ছিলো। ফলে ১৯৬৪ সালে পিতার মৃত্যুর পর এদের মধ্যে ক্ষমতার মসনদ নিয়ে গন্ডগোল হয়, হওয়াটাই স্বাভাবিক।
৫. জামাতে আহমদীয়া আল-মুসলিমীন। এই দলের প্রধান জাফর উল্লাহ ডায়মন্ড (www.jaam-international.org).
৬. জামাতে আহমদীয়া হাকীকী। এই দলের প্রধান, নাসির আহমদ সুলতানী (www.ahmadiyyah.org).
৭. জামাতে আহমদী কাদিয়ানী (মাহমূদী) গ্রুপ। এই দলের বর্তমান প্রধান মির্যা মাসরূর আহমদ কাদিয়ানী (www.alislam.org).
৮. আনওয়ারুল ইসলাম মুভমেন্ট অফ আফ্রিকা। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান আলহাজ্ব জিব্রিল মার্টিন (https://wiki.qern.org/ahmadiyya/organisations/qadiani/anwar-ul-islam-movement-of-nigeria). দলটি নাইজেরিয়াতে (আফ্রিকা) খুব তৎপর। আলহাজ্ব জিব্রিল মার্টিন (২০ নভেম্বর ১৮৮৮ – ১৩ জুন ১৯৫৯) সম্পর্কে জানা যায় যে, তিনি একজন নাইজেরিয়ান আইনজীবী এবং শিক্ষাবিদ ছিলেন যিনি নাইজেরিয়ান আইন পরিষদের সদস্য ছিলেন। নাইজেরিয়ার স্বাধীনতার পর তিনি নাইজেরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের হজ পিলগ্রিমস বোর্ডের চেয়ারম্যানও ছিলেন। তিনি নাইজেরিয়ার আহমদীয়া জামাতের একজন বিশিষ্ট সদস্য ছিলেন। তিনি মির্যা বশির উদ্দিন মাহমুদের সময়টিতেই কাদিয়ানী জামাত থেকে আলাদা হয়ে যান এবং নিজেই নতুন দল গঠন করেন। বর্তমানে নাইজেরিয়ার অধিকাংশ এলিট শ্রেণীর কাদিয়ানী তারই অনুসারী। (উইকিপিডিয়া)।
৯. আহমদীয়া সহীহ ইসলাম। এই দলের বর্তমান প্রধান মুনীর আহমদ আজিম (www.jamaat-ul-sahih-al-islam.com).
১০. আহমদীয়া জায়েদখান গ্রুপ। এই দলের প্রধান, জায়েদখান। দলটির কিছু তৎপরতা জার্মানিতে চোখে পড়ার মত।
১১. আহমদীয়া তাহের নাসিম গ্রুপ। এই দলের প্রধান তাহের নাসিম। তিনি ৩০ই জুলাই ২০২০ইং পাকিস্তানের পেশোয়ারে একটি আদালতে শুনানিকালে গাজি খালেদখান নামক এক যুবকের গুলিতে নিহত হন।
১২. তিমাহপুরী গ্রুপ। এই দলের প্রধান আব্দুল্লাহ তিমাহপুরী। সে মির্যা কাদিয়ানীর মুরিদ ছিল এবং মির্যা কাদিয়ানীর জীবদ্দশাতেই নবুওয়তের দাবী করেছিল।
১৩. আহমদীয়া আসাদশাহ গ্রুপ। এই দলের প্রধান, আসাদশাহ। সেও কয়েক বছর পূর্বে আমেরিকায় আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়।
১৪. লাহোরী ইন্দোনেশিয়ান গ্রুপ। এরা মির্যা কাদিয়ানীর মুরিদ মুহাম্মদ আলী লাহোরীর চিন্তাধারায় প্রভাবিত ও তার গ্রুপ থেকেই ছিটকে পড়া হলেও মূলত কাদিয়ানী জামাতেরই একটি ফেরকা। এই হল বর্তমান কাদিয়ানী জামাতের বিভক্তির সংক্ষিপ্ত তালিকা। আস্তে আস্তে এ তালিকা আরো দীর্ঘ হচ্ছে। সুতরাং কাদিয়ানীদের দাবী, তারা একটিমাত্র দল; তাদের এই কথা জঘন্য মিথ্যা। বাকি দলগুলোর প্রধানদের ছবি এবং অবশিষ্ট দলীয় অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ঠিকানা আস্তে আস্তে যুক্ত করে দেব, ইনশাআল্লাহ।
পবিত্র কুরআন দ্বারাও ঈসা (আ.) এখনো জীবিত থাকা ও দুনিয়ায় দ্বিতীয়বার আগমন করা সুস্পষ্ট ইংগিতে প্রমাণিত
সূরা তওবাহ আয়াত ৩৩ দ্বারাও ঈসা (আ.) জীবিত থাকা প্রমাণিত
তথ্য সংগ্রহে : প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী।